Logo
শিরোনাম

ইভ্যালির ৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগপত্র হাইকোর্টে দাখিল

প্রকাশিত:বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড এই রিপোর্ট দাখিল করে। পাশাপাশি বিচারপতি মানিকের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের পরিচালনা বোর্ডের সদস্যদের পদত্যাগপত্রও আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) পরিচালনা পর্ষদের প্রধান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন পরিচালনা বোর্ডের সদস্যদের পদত্যাগপত্র হাইকোর্টে দাখিল করা হয়।

এ বিষয়ে ইভ্যালির পরিচালনা বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহবুব কবীর মিলন জানান, ইভ্যালির অডিট রিপোর্ট, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মতামত, পরিচালনা বোর্ডের মতামত (যেভাবে আদালত থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে) এবং হাইকোর্ট নির্দেশিত পরিচালনা বোর্ডের সব সদস্যের পদত্যাগপত্র আজ হাইকোর্ট বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। ইভ্যালির নতুন পরিচালনা বোর্ড আগামীকাল (২২ সেপ্টেম্বর) দায়িত্ব গ্রহণ করবে।

এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদের অন্য সদস্যরা হলেন- স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, সনদপ্রাপ্ত হিসাববিদ ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও বিশেষজ্ঞ আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিকে ইভ্যালির নতুন পরিচালনা বোর্ডে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, তার মা ফরিদা আক্তার ও বোনের স্বামী মামুনুর রশীদকে বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত ২৪ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের (কোম্পানি কোর্ট) বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালত আদেশে বলেছেন, পরিচালনা পর্ষদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের নিচে নয় এমন কর্মকর্তাকে স্বাধীন পরিচালক হিসেবে রাখতে হবে। পাশাপাশি নতুন বোর্ডে ই-ক্যাবের একজন প্রতিনিধি থাকবেন।

হাইকোর্টের দেওয়া এ আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন (এফিডেভিট আকারে) দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ১০ আগস্ট ইভ্যালি পুনরায় চালু করতে আদালতের মাধ্যমে গঠিত বোর্ডের কাছে আবেদন করেন কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। আবেদনে তিনি নিজেকে এবং তার মা ও বোনের স্বামীকে পরিচালনা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার আর্জি জানান। শামীমা নাসরিনের পক্ষে আইনজীবী আহসানুল করিম এ আবেদন করেন।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে করা রিট মামলায় পক্ষভুক্ত হতে সংস্থাটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের আবেদন গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

আদালত আদেশে বলেন, এখন থেকে শামীমা নাসরিন এ রিট মামলায় ১৫ নম্বর বিবাদী হিসেবে গণ্য হবেন।

গত বছরের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বোর্ড গঠন করে দেন।

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এক গ্রাহক গুলশান থানায় ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরদিন বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র‍্যাব।

গত ২১ এপ্রিল চেক প্রতারণার ৯ মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে জামিন দেন আদালত। ওই দিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান তিনি। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় কারামুক্ত হতে পারেননি রাসেল। তবে শামীমা নাসরিন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

এর আগে ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে করা এক গ্রাহকের আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির সবধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।


আরও খবর