Logo
শিরোনাম

ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হাতেই তৈরি চ্যাটজিপিটি

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চ্যাটজিপিটি শব্দটি এখন কম বেশি সবার কাছেই পরিচিত। ওপেনআইয়ের তৈরি একটি গুগলের মতোই এইটি সার্চ ইঞ্জিন এটি। তবে গুগলের চেয়ে অনেকটাই আলাদা এর কার্যকলাপ। অন্য সার্চ ইঞ্জিনের মতো চ্যাটজিপিটি এখনো লাইভ বা সরাসরি ইন্টারনেটে কাজ করে না। চ্যাটজিপিটি ৫৭০ গিগাবাইট তথ্য সমৃদ্ধ, যার শব্দ ভান্ডার ৩০০ বিলিয়নেরও বেশি।

গত বছরের নভেম্বরে তৈরি হওয়ার পর সারা বিশ্বেই এখন চ্যাটজিপিটি নিয়ে একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে। শুধু জানুয়ারি মাসেই বিশ্বের প্রায় ১০ কোটি মানুষ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছে। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি চ্যাটবট সিস্টেম বা আলাপচারিতা করার অ্যাপলিকেশন।

চ্যাটজিপিটির এটি হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এমন একটি অ্যাপলিকেশন যাকে বলা হয় লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল টুলস। এটি চালু করেছে ওপেনএআই। এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে চ্যাট জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফর্মার। চ্যাটজিপিটি রেসিপি থেকে শুরু করে গণিত সমাধান, ভার্সিটির অ্যাসাইনমেন্ট, রিপোর্টের সব ধরনের তথ্য পাবেন এ চ্যাটবটে। এমনকি এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই চ্যাটবট আপনার রিপোর্ট-প্রেজেন্টেশন তৈরি করে দেবে মুহূর্তেই। চ্যাটজিপিটি রচনা লিখতে পারে, চাকরির বা ছুটির আবেদন, চুক্তিপত্র, কোন ঘটনা সম্পর্কে ব্যাখ্যা, ছোটখাটো প্রতিবেদন তৈরি করে দিতে পারে। এটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম, গান বা কবিতাও লিখে দিতে পারে ব্যবহারকারীর জন্য। তবে জানেন কি এর নির্মাতা কে? চ্যাটজিপিটি যার হাতে তৈরি তিনি স্যাম অল্টম্যান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্ট লুইতে বড় হন তিনি। ছোটবেলা থেকেই কোডিংয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল তার। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি প্রোগ্রামিং শুরু করেন।

স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র ছিলেন স্যাম। দুই বন্ধুর সঙ্গে লোপট নামের একটি অ্যাপ তৈরি করেন। এসময় তিনি কলেজ ছেড়ে ছেন। লোপট হচ্ছে বন্ধুদের লোকেশন শেয়ার করতে দেয় এমন একটি অ্যাপ। পরবর্তীতে এই অ্যাপ বিক্রি করার জন্য ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দর ওঠে। লোপট বিক্রি করার পর হাইড্রাজিন ক্যাপিটাল নামক আর একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন স্যাম অল্টম্যান। ২০১৫ সালে ইলন মাস্কের সঙ্গে ওপেনআই প্রতিষ্ঠা করেন স্যাম। যদিও ২০১৮ সালে ইলন মাস্ক সরে দাঁড়ান ওপেনআই থেকে। শুরু থেকে একাধিক এআই টুল তৈরি করেছে ওপেনআই, যার মধ্যে অন্যতম দুটি হলো চ্যাটজিপিটি ও ডেল.ই। এই দুই কৃত্রিম মেধা নির্ভর টুলই আজ সারা বিশ্বে সমাদৃত।

স্যাম একজন কলেজ ড্রপ আউট। যার হাতেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি। শুধু স্যাম নয়, কলেজ ড্রপ আউট ছিলেন বিশ্বের আরও অনেক বিখ্যাত মানুষ। রবীন্দ্রনাথ থেকে বিল গেটস, কিংবা স্টিভ জবস, মার্ক জাকারবার্গ কারও-ই নেই প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট।

নিউজ ট্যাগ: চ্যাটজিপিটি

আরও খবর

কমেছে রোলেক্স ও প্যাটেক ফিলিপ ঘড়ির দাম

বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ঘরে বসেই পাওয়া যাচ্ছে ই-ভিসা!

শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




সরকার বুঝে গেছে, তাদের সময় ফুরিয়ে আসছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ২৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সরকার বুঝে গেছে, তাদের সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। তাই নানা নাটক ঘটিয়ে জনগণের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার কূটকৌশল চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষের ভোট ও মত প্রকাশের অধিকার হরণকারী ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী নিশিরাতের ভোটের সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই, নেই জানমালের নিরাপত্তা। যেখানেই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে সেখানেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিচ্ছে সরকার। সাধারণ মানুষের ওপরও গুলি চালাতে কুণ্ঠাবোধ করছে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, পঞ্চগড়ে বিনা উস্কানিতে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। সেখানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে ফায়দা লুটে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও নিরীহ মানুষের ওপর পুলিশ যেভাবে গুলি চালিয়েছে তা সরকারের নিষ্ঠুরতার আরেকটি বহিঃপ্রকাশ। পুলিশের নির্বিচার গুলি ও হামলায় শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। একদিকে গুম-খুন-লুটপাট ও নিপীড়ণ চলছে, অন্যদিকে চলছে গোয়েবলসীয় কায়দায় অকথ্য মিথ্যাচার।

তিনি বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকারের লোকজন উন্মাদ হয়ে গেছে। অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মহান স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া এবং দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন ও চলমান গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার আন্দোলনের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমানকে নিয়ে যেসব মিথ্যাচার চালাচ্ছেন তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত। ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধানের মুখে এসব কথাই শোভা পায়। মন্ত্রীত্ব বাঁচাতে সরকারের মন্ত্রীরাও মিথ্যাচারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তাদের রুচিহীন এমন বক্তব্য জনগণ কোনোভাবেই বিশ্বাসতো করেই না, বরং তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে।

তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও মানুষের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনে সাধারণ মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখে অবৈধ সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। সরকার বুঝে গেছে-তাদের সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। তাই নানা নাটক ঘটিয়ে জনগণের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার কূটকৌশল চালাচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতাত্তোর আওয়ামী সরকার হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়ে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে দেশে-বিদেশে ফায়দা লুটেছিল। এই ভোটারবিহীন সরকারও একই কায়দায় ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করে নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার নানা ধরনের অপকৌশল চালাচ্ছে। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসিত মিথ্যাচার, পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার, নিপীড়ণ, নেত্রকোণায় সাবেক এমপির বাড়িতে পুলিশি হামলা, সাবেক এমপি হারুন অর রশীদ ও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে নিয়ে অশ্রাব্য মিথ্যাচারের ঘটনা সবই একই সূত্রে গাঁথা।

বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে পঞ্চগড়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ একের পর এক বিভেদ সৃষ্টি করে পুলিশি হামলা-মামলা-গ্রেপ্তার এবং জিয়া পরিবার ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।


আরও খবর



সর্বনিম্ন জন্মহারে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্বরেকর্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সবশেষ কয়েকবছর ধরেই জন্মহারে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া দেশের তালিকায় ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। সর্বনিম্ন জন্মহার নিয়ে আলোচনায় ছিল দেশটি। তবে, এবার আগের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে সর্বনিম্ন জন্মহারের তালিকায় বিশ্বে প্রথম তারা। সিউলের সরকারি তথ্যের বরাতে এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে আল-জাজিরা।

 

আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ কোরিয়ার পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত বছর, অর্থাৎ ২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় শিশু জন্মের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশে। ২০২১ এটি ছিল শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশে। ২০২২ সালে সর্বনিম্ন জন্মহার ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে। শহরটিতে জন্মহার শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ।

 

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশটিতে জন্ম নিয়েছে দুই লাখ ৪৯ হাজার শিশু, যা আগের বছর থেকে ১১ হাজার কম। ২০২১ সালে জন্ম নিয়েছিল দুই লাখ ৬০ হাজার শিশু। এদিকে, গত বছর দেশটিতে মারা গিয়েছে তিন লাখ ৭২ হাজার ৪০০ জন। তার আগের বছর মারা গিয়েছিল তিন লাখ ১৭ হাজার ৬৮০ জন।

 

প্রতিবেদন বলছে, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার (ওইসিডি) দেশগুলোর মধ্যে জন্মহারে সবচেয়ে পিছিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া। ২০২০ সালে জোটটির দেশগুলোর জন্মহার ছিল এক দশমিক ৫৯ শতাংশ। একই বছরে জাপানের জন্মহার ছিল এক দশমিক ৩৩ শতাংশ। নিয়মিতভাবে জন্মহার কমায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম দশম অর্থনীতির দেশটি। শ্রমিক সংকট, করদাতার সংখ্যা কমে যাওয়া এবং বয়স্ক মানুষদের পেছনে খরচ বাড়ায় দেশটির অর্থনীতি সংকুচিত হচ্ছে। জন্মহার কমায় এ উদ্বেগ আরও বাড়ছে।  জন্মহার বাড়াতে সর্বশেষ ১৬ বছরে ২১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার খরচ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। তবে, এতেও তারা ব্যর্থ হয়েছে।

 

২০১৮ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি নারীর বিপরীতে সন্তানের সংখ্যা একেরও নিচে নেমে চলে আসে। আর দুই বছর বাদে অর্থাৎ ২০২১ সালে দেশটির জনসংখ্যা প্রথমবারের মতো কমে যায়। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার জনসংখ্যা অনুযায়ী, প্রতি নারীর বিপরীতে দুই দশমিক ১ শতাংশ সন্তান থাকলে দেশটির জনসংখ্যা সমান থাকবে, অর্থাৎ কমবে না। অনেক দক্ষিণ কোরিয়ান পুরুষ বলছেন, তারা তাদের বাবা-মা ও দাদা-দাদির মতো পরিবার রাখার বাধ্যবাধকতা অনুভব করে না। চাকরির অনিশ্চয়তা, ব্যয়বহুল আবাসন, লিঙ্গ ও সামাজিক বৈষম্য ও প্রতিযোগিতামূলক সমাজে শিশুদের লালন-পালনে অনেক খরচ করতে হবে বলে অভিমত তাদের।

 

দক্ষিণ কোরিয়া নারীরা পিতৃতান্ত্রিক সংস্কৃতি নিয়ে অভিযোগ করেছেন। তারা বলছেন, সন্তানকে লালন-পালনে তাদের বৈষম্যের শিকার হতে হয়। এমনকি, কাজ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

নিউজ ট্যাগ: দক্ষিণ কোরিয়া

আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




হারে হারে বিশ্বকাপ মিশন শেষ হলো বাংলাদেশের মেয়েদের

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ১০৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রথম ম্যাচে সম্ভাবনা জাগিয়েও জয়ের দেখা মেলেনি। এরপর আর সম্ভাবনাই তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। হারে শুরু করা বাংলাদেশের মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শেষ হলো হার দিয়েই। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি শেষটা জয় দিয়ে রাঙানোর আশার কথা বললেও তা আশাই থেকে গেল, উল্টো সঙ্গী হলো আরও বড় হার।

মঙ্গলবার রাতে কেপটাউনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এই হারে বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হলো জ্যোতি, সালমা, জাহানারাদের। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারা বাংলাদেশ পরে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারে। শেষ ম্যাচে প্রোটিয়া নারীদের বিপক্ষে হারলো তারা। এক নম্বর গ্রুপের তলানিতে থেকে বিদায় নিলো বাংলাদেশ।

টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে হতাশার ব্যাটিং করে সবাই। অধিনায়ক নিগার ছাড়া আর তিনজন ব্যাটার কিছুটা লড়াই করেন। ৬ উইকেটে ১১৩ রানে থামে বাংলাদেশ। জবাবে ৯ ওভার পর্যন্ত ধীর গতির ব্যাটিং করলেও তা নিমেষেই পুষিয়ে নেন লরা ওলভার্ট ও জাজনিম ব্রিটস। এই দুই ওপেনারের হাফ সেঞ্চুরিতে ১৩ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটের জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

অল্প পুঁজি থাকলেও বল হাতে নিয়ন্ত্রিত শুরু করে বাংলাদেশ। ১১ ওভারে মাত্র ৫১ রান তোলে প্রোটিয়ারা। তখনও আশায় বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর মুহূর্তেই সব পাল্টে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার। হেসেখেলেই দলকে এনে দেন বড় জয়। ম্যাচসেরা লরা ৫৬ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ৫১ বলে ৪টি চারে ৫০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন ব্রিটস। মারুফা আক্তার ছাড়া বাংলাদেশের কোনো বোলারই সুবিধা করতে পারেননি।

এর আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের পক্ষে ৩৪ বলে ২টি চারে সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস খেলেন জ্যোতি। এ ছাড়া শামিমা সুলতানা ১১, সোবানা মোস্তারী ২৭, স্বর্ণা আক্তার ১১ ও নাহিদা আক্তার ১৫ রান করেন। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার মারিজানে কাপ ও আয়াবঙ্গা খাকা ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান ননকুলুলেকো লাবা ও শাবনিম ইসমাইল।


আরও খবর

২০২৬ বিশ্বকাপে ১০৪ ম্যাচ

বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩

ঢাকায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল

শুক্রবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




জয়পুরহাটে ৮৫৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জয়পুরহাট জেলার পাঁচ উপজেলায় চলতি ২০২২-২৩ রবি মৌসুমে ৮৫৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। এতে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ভুট্টা। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ। 

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মাটির গুণাগুণ অনুযায়ী ভুট্টা চাষ উপযোগী হওয়ায় জয়পুরহাট সদর উপজেলা, পাঁচবিবি ও আক্কেলপুর উপজেলায় ভুট্টার চাষ বেশি হয়ে থাকে। কৃষকদের ভুট্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। বিএডিসির পক্ষ থেকে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের  ভুট্টা বীজ সরবরাহ করা হয়েছে । ভুট্টা চাষে তুলনামূলক লেবার ও পরিচর্যা খরচ কম হওয়ার কারণ লাভ হয় বেশী।  সদরের দাদরা ধুলাতর গ্রামের কৃষক রুস্তম আলী বলেন,ফলন ভালো ও ভুট্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবারের মতো এবারও দেড় বিঘা জমিতে  ভুট্টার চাষ করেছেন। আবহাওয়া  অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি।

 

ভুট্টা স্বল্প পানির চাহিদা সম্পন্ন ফসল হিসেবে জনপ্রিয়। ভুট্টা আবাদে বীজ বপনের ২৫-৩০দিন পর ১ম বার সেচ প্রয়োগ ও আগাছা দমন,  ৫০-৫৫ দিন পর ২য় বার, ৭০-৭৫দিন পরে ৩য় বার হালকা সেচ প্রয়োগ করলে বাম্পার ফলন পাওয়া যায়। রোগ বালাই, পোকা মাকড়ের আক্রমণ খুবই কম হয় ভুট্টাতে।  ফলে  জেলায় দিন দিন ভুট্টার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি ২০২২-২৩ মৌসুমে জেলায়  ৮ শ ৫০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ভুট্টার চাষ হয়েছে  ৮ শ ৫৫ হেক্টর জমিতে । যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হেক্টর অতিরিক্ত। 

 

ভুট্টা ফসলের মোচা বা কব সংগ্রহের পরে গাছের অবশিষ্ট অংশ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়, ভুট্টার আটা, ময়দা, গো খাদ্য তৈরীতে দেশে এর ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। মুরগি ও গো- খাদ্য তৈরির জন্য জয়পুরহাটের ফিডমিল গুলোকে জেলার বাইরে থেকে ভুট্টা আমদানী করতে হয়। আমদানী রোধে ভুট্টার আবাদ বৃদ্ধিতে জয়পুরহাট জেলায় বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: কায়ছার ইকবাল।  কৃষকদের মাঝে  উন্নত জাত সরবরাহ,  উদ্ধুদ্ধকরণ ও  পরামর্শ প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

 

জেলায় সুপারসাইন-২৭৬০ জাতের ভুট্টার নতুন জাত প্রবর্তনে কৃষি সম্প্রসারণ  বিভাগ ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন। এক বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করার জন্য কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় প্রতিজন ভুট্টা চাষিকে  ২ কেজি বীজ, ১০ কেজি এমওপি সার ও ২০ কেজি ডিএপি সার দেওয়া হয়েছে। জেলায় এবার এক হাজার চাষিকে  কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায়  মোট  ১৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকার সার, বীজ ও পরিবহন খরচ দেওয়া হয়েছে।  কৃষি অফিস থেকে প্রযুক্তিগত কলাকৌশল ও পরামর্শ পেয়ে চাষাবাদ করতে পেরে অত্যন্ত খুশী বলে জানান ভুট্টা চাষিরা। 

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন বলেন, জেলায় এবার ৮ শ ৫৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে জেলায় এবার প্রায় ১০ হাজার  মেট্রিক টন  ভুট্টার উৎপাদন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: ভুট্টা চাষ

আরও খবর

শখের নার্সারিতে সফল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মনির

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ফাল্গুন মাসে ফসলের যত্নে যা করবেন

মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




শুধু একটি জাহাজের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এবং জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন বলেছেন, শুধু একটি জাহাজ বা সুনির্দিষ্ট কোনো একটি কারণে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সেহেলী সাবরীন বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকেছিল এবং সেখানে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এটাকে তলব বলা ঠিক হবে না। কারণ, রাশিয়ার জাহাজ ভিড়তে না দেওয়ায় ঘটনাটি ছয় সপ্তাহ আগের।

২১ ফেব্রুয়ারি মস্কোয় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যে আলোচনা হয়েছে, সেসব বিষয়ে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে জাহাজকে বাংলাদেশে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে কোনো নির্দিষ্ট জাহাজ বা সংখ্যা নিয়ে আলোচনা হয়নি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞার বাইরেও রাশিয়ার ১ হাজার ১০০ জাহাজ রয়েছে।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩