Logo
শিরোনাম

জাপানে করপোরেট মুনাফা ঊর্ধ্বমুখী

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাপানে করপোরেট খাতের করপূর্ব মুনাফা ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানগুলোর করপূর্ব মুনাফা ১৯ লাখ ৮১ হাজার কোটি ইয়েনে (১৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলার) উন্নীত হয়েছে। এ মুনাফার পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। এ নিয়ে টানা সাত প্রান্তিকে মুনাফা ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।

মন্ত্রিসভা অফিসের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, করপূর্ব মুনাফার পাশাপাশি জাপানের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মূলধন ব্যয়ও বছরওয়ারি ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। কভিডজনিত বিধিনিষেধ শিথিলের পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে করপোরেট মুনাফা বাড়ছে। সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতা শিথিলও মুনাফা প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। বিধিনিষেধ তুলে দেয়ায় পরিষেবা খাতও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এদিকে উৎপাদন ও পরিষেবা উভয় খাতের প্রতিষ্ঠানই ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। সংস্থাগুলোর মূলধন ব্যয়ের প্রবৃদ্ধি ২০১৮ সালের পর সর্বোচ্চ। গত মাসে সংস্থাগুলো ১২ লাখ কোটি ইয়েন বিনিয়োগ করেছে। এ নিয়ে টানা ষষ্ঠ প্রান্তিকে বিনিয়োগের পরিমাণও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।

জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে জাপানের অর্থনীতি অপ্রত্যাশিতভাবে সংকুচিত হয়েছে। ডলারের বিপরীতে ইয়েনের বিনিময় হারে পতন এবং উচ্চ আমদানি ব্যয় দেশটির পরিবার ও ব্যবসাগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে চলমান অনিশ্চয়তার কারণে দেশটির অর্থনীতির দৃষ্টিভঙ্গিও অন্ধকারে রয়ে গিয়েছে। কভিডজনিত বিধিনিষেধ শিথিলের পরও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। বিশ্বজুড়ে উচ্চমূল্যস্ফীতি, ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কিত প্রতিবন্ধকতার কারণে চাপে রয়েছে জাপান।

গত মাসে দেশটির মন্ত্রিসভা অফিস জানিয়েছিল, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে পূর্ব এশিয়ার দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) এক বছর আগের তুলনায় ১ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। যেখানে অর্থনীতিবিদরা ১ দশমিক ১ শতাংশ সম্প্রসারণের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এর আগে দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি ৪ দশমিক ৬ শতাংশ প্রসারিত হয়েছিল। প্রান্তিকভিত্তিক হিসাবেও জাপানের অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় দশমিক ৩ শতাংশ কমে গিয়েছে। যদিও দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদরা। তবে আগামী সপ্তাহে সংশোধিত জিডিপি প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান প্রকাশ করতে যাচ্ছে পূর্ব এশিয়ার দেশটি।

মেইজি ইয়াসুদা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইউইচি কোদামা বলেন, ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন করপোরেট আয়ের ক্ষেত্রে ইতিবাচক হিসেবে কাজ করে। যদিও এ প্রভাব খাতগুলোয় ভিন্নভাবে অনুভূত হচ্ছে। করপূর্ব মুনাফা বৃদ্ধি মূলত কভিডের বিপর্যয় থেকে পুনরুদ্ধারের ফলাফল। জাপানের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গিয়েছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল, কাঁচামাল ও খাদ্যপণ্যের ক্রমবর্ধমান দাম অর্থনীতি সংকোচনে ভূমিকা রেখেছে।

কারণ জ্বালানির ক্ষেত্রে জাপান আমদানির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। ইয়েনের অবমূল্যায়ন এ প্রভাবকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। জ্বালানি তেল, ইস্পাত, রাসায়নিক ও খাদ্য আমদানি মূল্য পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল খাতগুলোয় বছরওয়ারি মুনাফা কমে গিয়েছে। সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া তিন মাসে জাপানি প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক আয় ৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৩৫০ লাখ ৩৭ হাজার কোটি ইয়েনে দাঁড়িয়েছে। মন্ত্রিসভা অফিসের এ জরিপে ১ কোটি ইয়েনের বেশি মূলধনের ৩২ হাজার ৫৭৬টি প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

অর্থনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের জাপানের অর্থনীতিবিদ ড্যারেন টে বলেন, চলমান চতুর্থ প্রান্তিকে অর্থনীতি পুনরায় প্রবৃদ্ধিতে ফিরবে বলে আমরা আশাবাদী। অভ্যন্তরীণ পর্যটনে প্রত্যাবর্তন এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসায় অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে অর্থনীতির সম্প্রসারণ হবে। তবে নতুন করে কভিড সংক্রমণ এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি অর্থনীতি পুনরুদ্ধারকে ধীর করবে।

নিউজ ট্যাগ: জাপান

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩