Logo
শিরোনাম

জলবায়ু পরিবর্তনে বিপন্নের পথে সুন্দরবন

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১৭১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিপদের দিন আর বেশি দূরে নেই। ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) ষষ্ঠ অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্টে অন্তত তেমনই ইঙ্গিত। তাতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে অশনি সংকেত দেওয়া হয়েছে। সাড়ে তিন হাজার পৃষ্ঠার বেশি এই রিপোর্টের উঠে এসেছে সুন্দরবন প্রসঙ্গও। ভারতীয় অংশের সুন্দরবনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কতটা পড়তে পারে আইপিসিসির রিপোর্টের আলোকে তার একটা ধারণা দিয়েছেন দেশটির জলবায়ু বিজ্ঞানী ড. অঞ্জল প্রকাশ।

আমফানের প্রভাব: ১৯৯৯ সালের পর আমফান ছিল বঙ্গোপসাগরের তৈরি হওয়া প্রথম সুপার সাইক্লোন। গত ১০০ বছরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ওপর আছড়ে পড়া সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণঝড়ের নাম আমফান। প্রবল শক্তিশালী হওয়ার পরও পশ্চিমবঙ্গের ওপর আমফান যতটা ক্ষয়ক্ষতি পারত, তার চেয়ে হয়েছিল কিছুটা কম। তার কারণ সুন্দরবন ঝড়ের গতি অনেকটা কমিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু তার মূল্য দিতে হয়েছে সুন্দরবনকে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়, প্রায় ১৬শ বর্গ কিলোমিটার ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংস হয়েছিল আমফানের জন্য। একই সঙ্গে কলকাতার সবুজের বংশ ধ্বংস হয়ে যায় আমফানের প্রভাবে।

আনুমানিক ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল আমফানের জন্য। পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা জুড়ে প্রায় ২৪ লাখ মানুষ ভিটেমাটি হারা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝড়ের আগে ৮ লাখ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমফানের মতো সুপার সাইক্লোন তৈরি হওয়ার পেছনে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি। তার সঙ্গে সেই সময় করোনা লকডাউন চলতে থাকায় অ্যারোসলের বৃদ্ধি ও সমুদ্রের উপর মেঘ জমতে থাকায় প্রধান কারণ।

বহুমুখী বিপদের আশঙ্কা: বহুমুখী বিপদ বলতে বিজ্ঞানীদের মতে, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, ভূমিকম্প, ভূমিধস ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে টোকিও, ওসাকা, করাচি, ম্যানিলা, তিয়ানজিন, জাকার্তা কলকাতা এ ছয়টি শহর বিপদের মুখোমুখি হতে চলেছে। এসব মেগাসিটিগুলোতে বর্তমানে সম্মিলিতভাবে ১৪৩ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করে। এসব নাগরিকরা ভবিষ্যতে ব্যাপক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হতে চলেছেন।

ব্যাপক খরা পরিস্থিতির সম্ভাবনা: শহরাঞ্চলে শুষ্ক মাটির পরিমাণ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। রিপোর্টে ২০০০ সাল থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে এশিয়ার বহু শহরে শুষ্ক মাটি ব্যাপক হারে বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মেগাসিটিগুলোর মধ্যে রয়েছে, কলকাতা, দিল্লি ও করাচি। রিপোর্টে বলা হয়েছে ৩ লাখের বেশি বসবাস করে এরকম ৩৩০টি শহরে সব মিলিয়ে ৪১১ মিলিয়ন মানুষ এই সমস্যার মুখোমুখি হতে চলেছেন।

বন্যার কবলে পড়তে চলেছে বহু মহানগর: আইপিসিসির রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর বৃহত্তম ২০টি মহানগরে ব্যাপকভাবে বন্যার প্রভাব পড়তে পারে। এই ২০ শহরের মধ্যে ১৩টি এশিয়া মহাদেশে। এর মধ্যে নয়টি শহর এরকম রয়েছে যেগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে হয়তো বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে। এই ৯ শহরের তালিকায় রয়েছে কলকাতা, গুয়াংজু, তিয়ানজিন, হো চি মিন সিটি, জাকার্তা, ঝানজিয়াং, ব্যাংকক জিয়ামেন ও নাগোয়া।

সুন্দরনের উপর প্রভাব: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে সুন্দরবনের নিচু অঞ্চল এবং ছোট ছোট দ্বীপতে লবণাক্ত সামুদ্রিক পানি প্রবেশ করবে বলে মনে করা হয়েছে আইপিসিসির রিপোর্টে। ফলে সুন্দরবনের বড় অংশের বাস্তুতন্ত্রের ব্যাপক পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর জেরে সুন্দরবন জুড়ে বর্তমান অর্থনীতি বা মানুষ যেসব উপায় নিজেদের জীবন-জীবিকা নির্বাহিত করে থাকেন সেগুলো ধীরে ধীরে অনুৎপাদনশীল হয়ে উঠবে। ফলে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন হতে পারে বলে রিপোর্টে মনে করা হয়েছে।

সুন্দরবনের ব-দ্বীপ অঞ্চলগুলোর পরিবেশগতভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল। খুব তাড়াতাড়ি সুন্দরবনকে সুরক্ষিত রাখার জন্য পরিকল্পনার প্রয়োজন।

নিউজ ট্যাগ: সুন্দরবন

আরও খবর

আতশবাজির আলোতে ঝলমলে রাজধানী

রবিবার ০১ জানুয়ারী ২০২৩

রসগোল্লার জন্মদিন আজ

মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর