ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয়
পোল্যান্ড সীমান্তের কাছাকাছি লিভভ অঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়ে
১৮০ জন ভাড়াটে সেনাকে হত্যার দাবি করেছে রাশিয়া। সোমবার (১৪ মার্চ) বিবিসি এক প্রতিবেদনে
এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে রোববার
(১৩ মার্চ) ওই সামরিক ঘাঁটিতে রাশিয়া ৩০টি রকেট নিক্ষেপ করে। ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলায়
৩৫ জন নিহত এবং আরও ১৩৪ জন আহত হয়েছেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেঙ্কোভ বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীতে যোগ দেওয়া ভাড়াটে
সেনাদের ওপর হামলা অব্যাহত রাখবে রাশিয়া। কারণ বিদেশিদের সরবরাহ করা অস্ত্র ওই ঘাঁটিতে
মজুত রাখা হয়।
তথ্য মতে, হামলার
শিকার এই সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি পোল্যান্ড তথা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর সীমান্ত
থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই ঘাঁটিতে ন্যাটোর সেনা কর্মকর্তারা ইউক্রেনের
সেনাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিলেন। এখানে বিদেশি সেনারাও প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে।
এদিকে রাশিয়ার
এ হামলার পর নড়েচড়ে বসেছে পশ্চিমা বিশ্ব। যুক্তরাজ্য বলেছে, এই হামলা সংঘাত আরও বাড়িয়ে
দেবে। ন্যাটো সীমান্তে যেকোনও আঘাতের পাল্টা জবাব দেওয়া দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া
হয়।
উল্লেখ্য, গত
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে
বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে
যুদ্ধ চলছে। ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন ২৭ লাখের বেশি মানুষ। এ ছাড়া যুদ্ধে ইউক্রেনের
১৩শ’ সেনা
নিহত এবং রাশিয়ার ১২ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে,
যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ
জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৫৬৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪১
শিশু রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে।