পশ্চিম ইউক্রেনের রিভনে শহরের বাইরে একটি টেলিভিশন টাওয়ারে রুশ বাহিনীর বিমান হামলায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৯ জন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সোমবার (১৪ মার্চ) এ খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।
আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান ভিতালি কোভাল মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে এ হামলার তথ্য জানান। তিনি বলেন, রুশ বিমান হামলায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও ৯ জন আহত হয়েছেন। এদিকে স্থানীয় সময় সোমবার (১৪ মার্চ) চতুর্থ দফার মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। বৈঠকের প্রথম দিনে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি কেউ।
তবে শান্তি
আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। মুহুর্মুহু
বোমা হামলায় কেঁপে উঠছে একেকটি ভবন। মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে একেকটি আবাসিক
এলাকা। রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন আবাসিক এলাকা ও অন্যান্য স্থাপনা লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ
ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনারা। এতে বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
কিয়েভের উত্তরাঞ্চলে
অবস্থিত আন্তোনোভ বিমান বন্দরের কাছেও বোমা হামলা চালানো হয়। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত
মারিওপোলে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। শহরটির যেদিকে চোখ যায় কেবল ধ্বংস্তূপ ও ক্ষেপণাস্ত্রের
আঘাতের চিহ্ন। তীব্র ঠান্ডা ও পানি সঙ্কটসহ দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছেন অঞ্চলটির বাসিন্দারা।
তবে রুশ অভিযান
প্রতিহতের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে ইউক্রেন সেনারা। সবশেষ একদিনে বেশ কয়েকটি রুশ
বিমান ভূপাতিত করারও দাবি করেছেন তারা। এদিকে, চলমান যুদ্ধে আবারও পশ্চিমাদের সহযোগিতা
কামনা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পোল্যান্ড সীমান্তবর্তী ঘাঁটিতে
রুশ হামলার বিষয়েও পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করেন তিনি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও
ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ
চলছে।