Logo
শিরোনাম

ঝুঁকিতে মানবদেহের স্বাভাবিক গঠন

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বর্তমান সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তির সহায়তায় অনেক অসাধ্য সাধন করা গেলেও এর কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে সমগ্র মানবজাতি। অত্যধিক প্রযুক্তিনির্ভরতার কারণে মানবদেহের স্বাভাবিক গঠন ঝুঁকিতে রয়েছে। বাড়ছে অস্বাভাবিক গঠনের হার। সম্প্রতি পরিচালিত এক গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে এ তথ্য জানা গিয়েছে। টোলফ্রিফরওয়ার্ডিং এ জরিপে অর্থায়ন করেছে। খবর টেকটাইমস ও ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং।

গবেষকরা একজন থ্রিডি ডিজাইনারের সঙ্গে ভবিষ্যতে মানবদেহের গঠন কেমন হবে এবং অত্যধিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে কী কী সমস্যা থাকবে সেটি ফুটিয়ে তুলতে কাজ করেছেন। বিজ্ঞানীরা মানবদেহের এ থ্রিডি মডেলকে মাইন্ডি নাম দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইন্টারেন্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং। দলটি এ বিষয়ে পরিচালিত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ও পেশাদারদের মতামত পর্যালোচনা করেছেন। দলটি মূলত দীর্ঘমেয়াদে প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে মানবদেহে কী ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে সে বিষয়টিতে গুরুত্বারোপ করেছেন।

ল্যাপটপ, স্মার্টফোনসহ ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত ডিভাইসের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার থেকে থ্রিডি মানবদেহ তৈরির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গবেষকদের তথ্যানুযায়ী, মাইন্ডির পিঠ অনেকটাই বাঁকানো থাকবে। মূলত প্রযুক্তি পণ্যের বা ডিভাইসের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে এ প্রভাব পড়বে। কেননা ডিভাইস ও প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের স্বাভাবিক হাঁটা-চলা ও বসার ভঙ্গিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। তাদের দাবি, দীর্ঘ সময় নিচের দিকে বা স্মার্টফোনের ডিসপ্লে বা কম্পিউটারের মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে প্রভাবিত করবে। ফলে মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক গঠন ব্যাহত হবে।

এক বিবৃতিতে ম্যাপল হলিস্টিকসের স্বাস্থ্য ও সুস্থতাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ক্যালেব ব্যাক জানান, ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে তা স্নায়ুতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে এবং ঘাড়ে চাপ তৈরি করে। ফলে মাথাকে স্থির রাখতে ও স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় ঘাড়ের পেশিগুলোকে আরো বেশি শক্তি ব্যয় করতে হবে। এছাড়া দীর্ঘ সময় কম্পিউটার ব্যবহার করলে সেটি শরীর থেকে ঘাড়ের অংশ ভবিষ্যতে অনেকটাই স্বাভাবিক অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসবে। প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে মানবদেহে আরো এক ধরনের অসংগতি তৈরি হবে। এটি কিউবিটাল টানেল সিনড্রোম বা টেক্সট ক্ল নামে পরিচিত। এটি মূলত হাতের কনুইয়ে থাকা স্নায়ুর অকার্যকারিতা। যেটির কারণে হাতের আঙুল অসার হয়ে যায়। গবেষকরা তাদের থ্রিডি ইমেজে এটি দেখিয়েছেন। দীর্ঘ সময় স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়। দীর্ঘ সময় স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে হাতের আঙুল যে থাবার মতো আকার ধারণ করবে সে বিষয়ে জানানোর জন্য নতুন এ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।

মেড অ্যালার্ট হেল্পের একজন ডাক্তার ও সহপ্রতিষ্ঠাতা নিকোলা জর্ডজেভিচের দাবি, স্মার্টফোন বা সেলফোন যেভাবে হাতে ধরা হয়, সেটি নির্দিষ্ট যোগাযোগ প্রক্রিয়ার চাপ প্রয়োগ করবে, যা টেক্সট ক্ল তৈরি করবে। প্রযুক্তি বা ডিভাইসের অত্যধিক ব্যবহার ভবিষ্যতে কনুইয়ের অবস্থান ৯০ ডিগ্রিতে পরিবর্তিত হয়ে যাবে। টেক্সট ক্ল ও কিউবিটাল টানেল সিনড্রোমে আরো একধাপ পরের অবস্থা হচ্ছে এটি। আলনার স্নায়ু মূলত কনুইয়ের ভেতর একটি ভাঁজের মধ্যে থেকে পরিচালিত হয়। অত্যধিক স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে এটি সংকুচিত হয় ও চাপের মধ্যে থাকে। যে কারণে ধীরে ধীরে এর অবস্থান পরিবর্তন হবে এবং মানবদেহের স্বাভাবিক গঠনকে প্রভাবিত করবে। গবেষকরা আরো দাবি করেন, ভবিষ্যতে স্মার্টফোনের ক্ষতিকর তরঙ্গ থেকে ব্রেনকে সুরক্ষিত রাখতে মানুষের মাথার খুলি আরো মজবুত হবে। সেই সঙ্গে চোখের ওপর চাপ কমাতে ও নীল আলোর প্রভাব থেকে সুরক্ষিত রাখতে দুই স্তরে পাপড়ি তৈরি হবে।

বিবৃতিতে ইউনিভার্সিটি অব টলেডোর এক গবেষক কাসুন রত্নায়েক বলেন, প্রযুক্তিনির্ভরতার কারণে ভবিষ্যতে মানুষের চোখের ভেতরের পাতা বড় আকার ধারণ করতে পারে। মূলত অত্যধিক আলো থেকে চোখকে বাঁচাতে এটি হবে। এছাড়া বিচ্ছুরিত নীল আলোর প্রবেশ রোধে মানুষের চোখের যে মণি থাকে সেটির গঠনেও পরিবর্তন আসবে।

নিউজ ট্যাগ: মানবদেহ

আরও খবর

কমেছে রোলেক্স ও প্যাটেক ফিলিপ ঘড়ির দাম

বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর