রাশিয়ার হামলা
শুরুর পর প্রথম দিকে ইউক্রেনকে কেউ সাহায্য না করলেও এখন অনেক দেশেই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ ইউক্রেনকে অস্ত্রসহ বিভিন্নভাবে সহয়তা করছে। এবার জার্মানিও
তাদের অবস্থান বদলে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে জার্মানি বলেছিল,
সংঘাতপ্রবণ কোনো অঞ্চলে অস্ত্র রপ্তানি করবে না।
আন্তর্জাতিক
গণমাধ্যমের তথ্যমতে, প্রাথমিকভাবে ইউক্রেনকে ১ হাজার ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্র এবং ৫০০
স্টিঙ্গার ক্লাসের ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে দেশটি। এর বাইরে নেদারল্যান্ডস
দিয়ে ইউক্রেনে ট্যাংকবিধ্বংসী ৪০০ রকেট লঞ্চার পাঠানোর বিষয়টিও অনুমোদন করে জার্মানি।
জার্মান চ্যান্সেলর
ওলাফ শলৎজ বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। পুতিনের
সেনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য ইউক্রেনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব
আমরা।
এর আগে যুক্তরাজ্যের
সমন্বয়ে ২৬টি দেশ ইউক্রেনে মানবিক ও সামরিক সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন
ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনী মন্ত্রী জেমস হেপেই।
এদিকে যুদ্ধের
চতুর্থ দিনেও ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় তুমুল লড়াই চলছে। এরইমধ্যে
কিয়েভ থেকে ৪৬ কিলোমিটার দূরের ভাসিলকিভের একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনে ক্ষেপণাস্ত্র
হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার
প্রেসিডেন্ট পুতিন গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট
পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও
রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ১৯৮ বেসামরিক নাগরিক নিহত
হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৩ শিশুসহ ১ হাজার ১১৫ জন।
এ ছাড়া রাশিয়ার
সাড়ে ৩ হাজার সৈন্য নিহত এবং ২০০ জনকে বন্দি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের সামরিক
বাহিনী।