ইউক্রেনে রাশিয়ার
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক অভিযান নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
জো বাইডেনসহ বিশ্বনেতারা। হামলা বন্ধের আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও
গুতেরেস।
শেষ পর্যন্ত
পশ্চিমাদের আশঙ্কাই সত্যি হল। রাত পোহানোর আগেই ইউক্রেনে প্রবেশ করল রুশ সেনা। নিরাপত্তা
পরিষদের জরুরি বৈঠকে অবিলম্বে রাশিয়াকে সামরিক অভিযান বন্ধের আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘের
মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
আন্তোনিও গুতেরেস
বলেন, আজ আমার শুধু একটিই কথা বলার আছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন আপনার সেনাদের ফিরে যেতে
বলুন। শান্তিকে সুযোগ দিন। যথেষ্ট প্রাণহানি হয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেনে
রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে কঠোর ও ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের হুশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন বাইডেন। এসময় রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।
জো বাইডেন বলেন,
প্রেসিডেন্ট পুতিন পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছেন যা ভয়াবহ প্রাণহানি ও ভোগান্তি
বয়ে আনবে। ইউক্রেনে যে মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ হবে তার জন্য একমাত্র রাশিয়াই দায়ি। আগ্রাসন
ঠেকাতে কঠোর ও ঐক্যবদ্ধভাবে জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর মিত্ররা। বিশ্বের কাছে
রাশিয়াকে জবাবদিহি করতে হবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার
অভিযানের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোল্টেনবার্গ। তিনি
বলেন, রাশিয়ার এ অপ্ররোচিত এবং অযৌক্তিক আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এতে অসংখ্য
মানুষ প্রাণ হারাবে। ইউরো-আটলান্টিক অঞ্চলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। মিত্রদের নিরাপদ
ও সুরক্ষিত রাখতে যা যা দরকার ন্যাটো তা করবে।
এদিকে, সব পক্ষকে
সংযম বজায় রাখার আহবান জানিয়েছে চীন। উত্তেজনা বাড়তে পারে এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া উচিত
না বলে নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য রাখেন চীনের দূত ঝ্যাং জুন। তিনি বলেন, নিরাপত্তার
স্বার্থে সব পক্ষকে সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানাই আমরা। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমতার
ভিত্তিতে এ সংকটের যুক্তিপূর্ণ সমাধান খোজার পক্ষে চীন।
এছাড়াও, জাপানের
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে
কী পদক্ষেপ নেয়া যায় তা নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সহ জি-৭ এর অন্তর্ভূক্ত দেশগুলোর
সাথে আলোচনা করব।