দেশের সাধারণ
মানুষ ইভিএম বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ
কাদের। তিনি বলেছেন, মানুষ ইভিএমে ভোট দিতে চায় না। দেশের মানুষ মনে করে, ইভিএম হচ্ছে
ভোট চুরির আধুনিক মেশিন। আজ রোববার দুপুরে কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে
মৎস্যজীবী পার্টির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
জি এম কাদের
বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে একমাত্র আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র কয়েকটি রাজনৈতিক
দল ছাড়া সবাই ইভিএমের বিপক্ষে মত দিয়েছে। তারপরও নির্বাচন কমিশন ইভিএমে ভোট নিতে
সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি নির্বাচন কমিশন অচল ও অকেজো ইভিএম সচল করতে
কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। দেশের মানুষ এই উদ্যোগকে সন্দেহের চোখে দেখছে।
ইভিএমের মাধ্যমে
সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইভিএমের ওপর দেশের ৯০ শতাংশ মানুষের আস্থা নেই। আমরা কারচুপির নির্বাচন
চাই না। কারচুপির নির্বাচনে আমরা জিততেও চাই না। আমরা চাই মানুষের ভোটাধিকার। আমরা
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে।’
গোলাম মোহাম্মদ
কাদের বলেন, সচল ইভিএম দিয়ে ভোটগ্রহণেই নানা বিড়ম্বনায় পড়ছেন সাধারণ ভোটাররা। কখনো
ফিঙ্গার মিলছে না, আবার কখনো অকেজো হয়ে যাচ্ছে ইভিএম। এমন বাস্তবতায় অকেজো ইভিএম
নির্বাচনের জন্য তৈরি করা দুরভিসন্ধিমূলক। অকেজো ইভিএমে নির্বাচনই বিপর্যস্ত হবে। ইভিএম
অকেজো হওয়ায় অনেক সময় নিজস্ব লোক দিয়ে হাতে লেখা ফল ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের মানুষ
মনে করছে সরকার ভোটের ফল পাল্টে দিতেই ইভিএমে নির্বাচন করতে চাইছে।
এখন রাষ্ট্র,
সরকার ও সরকারি দল একাকার হয়ে গেছে মন্তব্য করে জি এম কাদের বলেন, সরকারি দলের হয়ে
কাজ করছে রাষ্ট্রের কর্মচারীরা। কিন্তু কথা ছিলো সরকারি কর্মচারী দেশের মানুষের স্বার্থে
কাজ করবেন। সরকারের কোনো অন্যায় আদেশ মানতে তারা বাধ্য নয়। পুলিশ ও প্রশাসনকে মনে
রাখতে হবে তারা রাষ্ট্রের কর্মচারী। দেশের প্রতিটি দল বা মানুষকে সমান চোখে দেখতে হবে।
সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।
জাতীয় পার্টির
মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন পার্টির সিনিয়র
যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, জাতীয় মৎস্যজীবী পার্টির সভাপতি আজহারুল ইসলাম
সরকার, সাধারণ সম্পাদক মীর শামছুল আলম লিপটনসহ আরও অনেকে।