Logo
শিরোনাম

ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানো নিয়ে কী ভাবছে ফ্রান্স

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ইউক্রেনে ১৪টি লেপার্ড-২ ট্যাংক পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন। দেশটির এ সিদ্ধান্তের পর ইউরোপের প্রতিবেশী ডজনখানেক দেশ ট্যাংক পাঠানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। তবে ট্যাংক পাঠানোর সেই তালিকায় এখনো নেই ফ্রান্স। কেন ফ্রান্সের এ নিষ্ক্রিয়তা তা নিয়ে বিশ্লেষণী তুলে ধরেছে দ্য ইকোনমিস্ট।

কয়েক দিন আগে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ফরাসি লেক্লারক ট্যাংক ইউক্রেন যুদ্ধে অবদান রাখবে কি না, তখন তিনি বলেছিলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বছরের শুরুতে জার্মানিকে উদ্বুদ্ধ করতে আগ্রহী ছিল ফ্রান্স। আর তাই জানুয়ারির প্রথম দিকে ঘোষণা করা হয়, তারা ইউক্রেনে হালকা ট্যাংক এএমএক্স-১০ আরসি পাঠাবে। যদিও এর আগের মাসেই ম্যাক্রোঁ যুক্তি দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার। তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগের লাইন খোলাও রেখেছিলেন।

প্রশ্ন উঠছে তাহলে ইউক্রেন নিয়ে ফ্রান্সের কৌশল বা নীতি আসলে কী? ফ্রান্সের অবস্থানের অস্পষ্টতা দুটি জিনিস থেকে বোঝা যায়। একটি হলো রাশিয়ার হামলার আগের কয়েক বছর ম্যাক্রোঁ যে ভূমিকা পালন করেছিলেন তা লক্ষ্য করলে। পুতিনকে আরও ভাল আচরণে আকৃষ্ট করার চেষ্টা এবং তাকে তার বাসভবনে স্বাগত জানানোর আগে, যুদ্ধ ঠেকাতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে মস্কোতে শেষ সফর করেন ম্যাক্রোঁ। এসব ব্যর্থ পদক্ষেপ ফরাসি প্রেসিডেন্টকে এমন একজন নেতা হিসাবে প্রকাশ করে, যিনি পুতিনের যুদ্ধের মোকাবিলা করতে ইচ্ছুক নন।

দ্বিতীয়টি হলো, রাশিয়ার আগ্রাসনের পরে ম্যাক্রোঁ তার রাশিয়ান প্রতিপক্ষের সঙ্গে পশ্চিমা নেতাদের চেয়ে বেশি কথা বলেছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট শান্তি আলোচনার সম্ভাবনাকে সামনে আনেন। তিনি যুক্তি দেন রাশিয়ার উদ্বেগগুলো বিবেচনায় নেওয়া দরকার। গত বছর তিনি রাশিয়াকে অপমান না করার জন্য কৌশলী আচরণ করেন। অনেকের ধারণা, ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনকে শান্তি আলোচনার জন্য চাপ দিতে পারেন।

ফরাসি প্রেসিডেন্সি স্পষ্টতই এটি অস্বীকার করে আসছে। ম্যাক্রোঁ রাশিয়ার প্রতি তার যোগাযোগের লাইন কঠিন করেছেন। গত ৩১ ডিসেম্বর ম্যাক্রোঁ ঘোষণা করেন, ফ্রান্স ইউক্রেনকে জয়ের সব পথে সমর্থন করবে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের এ পরিবর্তন কিয়েভও লক্ষ্য করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ম্যাক্রোঁর বিবৃতি প্রকৃতপক্ষে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন প্রদর্শন করে।

আজকাল পুতিনের সঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্টের কথোপকথন সতর্কভাবে বিবেচনা করা হয়। গত সেপ্টেম্বর থেকে এই জুটি আর কথা বলেননি। ইতিমধ্যে, ফ্রান্স ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক সিজার হাউইটজার ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠিয়েছে। এএমএক্স-১০ আরসি শিগগির পাঠানো হবে৷

ম্যাক্রোঁ এখনও আশা করছেন, ফ্রান্স একদিন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে মধ্যস্থতা করতে সাহায্য করবে। তার এই নীতি ব্যাখ্যা করতে পারে, কেন তিনি ইউক্রেনের জন্য ইউরোপের সামরিক সমর্থনে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক ছিলেন। প্যারিসের বৈদেশিক-নীতি প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে চলে যায় এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গিতে দীর্ঘস্থায়ী ভয়ও থাকতে পারে তার। কিন্তু ফ্রান্সের সম্প্রতি ভারী অস্ত্র সরবরাহ থেকে বোঝা যায় সেই ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা প্রকাশ পাচ্ছে। ম্যাক্রোঁ হয়তো বলছেন, অন্য ইউক্রেনীয় মিত্ররা কী ভাবছে। পুতিনের দায়িত্বে কিংবা বা তার দায়িত্ব ছাড়াই রাশিয়া ইউরোপের দোরগোড়ায় থাকবে। ফরাসিদের ভাষ্য হচ্ছে, যুদ্ধ আলোচনার মাধ্যমে শেষ হবে এবং তাদের মহাদেশের নিরাপত্তা ও ন্যাটোর ভবিষ্যত সীমান্তের অবস্থান বিবেচনা করতে হবে। এটা হতে পারে, কিন্তু পরিস্থিতির জটিলতা প্রকাশ করার জন্য ম্যাক্রোঁর আগ্রহ ফ্রান্সের অবস্থানের স্বচ্ছতাকে ক্ষুন্ন করে।

বাস্তবে ফ্রান্স ইউক্রেনের বিষয়ে আমেরিকানদের অবস্থানের কাছাকাছি। যেমনটি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ম্যাক্রোঁর ওয়াশিংটন রাষ্ট্রীয় সফরের সময় স্পষ্ট হয়। উভয় দেশই উত্তেজনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুতিনের প্রতি ম্যাক্রোঁর লাইনটি দরকারি বলে মনে করেন। আমেরিকানরাও জানে ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তি। গত ২০ জানুয়ারি, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ২০২৪-৩০ এর জন্য প্রতিরক্ষা বাজেট ৪১৩ বিলিয়ন ইউরো অর্থাৎ ২০১৯-২৫ এর তুলনায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। ফ্রান্স যদি ইউক্রেনে লেক্লারক ট্যাংক পাঠায়, তবে এটি সম্ভবত একটি কঠিন সিদ্ধান্তের প্রতীকী হয়ে উঠবে। ফরাসি সেনাবাহিনীর কাছে এ ধরনের ২০০টির মতো ট্যাংক রয়েছে।

তবে ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনের জন্য তার রাজনৈতিক ও সামরিক সমর্থনকে আগের চেয়ে আরও স্পষ্ট করেছেন। এমনকি ফ্রান্সের নেতৃত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হলেও।

নিউজ ট্যাগ: ওলাফ শলৎস

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর