Logo
শিরোনাম

জলবায়ু সম্মেলনে ইতিবাচক ফল চায় দক্ষিণ এশিয়া

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

তের বছর আগে সিদ্ধান্ত হয়, ২০২০ সাল নাগাদ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলো প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার গরিব দেশগুলোকে দেবে। সেই প্রতিশ্রুতি রাখেনি তারা। দক্ষিণ এশিয়া ঠিকই জলবায়ু পরিবর্তনের মূল্য দিচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো যে কতটা ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়ছে বিশ্ব ব্যাংকের এক পরিসংখ্যানে তা বোঝা যেতে পারে। টাকার অংক উল্লেখ করে সংস্থাটি বলছে, চলতি দশকের শেষে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো বছর প্রতি ১৬ হাজার কোটি ডলার ক্ষতির মুখে পড়বে। আর আগামী তিন দশক মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই অঞ্চলের চার কোটি লোক বাস্তুচ্যুত হবে।

জার্মানির পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন জার্মান ওয়াচের এক গবেষণায় দেখা গেছে, চলতি শতকের প্রথম দুই দশকে বিশ্বের যে কয়টি দেশ দীর্ঘমেয়াদে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে তার প্রথম দশটি দেশের তিনটিই হলো দক্ষিণ এশিয়ার। দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপাল। পরের দশ দেশের তালিকায় আছে দক্ষিণ এশিয়ার আরো দুই দেশ- ভারত ও আফগানিস্তান।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জনসংখ্যায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ভারতে পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। শুধু ২০২১ সালেই দেশটি ১৯টি প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়েছে। এই সময়ে এশিয়ার দেশগুলোতে মোট ১৭৪টি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে।

জলবায়ু এই পরিবর্তন বিবেচনায় দেখা যায় দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তানের পরিস্থিতিও ভয়াবহ। দেশটির ৩ কোটি ৩০ লাখ লোক চলতি বছর নানা ধরনের প্রাকৃতির দুর্যোগের কারণে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আর ভয়াবহ বন্যার কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তরাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং তাদের জীবন জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জলবায়ু বিশেষজ্ঞ টমাস মাইকেল কের বলেন, পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যার পর পুনর্গঠনের জন্য এক হাজার ছয়শ কোটি ডলার প্রয়োজন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় সম্প্রতি আঘাত করা হারিকেন ইয়ানের সঙ্গে আমি পাকিস্তানের বন্যার তুলনা করতে চাই। দুটোই অনেক ভয়াবহ ছিল। কিন্তু ফ্লোরিডার চেয়ে পাকিস্তানের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

দাবদাহ, সাইক্লোন, খরা এবং বন্যার তীব্রতা মাথায় নিয়ে টিকে আছে দক্ষিণ এশিয়ার লোকেরা। এসব দুর্যোগ এত ঘন ঘন হচ্ছে যে, এগুলো এই অঞ্চলের মানুষের কাছে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অংশ হয়ে উঠেছে।

পাকিস্তানে বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিভিন্ন ঘটনার বিষয়ে দেশটির একজন তরুণ পরিবেশকর্মী ও জাতিসংঘের গুডউইল অ্যাম্বাসাডর আলিজা আয়াজ বলেন, এটা খুব কষ্টের। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় ছিলেন। মনে হচ্ছিল যদি ঘটনাস্থলে থেকে আমি মানুষকে সাহায্য করতে পারতাম। আমার যদি এতটা ক্ষমতা ও প্রভাব থাকত যে আমি তাদের ঠিকমত সহযোগিতা করতে পারতাম, তাতে হয়ত অনেকের জান বাঁচত।

ভুক্তভোগী লোকদের জন্য একটি টেকসই সমাধানের আশায় আয়াজের মতো পরিবেশকর্মীরা এবং জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা চলতি বছরের জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭-এর দিকে তাকিয়ে আছেন। কারণ ২০১৫ সালে প্যারিসের জলবায়ু সম্মেলনে হওয়া বিভিন্ন চুক্তির বাস্তবায়ন না হওয়ায় উদ্বেগ রয়ে গেছে।

ভারতের সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের পলিসি রিসার্চার অভন্তিকা গোস্বামী বলেন, খোদ প্যারিস চুক্তিতে ন্যায্যতা রাখা হয়েছে বলে ভুল ধারণা রয়েছে। কারণ সেখানে কার্বন নিঃসরণ কমানোর দায় ধনী গরীব সব দেশের ওপর সমানভাবে চাপানো হয়েছে। এই অন্যায্যতা আরো বাড়বে। কারণ গরীব ও ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো একটা সংকটে ভুগছে যার দায় একেবারেই তাদের নয় এবং ঘুরে দাঁড়াবার জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণও পাচ্ছে না।

প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, ২০২০ সালের পর থেকে জলবায়ু অর্থায়নের অংকটি বছর প্রতি একশ বিলিয়ন বা দশ হাজার কোটি ডলার হওয়ার কথা। কিন্তু এখনো এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি ধনী দেশগুলো।

উন্নত দেশগুলোর দাবি, ২০২০ সালে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে মোট আট হাজার তিনশ ত্রিশ কোটি ডলার প্রদান করা হয়েছে। তবে ব্রিটিশ বেসকারি সংস্থা অক্সফাম বলছে, এই তহবিলের প্রকৃত অংক দুই হাজার তিনশ থেকে দুই হাজার ৪৫০ কোটি ডলার।

ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের সম্মেলনে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কীভাবে অভিযোজন করা যায় সে সমস্যা সমাধানে উপর জোর প্রদান করা হবে। তাছাড়া অভিযোজনের জন্য বিভিন্ন গোষ্ঠি কীভাবে সহজে অর্থনৈতিক সুবিধা লাভ করতে পারে সে বিষয়টিও সহজ করা হবে।

ঢাকাস্থ ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক সালীমুল হক বলেন, প্রশমন প্রকল্পের জন্য জলবায়ু বিষয়ক যে তহবিল আসে তা মূলত নবায়নযোগ্য প্রকল্প যেমন সোলার, বায়ু শক্তি ইত্যাদি খাতে দেওয়া হয়। এসকল প্রকল্প লাভজনক তাই এখানে ঋণ প্রদান করা হয়। আর এ কারণে উন্নত দেশগুলো প্রশমন প্রকল্পের বিষয়ে বেশি আগ্রহী। অন্যদিকে অভিযোজন তহবিল সাধারণত আক্রান্ত এলাকা যেমন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দুর্গত লোকেদের টিকে থাকবার জন্য সাহায্য হিসেবে দেয়ার কথা।

এদিকে, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ গোস্বামীর মতে, কপ-১৫ সম্মেলনে বছরপ্রতি ১০ হাজার কোটি ডলার দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা অনেকটাই অবিবেচনাপ্রসূত। কারণ এই সিদ্ধান্ত অনুন্নত দেশগুলোর জলবায়ু প্রশমন এবং অভিযোজনকে সঠিকভাবে বিবেচনায় নেয় না।

তিনি বলেন, কপ-২৭ সম্মেলন অবশ্যই ২০২৫ সাল থেকে নতুন করে তহবিলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে যেন তা প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে সক্ষম হয়।

আর বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ কের বলেন, জলবায়ু সহিষ্ণু হওয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের ব্যাপারে আমাদেরকে নতুন পথ খুঁজে বের করতে হবে।

তার আশা, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য কীভাবে অর্থায়ন বাড়ানো যেতে পারে সে বিষয়ে চিন্তা করতে সম্মেলনে সবাইকে একত্রিত করা যাবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো সম্প্রতি লস অ্যান্ড ড্যামেজ নামে একটি তহবিল গঠনের চেষ্টা করছে। মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে অভিযোজন এবং প্রশমনের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের পুনর্বাসনের জন্যও মোটা অংকের অর্থনৈতিক সযোগিতা প্রয়োজন।

সালীমুল হক জানান, মানবসৃষ্ট দুর্যোগের কারণে পাকিস্তানের বণ্যা দ্বিগুণ ভয়াবহ হয়েছে উঠেছে। তিনি বলেন, অভিযোজন এবং প্রশমন প্রকল্পগুলো ব্যর্থ হয়েছে। মানুষ ক্ষতির মুখে পড়ছে। তাদের সহযোগিতা দরকার। আর এ জন্য আমাদের তহবিল দরকার।

এদিকে লস অ্যান্ড ডেমেজ তহবিলের বিষয়টি এখনো কপ-২৭-এর মূল আলোচ্যসূচিতে স্থান পায়নি। মূল আলোচনায় স্থান পেতে হলে সম্মেলনের শুরুতেই তা ভোটাভুটির মাধ্যমে এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর চাপ অব্যাহত আছে।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান সালীমুল হক বলেন, যেকোনো একটি দেশও এই প্রস্তাবনার বিষয়ে আপত্তি তুলতে পারে এবং তা থামিয়ে দিতে পারে। আর এমন হলে এটি নিয়ে রীতিমত বাকযুদ্ধ শুরু হবে এবং শুরু হওয়ার আগেই কপ-২৭ ব্যর্থ বলে গণ্য হবে।

তিনি বলেন, মানবসৃষ্ট কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে দুর্যোগ ঘটছে সে বিষয়ে আমাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আইপিসিসির ষষ্ঠ প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, মানবসৃষ্ট কারণে কার্বণ নিঃসরণ বেড়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। এই বাস্তবতা প্রমাণের পর কপ-২৭ প্রথম সম্মেলন। আর এ সম্মেলন চলমান সমস্যার সমাধান আসতে হবে।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর