Logo
শিরোনাম

ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমারা কত টাকা খরচ করেছে?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাহায্য ছাড়া ইউক্রেন কোনোভাবেই তাদের রক্ষণভাগ টেকসইভাবে টিকিয়ে রাখতে পারতো না। কিন্তু কী পরিমাণ সাহায্য ইউক্রেন পেয়েছে, আর এই সাহায্য কতটুকু পার্থক্য গড়ে দিয়েছে?

গত সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের জন্য আরেকটি ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন, যেটি নিয়ে কংগ্রেসে আলোচনা হবে। যদি প্রস্তাবটি অনুমদিত হয়, তবে ইউক্রেনকে সাহায্য নিয়ে এই নিয়ে চতুর্থবার মার্কিন সাহায্য যাবে, সব মিলিয়ে যার আর্থিক মূল্য ১০০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।  এই আকাশছোঁয়া অঙ্ক তাই অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন এটি ইউক্রেনকে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ইন্ডেপেন্ডেন্টেও তাদের মার্কিন প্রতিনিধি একটি মতামত প্রকাশ করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে যে মার্কিন প্রক্সিযুদ্ধ চলছে না এমন ভান করা থেকে সরে আসার সময় এখনই।

তবে, অনেক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে একমত নন। রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রভাষক ভ্লাদিমির রাউতা  বলেন, এটা যে কোনো প্রক্সিযুদ্ধ নয় তা স্পষ্ট। প্রক্সিযুদ্ধতে গোপনভাবে সাহায্য করা হয়, আন্তর্জাতিক আইনের বাইরে গিয়ে কাজ করা হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের সম্পর্ক সামরিক ও অর্থনৈতিক সাহায্যের এক আদর্শ উদাহরণ। প্রক্সিযুদ্ধ হলো ওটাই, যখন রাশিয়া ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকে সমর্থন করেছে, সাহায্য করেছে এবং তাদেরকে ট্রেনিং করিয়েছে।

যুদ্ধের খরচ: যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপও ইউক্রেনের পেছনে যথেষ্ট টাকা ঢেলেছে। তবে ঠিক কতটুকু খরচ করেছে তা বলা বেশ শক্ত।  সৌভাগ্যক্রমে জার্মান গবেষণা সংস্থা কিয়েল ইনিস্টিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমি (আইএফডব্লিউ) ইউক্রেন সাপোর্ট ট্র্যাকার তৈরি করেছে, যেখানে কে কত সাহায্য করেছে তা নথিভুক্ত করা আছে, যার মধ্যে সামরিক সাহায্য, মানবাধিকার সার্ভিস এবং অর্থসাহায্য  রয়েছে। তারপরেও এই হিসাব করা বেশ জটিল বলে জানিয়েছেন আইএফডব্লিউ-এর একজন অর্থনীতিবিদ আন্দ্রে ফ্রাঙ্ক।  প্রাথমিক সমস্যা হলো তথ্যের পর্যাপ্ততা, বিশেষ করে দেশগুলোর সরকারি তথ্য এবং বিভিন্ন পণ্যের আর্থিক মূল্য, বিশেষ করে সামরিক পণ্যগুলোর আর্থিক মূল্য বের করা। আমরা প্রথম সমস্যাটি বিভিন্ন পদ্ধতিতে খুঁজে বের করে সমাধান করেছি। সাধারণত, আমরা সরকারের অফিশিয়াল সূত্রগুলোকেই উৎস হিসেবে নিয়েছি।যদিওর্থদানের ব্যাপারে সরকার কোনো তথ্য প্রকাশ না করে, সেক্ষেত্রে আমরা সেগুলোর শূণ্য জায়গা পূরণ করেছি গণমাধ্যমে আসা বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে। একটি বড় সমস্যা হলো, বেশ কিছু দেশের অফিশিয়াল প্রেস রিলিজে যে তথ্য থাকে তা বেশিরভাগ সময়েই অসম্পূর্ণ থাকে। একটি দেশ তাদের তথ্যগুলো কতটুকু বিস্তারিত বা সংক্ষেপে প্রকাশ করে, তার ওপর নির্ভর করে আমাদের কাজ সহজ বা কঠিন হয়ে পড়ে। সাহায্যদাতা দেশগুলো তথ্যতেও অনেকসময় স্বচ্ছতা রাখে না। যেমন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ডেটাবেজে কী কী জিনিস দান করেছে, কতটুকু দান করেছে, তার বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করে। সামরিক সাহায্যগুলোও বিস্তারিতভাবে উল্লেখ থাকার ফলে সেগুলোর অর্থের একটি সঠিক পরিমাণ বের করা যায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষেত্রে আবার এই চিত্র দেখা যায় না। পূর্ব ইউরোপ, বাল্টিক অঞ্চল এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের দেশগুলো কী কী ধরনের সামরিক সরঞ্জাম কয়টি করে দান করেছে তা পরিষ্কারভাবে বললেও স্পেন, ইতালি আর পর্তুগালের মতো দেশগুলো তা প্রকাশ করে না এবং ইচ্ছা করেই সেই তথ্য চেপে রাখে।

সবচেয়ে বড় সাহায্যদাতা যুক্তরাষ্ট্র: ইউরোপের ডি ফ্যাক্টো নেতা জার্মানি এই সাহয্য হিসাবের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। কারণ বার্লিন দীর্ঘদিন ধরে বাতিল বা ব্যবহার করা হয়নি এমন সব সামরিক সরঞ্জাম তাদের স্টক থেকে দান করেছে যার বর্তমান আর্থিক মূল্য নির্ধারণ করা বেশ কঠিন। জার্মানি কেবল ট্যাঙ্ক-বিরোধী সরঞ্জাম বা বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের মতো ভারি অস্ত্রই সরবরাহ করেনি, মেশিনগান, হ্যান্ড গ্রেনেড এবং অন্যান্য গোলাবারুদের মতো হালকা অস্ত্রও সরবরাহ করেছে। আবার, একদিকে তারা সশস্ত্র বাহিনী বা বুন্দেসভেরের স্টক থেকে সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে। আবার, ফেডারেল সরকারের অর্থায়ন করা স্টক থেকেও দিয়েছে। জার্মানির মতো দেশগুলো তাদের বিতরণ করা পণ্যগুলোর সংখ্যার একটি বিস্তারিত তালিকা প্রদান করলেও তাতে সেগুলোর মূল্যের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।। এটি আমাদের কাজকে অবিশ্বাস্যভাবে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। কারণ জার্মানির কিছু পণ্য বুন্দেসভেরের স্টক থেকে এসেছে, যেগুলো ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সশস্ত্র বাহিনী ব্যবহার করছে। যার ফলে এগুলোর সঠিক মূল্য অনুমান করা প্রায় অসম্ভব, বলে জানান ফ্রাঙ্ক। স্বাভাবিকভাবেই, আইএফডব্লিউর তালিকায় সবচেয়ে উপরের স্থানটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দখলেই, যারা অনান্য দেশের তুলনায় বেশ বড় ব্যবধানে সর্বাধিক সামরিক সহায়তা প্রদান করেছে।

ফ্রাঙ্ক জানান, সামরিক সাহায্যের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা ২২.৮৬ বিলিয়ন ইউরো বা ২৪.৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ সাহায্য করেছে। যুক্তরাজ্য রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে, তার করেছে ৪,১৩ বিলিয়ন ইউরো বা ৪.৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রকৃতপক্ষে, যুক্তরাজ্য ইউক্রেনের অন্যতম বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী। লন্ডনের সরকার ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে এম২৭০ মাল্টিপল রকেট লঞ্চার, হাজার হাজার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্র, শত শত স্বল্প-পাল্লার মিসাইল, সাঁজোয়া যান এবং কিছু স্টারস্ট্রিক অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট সিস্টেম সরবরাহ করেছে বা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আরও ১২৫টি বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। জার্মানি, সামরিক সাহায্যের অবস্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের পরে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত তারা ২.৩৪ বিলিয়ন ইউরো বা ২.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য করেছে।

ইউরোপীয় সমর্থনের বেশিরভাগই এসেছে লন্ডন এবং বার্লিন থেকে। আইএফডব্লিউ-এর মতে, ইইউ সদস্য দেশগুলো সামরিক সহায়তা হিসেবে মোট ৮.৬১ বিলিয়ন ইউরো প্রদান করেছে।

পশ্চিমা সাহায্যের অনস্বীকার্য প্রভাব: ইউরোপীয়দের সাহায্য কেবল সামরিক সমর্থন দিয়েই শেষ হয়নি। যদি আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিচালিত সামরিক প্রতিদান প্রকল্প ইউরোপীয় শান্তি সুবিধাকে অন্তর্ভুক্ত করি, তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামরিক সহায়তা হিসেবে আরও ৩.১ বিলিয়ন ইউরো যোগ হবে, মোট অর্থ বেড়ে দাঁড়াবে ১১.৭১ বিলিয়ন ইউরোতে। ফ্র্যাঙ্ক উল্লেখ করেন। তবে সামরিক সাহায্য বাদ দিলেও ইউক্রেনের প্রতি দেশগুলোর মানবিক সহায়তা, আর্থিক সহায়তাও কম নয়। জানুয়ারি থেকে ইউক্রেনকে আরও ১৮ বিলিয়ন ইউরো সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। এটি কার্যকর হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাহায্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে।

এর ফলে ইউরোপ তখন কিয়েভকে মোট ৫২ বিলিয়ন ইউরো সহায়তা করবে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক, আর্থিক এবং মানবিক সহায়তার পরিমাণ ৪৮ বিলিয়ন ইউরো, আইএফডব্লিউ জানায়। গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি থেকে শুরু করে সম্প্রতি অনুমোদন করা ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাহায্যের প্যাকেজ ইউক্রেনকে রুশ আগ্রাসন মোকাবেলার করার অনুমতি দিয়েছে কিছু প্রত্যাশিত উপায়ে।

রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক রাউতা বলেন, প্রায়শই, যুক্তি দেওয়া হয় যে ইউক্রেনের জন্য সাহায্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাজেটের তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ গোয়েন্দা আপডেট অনুযায়ী, পুতিন ২০২৩ সালে ইউক্রেনে তার যুদ্ধের জন্য ১১৬ বিলিয়ন পাউন্ড বা ১৪০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রয়টার্সের সাম্প্রতিক বিশ্লেষণেও ২০২৩ সালে রাশিয়ার মোট প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাজেট হিসেবে ১৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ধরা হয়েছে।

রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এই যুক্তফ্রন্ট অটল থাকতে পারে কিনা, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে যখন রিপাবলিকান নেতৃত্ব রয়েছে, সেটাই দেখার বিষয়। একদিকে, সাফল্য-পরাজয়ের ভারসাম্য এখনও কোনও দেশের যায়নি, প্রতি মাসেই যুদ্ধের অবস্থা পরিবর্তন হচ্ছে। ইউক্রেন একদিকে আরও এলাকা পুনরুদ্ধার করলেও রাশিয়া অবকাঠামোর ওপর ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে আচ্ছে। এছাড়াও রুশরা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে কিয়েভ দখলের জন্য নতুনভাবে এগোবে বলে শোনা যাচ্ছে। আবার, ইউক্রেনও তাদের দেশকে রক্ষার জন্য অটল সংকল্প ধরে রেখেছে, রুশরাও শান্তিচুক্তিতে এগোতে চাচ্ছে না। ২০২৩ সালে যা-ই হোক না কেন, রুশরা যদি শান্তিচুক্তি কররার ভান করে, তবে সেটি হবে সময় কেনা, নিজেদের সংগঠিত করা এবং পুনরায় সংগঠিত করার উপায়ের জন্য। ২০২৩ সালে ইউক্রেনের জন্য আটলান্টিকের দুই পাশ থেকে আরও সাহায্য আসবে বলা আশা করাই যায়, যখন তাদের কয়েক দশকের মধ্যে নিরাপত্তাগতদিক থেকে সবচেয়ে বড় হুমকিতে পড়তে হচ্ছে।


আরও খবর



‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করা হয়েছি’

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ২৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া যে গুম, খুন ও অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে, তার সামান্যটুকুও তারা সহ্য করতে পারবে না।

রোববার (২৭ মার্চ) বিআইসিসি মিলনায়তনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে। বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের হত্যার পর তাদের লাশ গুম করা হয়েছ। বিচারের নামে বাহিনীর সদস্যদের অন্যায়ভাবে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। জিয়ার আমলে সাদা মাইক্রোবাস ছিল। সেই মাইক্রোতে যে উঠেছে, সে আর মায়ের কোলে ফিরে আসতে পারেনি।

বিএনপির নেতাকর্মীরা অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন- এমন অভিযোগের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী দলের সদস্যদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। আমরা তো তাদের মিছিল করতে দিচ্ছি। তারা আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতেই থাকতে দেয়নি। সড়কে নামলে বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে, বাড়িঘর দখল করেছে। হত্যা-গুমের মাধ্যমে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, তারা যা করেছে, এর এক ভাগ করলেও তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু আমরা প্রতিশোধ নেইনি, আমরা অন্যায় করিনি। আমরা কেবল তাদের অন্যায়ের বিচার করছি।


আরও খবর



স্বল্পোন্নত দেশগুলো কারও করুণা চায় না : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কাতার সম্মেলনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেছি। স্বল্পোন্নত দেশগুলো কারও করুণা বা দাক্ষিণ্য চায় না। বরং আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের ন্যায্য পাওনা চায়, প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায়।

প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় তার সরকারি বাসভবন গণভবনে শুরু হওয়া সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কাতার সফরের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নে সহযোগিতা করতে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে গত ৪ মার্চ কাতারে যান শেখ হাসিনা। এলডিসি-৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ বেশ কয়েকটি ইভেন্টে যোগ দেন তিনি। গত ৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী কাতার সফর শেষে দেশে ফেরেন।

সম্মেলনে বাংলাদেশের অর্জনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশকে আমরা একটি কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে কাজ করছি। এ জন্য কাতারসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছি।


আরও খবর



স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরেছেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার রাতে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৫৮৫ ফ্লাইটযোগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ঢাকায় পৌঁছান।

উল্লেখ্য, ওবায়দুল কাদের গত ১ মার্চ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যান।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর



চীনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

টানা তৃতীয় মেয়াদে চীনের প্রেসিডেন্ট পদে শি জিনপিং নির্বাচিত হওয়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক কমিউনিস্ট পার্টির নেতা লি কিয়াং।

শনিবার (১০ মার্চ) সকালে পার্লামেন্ট অধিবেশনে শি জিনপিং মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ভোটাভুটিতে জয়ী হওয়ার পর লি কিয়াংয়ের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি কেছিয়াংয়ের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তিনি।

৬৩ বছর বয়সী নতুন প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে ২,৯০০ এরও বেশি প্রতিনিধির কাছ থেকে প্রায় প্রতিটি ভোটই পেয়েছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট শির একজন ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

পার্লামেন্টে স্থাপন করা একটি ইলেকট্রনিক স্ক্রিনে দেখা গেছে, লি ২ হাজার ৯৩৬ ভোট পেয়েছেন। মাত্র তিনজন প্রতিনিধি তাঁর নিয়োগের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। আটজন ভোটদানে বিরত ছিলেন।

নির্বাচনের পর চীনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন লি কিয়াং। চীনের সংবিধানের প্রতি অনুগত থাকার অঙ্গীকার করেন তিনি।

লি কিয়াং তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন সেচপাম্প স্টেশনের শ্রমিক হিসেবে। এরপর ধীরে ধীরে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের বিভিন্ন পদে আসীন হন। একসময় সাংহাই শহরে কমিউনিস্ট পার্টিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লি কিয়াং। ২০০০-এর দশকের শুরুতে সি চিন পিংয়ের চিফ অব স্টাফ ছিলেন তিনি।


আরও খবর



৭৫ বছরের বৃদ্ধের কিডনি থেকে ৩০০ পাথর অপসারণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বেশ কয়েক মাস ধরেই ভারতের তেলেঙ্গানার কৃষক এম রাম রেড্ডির পেটের পেছনের অংশে অস্বস্তি হচ্ছিল। কোনো কূলকিনারা না পেয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন ৭৫ বছর বয়সী এ কৃষক। এরপর তার সিটি স্ক্যান করানো হয়। এতে যা ধরা পড়ে, তাতে যে কারও চোখ কপালে উঠবে! রিপোর্টে দেখা যায়, তার ডান কিডনিতে রয়েছে ৭ সেন্টিমিটারের চেয়ে বড় পাথর। তবে চিকিৎসকদের সুনিপুণ দক্ষতায় যা পরে ৩০০ টুকরো করে বের করা হয়।

ডা. মোহাম্মদ তায়েফ বেনদিগেরি বলেন, যখন সাধারণত রোগীদের কিডনিতে ৭ থেকে ১৫ মিলিমিটারের পাথর দেখা যায়। কিন্তু ৭ সেন্টিমিটারের বড় পাথর অনেক বড় এবং রোগীর জন্য ব্যথাদায়কও। তাই পাথরটিকে ৩০০ টুকরো করে বের করা হয়। অস্ত্রোপচারের পরদিনই ওই ব্যক্তিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

রোগীর অস্ত্রোপচার হয়েছে ভারতের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব নেফ্রোলজি অ্যান্ড ইউরোলজিতে। দলের নেতৃত্ব দেন ডা. সি মল্লিকার্জুন।


আরও খবর