Logo
শিরোনাম

জলবায়ু পরিবর্তনে আরও তীব্র হচ্ছে ভারত-পাকিস্তানের তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৯২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে উত্তর-পশ্চিম ভারত ও পাকিস্তান। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এপ্রিল ও মে মাসে বয়ে যাওয়া রেকর্ড পরিমাণ এই তাপপ্রবাহ আগের চেয়ে প্রায় শতগুণ বেশি। এছাড়া চলতি শতাব্দীর শেষের দিকে এই ধরনের তাপপ্রবাহ আরও ঘন ঘন হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন। যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিসের এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে পৃথক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও ব্লুমবার্গ।

বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিসের ওই বিশ্লেষণাত্মক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে ভারতে ও পাকিস্তানে তাপমাত্রা রেকর্ড অতিক্রম করে। কিন্তু এই অঞ্চলে এমন তাপমাত্রা প্রতি তিন বছরে একবার দেখা যেতে পারে। আর এর মূলে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন।

ব্রিটিশ আবহাওয়া অফিসের গবেষকরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়া এমন তীব্র তাপপ্রবাহ সাধারণত প্রতি ৩১২ বছরে একবার ঘটে থাকে। এছাড়া আগামী দিনগুলোতে উত্তর-পশ্চিম ভারতে তাপমাত্রা নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়ার পূর্বাভাস দানকারীরা। জলবায়ু পরিবর্তন বিবেচনায় নিলে বর্তমান জলবায়ুতে প্রতি ৩.১ বছরে একবার এ ধরনের তাপপ্রবাহ দেখা দেবে। এছাড়া চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ প্রতি ১.১৫ বছরে একবার এই তাপপ্রবাহ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা বিজ্ঞানী নিকোস ক্রিস্টিডিস এক বিবৃতিতে বলেন, গত এপ্রিল ও মে মাসে এই অঞ্চলের প্রাক-মৌসুমি জলবায়ুতে সবসময় তাপপ্রবাহ একটি বৈশিষ্ট্য হিসেবেই ছিল। যাইহোক, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই যে এই তীব্র তাপপ্রবাহের সৃষ্টি হচ্ছে সেটি আমাদের গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভারতের বেশ কিছু অংশে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২ ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে। একইসঙ্গে পাকিস্তানের কিছু অংশে গত রবিবার তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তীব্র এই তাপপ্রবাহ আপাতত কিছুটা কমলেও ভারত ও পাকিস্তানের বেশ কিছু অংশে ফের তা ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে।

বিবিসি জানিয়েছে, ১৯০০ সালের পর থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। বিশেষ করে এপ্রিল ও মে মাসে এই তাপমাত্রা উঠে যায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে। ২০১০ সালে ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও পাকিস্তানে এপ্রিল ও মে মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছিল। আর নতুন এই গবেষণাটি ২০১০ সালের তাপপ্রবাহের ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা হয়েছে। অবশ্য উত্তর-পশ্চিম ভারত-সহ আশপাশে অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি বেশ স্পষ্ট। জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নয়াদিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশজুড়ে প্রচণ্ড গরম বাতাস বয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তাপমাত্রা ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করলেও উত্তর-পূর্ব ভারতে দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। আর আবহাওয়ার এই পরিস্থিতিতেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি অনেকটা স্পষ্ট।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, দেশটির রাজধানী দিল্লিতে ১৯৫১ সালের পর চলতি বছরের দ্বিতীয় উষ্ণতম এপ্রিল রেকর্ড করেছে, যার মাসিক গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মির এবং লাদাখের পার্বত্য অঞ্চলসহ উত্তর ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলোতেও এই মৌসুমে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে উত্তর ভারত যখন উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে লড়াই করছে তখন দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালা এবং লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জের কিছু অংশে গত রবিবার ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া কেরালার পাঁচটি জেলাজুড়ে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

একইসঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের আসামে আকস্মিক বন্যা এবং বেশ কয়েকটি স্থানে ব্যাপক ভূমিধসের ফলে রেল ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এই বন্যায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৯ জন এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় পৌনে ৭ লাখে।

নিউজ ট্যাগ: তাপপ্রবাহ

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর