Logo
শিরোনাম

জানুয়ারি থেকে বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত চীন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চীনে ৮ই জানুয়ারি থেকে দেশটিতে ভ্রমণকারীদের জন্য কোয়ারেন্টিন বাতিল করা হবে। এমনটাই জানিয়েছে দেশটির কর্মকর্তারা। দেশটিতে জিরো-কোভিড নীতি থেকে সরে আসার পর সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এটি।

তিন বছর সীমান্ত বন্ধ থাকার পর এই দেশটি আবার তাদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে যাদের কাজ করার ও শিক্ষা ভিসা রয়েছে। এছাড়া পরিবার পরিজনদের সাথে দেখা করার জন্যও দেশটিতে যাওয়া যাবে।

তবে এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো যখন চীন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কারণে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ বিস্তার মোকাবেলায় লড়াই করে যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, হাসপাতালগুলোতে জায়গা নেই এবং বয়স্ক মানুষ মারা যাচ্ছে।

দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা এখন আর জানা সম্ভব নয় কারণ কর্মকর্তারা কোভিড সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে।

বেইজিং গত শুক্রবার জানায় যে, প্রায় চার হাজার মানুষ নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে এবং গত সপ্তাহে টানা চার দিন কোনও মৃত্যু হয়নি। রবিবার দেশটি বলেছে যে তারা দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করা বন্ধ করবে।

তবে একটি ব্রিটিশ স্বাস্থ্য তথ্য সংস্থা এয়ারফিনিটি অনুমান করেছে যে, চীনে দৈনিক ১০ লাখ মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে এবং পাঁচ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর দিয়েছে।

চীন বিশ্বের সর্বশেষ প্রধান উন্নত অর্থনীতির দেশ, যারা তিন বছরের লকডাউন, সীমান্ত বন্ধ এবং কোভিডের সংস্পর্শের কারণে কোয়ারেন্টিন চালু রাখার পর কোভিডের সাথে বসবাস করার ঘোষণা দিলো।

তথাকথিত জিরো-কোভিড নীতি অর্থনীতিকে ব্যাহত করেছে। নানা বিধিনিষেধ মান্য করার বিধান এবং বারবার পরীক্ষা করানোর বাধ্যবাধকতা নাগরিকদের বিড়ম্বনায় ফেলেছে। এই নীতির বিরুদ্ধে অসন্তোষ গত নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের বিরুদ্ধে বিরল জন বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। যার ফলে কর্তৃপক্ষ কয়েক সপ্তাহ পরেই কোভিডের নিয়মকানুন বাদ দিয়েছে।

সীমানা বন্ধ করে রাখাটা ছিল সবশেষ প্রধান নিষেধাজ্ঞা। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে, যে কেউ চীনে প্রবেশ করলে তাকে একটি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় তিন সপ্তাহের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হতো। যা সম্প্রতি পাঁচ দিনে কমিয়ে আনা হয়েছে।

কিন্তু সোমবার জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন ঘোষণা করেছে যে, আগামী ৮ই জানুয়ারি কোভিডকে আনুষ্ঠানিকভাবে বি-শ্রেণীর সংক্রামক রোগে নামিয়ে আনা হবে।

এর অর্থ হল কোয়ারেন্টিন বাদ দেওয়া হবে। তবে এখনো চীনে আগত যাত্রীদের একটি পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। সেই সাথে প্রতিদিন চীনে অনুমোদিত ফ্লাইটের সংখ্যাও কমিয়ে আনা হবে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তারা কাজ এবং শিক্ষার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করা এবং পুনর্মিলনের জন্য চীনে আসতে ইচ্ছুক বিদেশীদের জন্য ভিসার ব্যবস্থাও সর্বোচ্চ বিবেচনা করবে।

এটি পর্যটক ভিসার ক্ষেত্রেও করা হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে কর্মকর্তারা বলেছেন যে, আন্তর্জাতিক প্রমোদ তরীর ক্ষেত্রে একটি পাইলট প্রোগ্রাম চালু করা হবে।

নতুন এই বিধিনিষেধকে অনেক চীনা নাগরিক স্বাগত জানিয়েছে। কারণ তারা এখন আবার বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবে। স্থানীয় ফ্লাইট বুকিং ওয়েবসাইটগুলো বলছে যে, এই ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যে ফ্লাইট বুকিং আকাশচুম্বী হয়েছে।

তবে অনেকেই চীনে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা শীর্ষে থাকা সত্ত্বেও সীমান্ত পুনরায় খোলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

বেইজিং এবং সাংহাইয়ের মতো শহরের লোকেরা বলছেন যে, তাদের ফ্লু এবং সর্দির ওষুধ শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং মানুষ তাদের অসুস্থ আত্মীয়দের জন্য চিকিৎসা সেবা যোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে।

স্থানীয় ক্রিমেটোরিয়াম যেখানে মৃতদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয় সেখানে কার্যক্রম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, শত শত মৃত্যু হিসেবের বাইরে থেকে যাচ্ছে।

সোমবার, প্রেসিডেন্ট শি এসব পরিবর্তনের বিষয়ে প্রথম মন্তব্য করেন, কর্মকর্তাদেরকে জীবন বাঁচানোর জন্য সম্ভাব্য সব কিছু করার আহ্বান জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয় যে, দেশটি মহামারি নিয়ন্ত্রণের সাথে একটি নতুন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে এবং আরও লক্ষ্যভিত্তিক কাজ করতে হবে। মহামারি ব্যবস্থাপনা নিয়ে চীনের পদক্ষেপ শিকে একটি কঠিন অবস্থানে ফেলেছে।

চীনের জিরো-কোভিড নীতির পেছনে তার হাত ছিলো এবং অনেকে মনে করেন যে, এটি মানুষের জীবনকে অত্যধিক সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে এবং এটি অর্থনীতিকে পঙ্গু করার জন্য দায়ী।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন যে, এই নীতি থেকে সরে আসার কারণে তাকে এখন সংক্রমণের বিশাল ঢেউ এবং হাসপাতালে ভর্তির দায়িত্ব নিতে হবে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে, একবার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরে কেন দেশটি একটি ঢেউ মোকাবেলার জন্য আরও ভালভাবে প্রস্তুত ছিল না।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর