Logo
শিরোনাম

জনকণ্ঠ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তোয়াব খান

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১৫৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এবং প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ছিলেন

প্রখ্যাত প্রবীণ সাংবাদিক তোয়াব খান দৈনিক জনকণ্ঠ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।

পারিবারিক সূত্র তার চাকরি ছাড়ার কথা স্বীকার করলেও এর কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।

তবে জনকণ্ঠের একটি সূত্র জানায়, অভিমানে চাকরি ছেড়েছেন বর্ষীয়ান এই সাংবাদিক। কারণ, তাকে বাসায় থেকে কাজ করতে বলা হয়েছিল; আবার পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে তার পরামর্শ নেওয়া হচ্ছিল না। এ প্রেক্ষাপটে কাজ ছাড়া বেতন নেওয়া অনৈতিক বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সততার সঙ্গে জীবনভর সাংবাদিকতা করা এই সর্বজনশ্রদ্ধেয় সাংবাদিক।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসংগ্রামী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক তোয়াব খানের দক্ষ নেতৃত্বে 'জনকণ্ঠ' একসময় সারাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার তাকে দৈনিক বাংলা থেকে চাকরিচ্যুত করে। এরপর ১৯৯৩ সালে জনকণ্ঠের জন্মলগ্ন থেকে তিনি সেটির উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

একুশে পদকপ্রাপ্ত তোয়াব খানের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ১৯৫৫ সালে। ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন, ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে। ১৯৭২ সালে তিনি 'দৈনিক বাংলা'র সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এবং প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ছিলেন।

গত ২২ মার্চ জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদের মৃত্যুর পর পত্রিকা কর্তৃপক্ষ তাকে না জানিয়েই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করে। একপর্যায়ে তাকে বাসায় থেকে অফিস করতে বলা হয়। এমন প্রেক্ষাপটে কর্মমুখর এই সম্পাদক পদত্যাগ করলেন।

 


আরও খবর