পূর্ণিমা ও ঘূর্ণিঝড়
ইয়াসের প্রভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে পূর্ব বনবিভাগের ১৯টি জেটি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯টি পুকুর,
১০ অফিস, ২৪টি পাটাতনের রাস্তা ও ছয়টি জলযান। উড়ে গেছে বন বিভাগের স্টেশনের টিনের চালা।
ভেঙে গেছে দুটি টাওয়ার।
বৃহস্পতিবার
(২৭ মে) সকাল ৯টায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বনের
দুর্গম এলাকায় সবার সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে এ তথ্যগুলো পাওয়া
গেছে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নির্ধারণে বন বিভাগ চারটি পৃথক কমিটি গঠন করেছে।
এই বন কর্মকর্তা
আরও বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত বন
বিভাগের চারটি রেঞ্জ এলাকা। যার দুটি বাগেরহাটে অবস্থিত। এরইমধ্যে সুন্দরবনের পূর্ব
বন বিভাগের অন্তর্গত শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ শুরু করেছে কমিটির
কর্মকর্তারা। সুন্দরবনের খুলনা জেলার নলিয়ান ও সাতক্ষীরা জেলার বুড়িগোয়ালিনী রেঞ্জেও
একই ভাবে সেখানখার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
মোহাম্মদ বেলায়েত
হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বনের অনেক এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। তবে দুপুরে জোয়ারের
সময়ে আবারও পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ণিমার জোয়ার ও বাতাসের গতিবেগ থাকায় বনসংলগ্ন
নদীখাল পরিপূর্ণ রয়েছে। তবে সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণি কেন্দ্রের কুমির, হরিণ ও
কচ্ছপ নিরাপদে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড়
ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ৩ নম্বর সংকেত জারি করা হয়। ঝড়ো হওয়া ও জলোচ্ছ্বাস
স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুট উচ্চতায় পানি সুন্দরবন প্লাবিত করে। ফলে ঝড় ও
জলোচ্ছ্বাসে ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।