ভারতের জলপাইগুড়ির
রাজগঞ্জ এলাকায় চোর সন্দেহে বাংলাদেশি এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার
(২৪ আগস্ট) সকালে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের চাউলহাটি
সংলগ্ন বড়ুয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম
সালাম (৩৫)। তিনি বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলা সদরের সাতমেরা ইউনিয়নের কাহারপাড়া এলাকার
মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে।
এদিকে, মৃত্যুর
বিষয়টি ভারতীয় গণমাধ্যমসহ স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে পঞ্চগড়ের অমরখানা ডাঙ্গাপাড়া
সীমান্ত এলাকাসহ পুরো সাতমেরা ইউনিয়নে চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম
সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশি যুবক সালাম রাজগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার
লাগোয়া ১৯৫ ব্যাটালিয়নের চাউলহাটি সংলগ্ন বড়ুয়াপাড়া গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার (২৩
আগস্ট) দিনগত রাত ৩টার দিকে দু’টি বাড়িতে গরুর চুরি করতে একদল চোরের সঙ্গে প্রবেশ
করে। সে সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে চিৎকার করলে গরু রেখে চোরেরা লাগোয়া গ্রামে চা বাগানে
লুকায়। কিন্তু, রাত থেকে গ্রামবাসীদের পাহারায় বুধবার সকালের সূর্যের আলোয় সালামকে
ধরতে সক্ষম হয় স্থানীয়রা। সে সময়ই গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় বাংলাদেশি যুবক সালামের। খবর
পেয়ে বিষয়টি তদন্তে নেমেছে ভারতের রাজগঞ্জ থানার পুলিশ।
সাতমেরা ইউনিয়ন
পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সালাম
নামে ওই যুবক একজন গরু ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে বর্ডার
গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের কাছে সহায়তা চেয়ে একটি আবেদন করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে
ভারতীয় সীমান্ত বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে
বিজিবি।
তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশের
ওই সীমান্ত এলাকা ৫৬ বিজিবি কাভারে থাকলেও তাদের সঙ্গে মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ
করলেও কল রিসিভ হয়নি।