বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সামরিক আদালতে সাজা কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে
রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে জিয়াউর রহমানের আমলে সামরিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্তদের
কেন দেশপ্রেমিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে না এবং দণ্ডপ্রাপ্তদের পরিবারকে কেন পর্যাপ্ত
ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া রুলে দণ্ডিতদের সন্তানদের যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরি দেওয়ার বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী এ রুল জারি করেন।
সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বিমান বাহিনীর এক বিদ্রোহের ঘটনায় সামরিক আদালতে দণ্ডের ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিট আবেদনে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সামরিক আদালতে দণ্ডিতদের চাকরির স্বাভাবিক অবসর গ্রহণ পর্যন্ত বেতন, অন্যসব সুবিধা, পেনশন পাওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। ওই সামরিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর সার্জেন্ট সাইদুর রহমানের ছেলে মো. কামরুজ্জামান মিঞা লেলিনসহ বিমান বাহিনীর ১৪ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত সেনা ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের সন্তানসহ ৮৮ জনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মতিউর রহমান রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
রিটে প্রতিরক্ষা
সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিমান বাহিনীর প্রধানকে বিবাদী করা হয়। ১৯৭৬ সালে প্রধান সামরিক
আইন প্রশাসক হিসেবে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেন। তার পরের বছর তিনি রাষ্ট্রপতির পদও
দখল করেন। জিয়া ক্ষমতা দখলের পর সামরিক বাহিনীতে অনেকগুলো বিদ্রোহ-অভ্যুত্থানের চেষ্টা
চলেছিল, যাতে জড়িতদের সামরিক আদালতে বিচার করে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন সাজা দেওয়া হয়েছিল।