জলবায়ু পরিবর্তনে কারণে বাংলাদেশের চারটি
অঞ্চল সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া একই কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ১ কোটি
৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে
বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ‘কান্ট্রি ক্লাইমেট ও ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে
এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনের মূল বিষয়বস্তু তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া
বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের
কারণে বাংলাদেশের চারটি অঞ্চল বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছে। অঞ্চলগুলো হচ্ছে- বরেন্দ্র এলাকা,
পার্বত্য চট্টগ্রাম, উপকূল ও হাওর এলাকা। জেলা হিসেবে ধরলে হাওরের ময়মনসিংহ জেলার পশ্চিমাংশ,
রংপুরের পূর্বাংশ এবং খুলনার দক্ষিণাংশ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে।
নিয়মিতভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, এমন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের তাই এ ধরনের পরিস্থিতি
মোকাবিলার সামর্থ্য বাড়াতে হবে।
এতে বলা হয়, বায়ুদূষণের কারণে বছরে প্রাক্কলিত
ক্ষতি জিডিপির প্রায় ৯ শতাংশ। এবং দেশের ৩২ শতাংশ মৃত্যু পরিবেশ দূষণের সঙ্গে সম্পর্কিত;
বিশেষ করে বায়ুদূষণ, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধির ঘাটতি এবং সিসা দূষণ।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ
বাংলাদেশের ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে। এ ছাড়া এ সময়ের মধ্যে কৃষি খাতে
জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ কমতে পারে। বাংলাদেশে জলবায়ুজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় বছরে বাংলাদেশের
দরকার ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশের তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস
ও বৃষ্টিপাত ৪ শতাংশ বাড়লে উপকূলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ২৭ সেন্টিমিটার বা বেশি বাড়তে
পারে। এতে উপকূলে সম্পদহানি দ্বিগুণ হতে পারে, যা বছরে ৩০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বলেও
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।