আজ ঈদ
জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে ক্ষুদ্রাকৃতির মৌমাছির জন্ম হতে পারে। গবেষকেরা ধারণা করছেন, মৌমাছিগুলো ‘বামব্লিবিস’ প্রজাতির মৌমাছির চেয়েও ছোট হবে। প্রসিডিংস অব দ্য রয়্যাল সোসাইটি বি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রবন্ধে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রে ‘ক্যাসকাডিং’ প্রভাব দেখা যাচ্ছে বলে ওই গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে। আর এর প্রভাবের ফলেই ছোট ছোট মৌমাছির জন্ম হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা রকি পর্বতমালার একটি এলাকায় আট বছর ধরে ২০ হাজারেরও বেশি মৌমাছির ওপর গবেষণা চালিয়েছেন। তাঁরা মৌমাছিদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের নানা ধরনের প্রভাব লক্ষ করেছেন।
গবেষণা প্রবন্ধের লেখকেরা জানিয়েছেন, গবেষণার প্রয়োজনে তাঁরা সাব আপ্লাইন এলাকা থেকে নমুনা (মৌমাছি) সংগ্রহ করেছিলেন। কারণ এলাকাটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকার তুষার গলে যাচ্ছে। গবেষকেরা দেখেছেন, তাপমাত্রা বাড়ার কারণে এই এলাকায় বড় আকৃতির মৌমাছিগুলোর শারীরিক আকৃতি ক্রমশ খর্ব হয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে মাটিতে বাসা বাঁধে এমন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৌমাছির জন্ম বেড়ে গেছে।
গবেষকেরা বলেছেন, আমাদের গবেষণা ফলাফল এটাই নির্দেশ করে যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি, তুষার গলে যাওয়া, অসময়ে বৃষ্টিপাত ইত্যাদি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে মৌমাছি সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক বিবর্তন ঘটবে। ইতিমধ্যে বামব্লি, লিফকাটার ও ম্যাসন প্রজাতির মৌমাছিগুলো ছোট হতে শুরু করেছে।
বামব্লি প্রজাতির মৌমাছিগুলোর তাপ সহনশীলতা অন্য মৌমাছিদের তুলনায় কম বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। এই মৌমাছিগুলো তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপেক্ষাকৃত শীতল অঞ্চলে পাড়ি জমায়। উদ্ভিদ পরাগায়ণে মৌমাছি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে দীর্ঘ দূরত্বের পরাগায়ণ হ্রাস পেতে পারে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১১৫টি খাদ্যশস্যের ৭৫ শতাংশই পতঙ্গ পরাগায়ণের ওপর নির্ভরশীল। এর মধ্যে কোকো, কফি, বাদাম ও চেরি খাদ্যশস্য রয়েছে।
