Logo
শিরোনাম

জাহাজ থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হলো বাংলাদেশি ২৮ নাবিককে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১২৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলার কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধির জীবিত ২৮ নাবিককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা সবাই ভা‌লো আছেন ব‌লে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহ‌রিয়ার আলম।

বৃহস্প‌তিবার (৩ মার্চ) এক ভি‌ডিও বার্তায় প্রতিমন্ত্রী এই তথ্য জানান। তিনি জানান, বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের নিহত নাবিক হাদিসুর রহমানের লাশও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জাহাজের জীবিত সদস্যদের ইউক্রেনের পাশের কোনো দেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে জাহাজ থেকে সরিয়ে নাবিকদের এখন কোথায় রাখা হয়েছে তা নিশ্চিত করেননি প্রতিমন্ত্রী। 

বর্তমা‌নে মিশর সফ‌রে থাকা প্রতিমন্ত্রী ভি‌ডিও বার্তায় ব‌লেন, একটু আগে আমাদের পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত জা‌নি‌য়ে‌ছেন, ইউক্রেনে বাংলা‌দে‌শি জাহাজে থাকা ২৮ না‌বিক‌কে নিরাপ‌দ আশ্রয়ে নেওয়া হ‌য়ে‌ছে। তা‌দের স‌ঙ্গে নিহত না‌বিক হাদিসুর রহমানের মর‌দেহ র‌য়ে‌ছে।

যাদের উদ্ধার করা হলো:

জিএম নুর ই আলম। মাস্টার। সিডিসি নম্বর ৪৭৪২। ১০ মার্চ ২০২১ থেকে তিনি সেই জাহাজে কর্মরত। 

মো. মনসুরুল আমিন। এডিশনাল মাস্টার। সিডিসি ৪২৭১। ১৯ জানুয়ারি ২০২২ থেকে কর্মরত। 

সেলিম মিয়া। এসিও। সিডিসি নম্বর ৬ অক্টোবর ২০২১ থেকে কর্মরত।

রামাকৃঞ্চ বিশ্বাস। সেকেন্ড অফিসার। সিডিসি নম্বর ৬৩৭০। ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি  কর্মরত। 

মো. রুকনুজ্জামান রাজিব। থার্ড অফিসার। সিডিসি নম্বর ৯৬৩৭। ৬ অক্টোবর ২০২১ থেকে কর্মরত।

ফারিয়াতুল জান্নাত তুলি। ডিসি-১। সিডিসি নম্বার ১০৬৯৮। ৬ অক্টোবর ২০২১ থেকে কর্মরত।

ফয়সাল আহমেদ সেতু। ডিসি-২। সিডিসি নম্বর ১০৮৭৬। ৬ অক্টোবর ২০২১ থেকে কর্মরত। 

মোহাম্মদ ওমর ফারুক। চিফ ইঞ্জিনিয়ার। সিডিসি নম্বার ৪১০৪। ১৬ মার্চ ২০২১ থেকে কর্মরত।

সৈয়দ আসিফুল ইসলাম। এডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার। সিডিসি নম্বার ৬৩৪৮। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে কর্মরত।

রবিউল আউয়াল। সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার। সিডিসি ৬৬৩২। ৬ অক্টোবর ২০২১ থেকে কর্মরত।

সালমান সারোয়ার সামি। চতুর্থ ইঞ্জিনিয়ার। সিডিসি ৯৪২১। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে কর্মরত।

ফারজানা ইসলাম মৌ। ইসি-১। সিডিসি ১০৮১৪। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে কর্মরত।

মো. শেখ সাদি। ইসি-২। সিডিসি ১০৮৯৬। ৬ অক্টোবর ২০২১ থেকে কর্মরত।

মো. মাসুদুর রহমান। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। সিডিসি ৫৬৯০। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে কর্মরত। 

মো. জামাল হোসাইন। বসুন। বিএসসি টি ১১২০। ১২ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে কর্মরত।

মো. হানিফ। এবি-১।  সিডিসি ১৩৮১৩। ১৯ জানুয়ারি ২০২২ থেকে কর্মরত।

মো. আমিনুর ইসলাম। এবি-২। সিডিসি ৩২২৩৬। ১৯ জানুয়ারি ২০২২ থেকে কর্মরত।

মো. মহিন উদ্দিন। এবি-৩। বিএসসি ১১১২। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে কর্মরত। 

হোসাইন মোহাম্মদ রাকিব। ওএস-১। টি ৩৩৮৮৫। ১৯ জানুয়ারি ২০২২ থেকে কর্মরত।

সাজজাদ ইবনে আলম। ওএস-২। টি ৩৩৭৬১। ১৯ জানুয়ারি ২০২২ থেকে কর্মরত। 

নাজমুল উদ্দিন। ফিটার। টি ৩৩৭২৪। ১৯ জানুয়ারি ২০২২ থেকে কর্মরত।

মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। ইলেকট্রিশিয়ান। বিএসসি ১১২০। ৬ অক্টোবর ২০২১ থেকে কর্মরত।

সারোয়ার হোসাইন। অয়েলার-১। বিএসসি ১১১৫। ৬ অক্টোবর ২০২১ সাল থেকে কর্মরত।

মো. মাসুম বিল্লাহ। অয়েলার-২। বিএসসি ৩২৯২৬। ১৯ জানুয়ারি ২০২২ থেকে কর্মরত।

মোহাম্মদ হোসাইন। অয়েলার-৩। সিও ৭৫১৪। ৬ অক্টোবর ২০২১ থেকে কর্মরত।

মো. আতিকুর রহমান। ফায়ারম্যান। টি ৩৪২১৮। ৬ অক্টোবর ২০২১ থেকে কর্মরত। 

মো. শফিকুর রহমান। চিফ কুক। টি ২৯৬১২। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে কর্মরত।

মো.  সাইফ উদ্দিন। জিএস। টি ১৪২০৮। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে কর্মরত।  

যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে আটকে থাকা বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজ বুধবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে রকেট হামলার শিকার হয়। হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান (৩৩) নিহত হন। তিনি বরগুনার বেতাগী উপজেলার ৩ নম্বর হোসনাবাদ ইউনিয়নের আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে। ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দর চ্যানেলে নোঙর করা জাহাজটিতে ২৯ জন বাংলাদেশি নাবিক ছিলেন।

বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, সিরামিকের কাঁচামাল ক্লে পরিবহনের জন্য জাহাজটি তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়। সেখান থেকে কার্গো নিয়ে ইতালি যাওয়ার কথা ছিল। তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেয় শিপিং কর্পোরেশন। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ। এরপর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩