স্কুলশিক্ষিকার
চাকরি ছেড়ে সটান জঙ্গিগোষ্ঠীর ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার! ব্ল্যাকবোর্ড ছেড়ে হাতে তুলে
নেন কালাশনিকভ রাইফেল আর রকেট লঞ্চার। সিরিয়ার আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যা সেই আল্লিসন
ফ্লুক এক্রেনকে বুধবার ২০ বছরের জেলের সাজা দিয়েছে আমেরিকার একটি আদালত।
বছর বিয়াল্লিশের
এক্রেনের বিরুদ্ধে আমেরিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শপিং মলে হামলার জন্য জঙ্গি নিয়োগের
অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এমনকি, আমেরিকা ছেড়ে পশ্চিম এশিয়ায় গিয়ে জঙ্গিদলে নাম লেখানোর
পরে এক্রেন তাঁর নিজের ছেলের ‘নিরাপত্তার’ ভয় দেখিয়ে প্রাক্তন স্বামীর থেকে অর্থ
আদায়ের চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ।
ভার্জিনিয়ার আলেকজন্দ্রিয়া
আদালতে শুনানির সময় এক্রেন কবুল করেছেন, সিরিয়ায় আইএসের একটি মহিলা ব্যাটেলিয়নের কমান্ডার
হিসেবে শতাধিক মহিলাকে নাশকতার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তিনি। শিখিয়েছেন, আগ্নেয়াস্ত্র চালানো
এবং মানববোমা হওয়ার কৌশল। কিন্তু কোনও শিশুকে জঙ্গি হওয়ার প্রশিক্ষণ দেননি বলে তাঁর
দাবি।
২০১৪ সালে সিরিয়ায়
গিয়ে আইএসে নাম লেখানোর পরে এক্রেনের নতুন পরিচয় হয়, উম্মে মহম্মদ আল-আমরিকি ওরফে উম্মে
জাব্রিল নামে। ২০১৬-য় পশ্চিম এশিয়ার জঙ্গি সংগঠনটির মহিলা ব্যাটেলিয়নের দায়িত্ব পান
তিনি। অস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যবহারের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মহিলা রংরুটদের গাড়ি চালানো
এবং শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর শিক্ষা দেওয়ায় দায়িত্ব পান তিনি। এমনকি, দিতেন ধর্মশিক্ষাও!
কানসাসের একটি
স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকা এক্রেনের বিরুদ্ধে আমেরিয়ার নাশকতায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগে
২০১৯ সালে চার্জ গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু তখনও তিনি সিরিয়ায়। পরে তিনি ধরা পড়েন এবং
আমেরিকায় ফেরত আনা হয়। গত মঙ্গলবার নাশকতার অভিযোগে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ভার্জিনিয়ার
আদালত। আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এক্রেনের দু’দশকের কারাবাসের
মেয়াদ।