Logo
শিরোনাম

জ্বালানি উৎপাদনের নতুন কৌশল-সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দেবে যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | ৬১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের রাজনীতি প্রধানত আবর্তিত হয়েছে জ্বালানির দাম কেন্দ্র করে। করোনা মহামারীর পরে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারাবিশ্বেই জ্বালানির দাম বেড়ে যায়। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সে গতিতে অন্যরকম মাত্রা যোগ করে, যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়ে ব্রিটিশ রাজনীতিতে। জ্বালানি বা বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিল ও চলমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের কৌশল ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিতে নেতৃত্বের লড়াই দেখা দেয়। এমনকি, পরিস্থিতি সামাল দিতে লিজ ট্রাসকে বাদ দিয়ে একই দলের ঋষি সুনাককে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।

বিশ্বের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ইউরোপের অধিকাংশ দেশের মতো, যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্যও এবারের শীত দীর্ঘ, কষ্টদায়ক ও ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। বাধ্য হয়ে উচ্চমূল্যে জ্বালানি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন দেশটির সাধারণ লোকজন।

তবে ধারণা করা হচ্ছে, শীত শেষে জ্বালানির দাম স্বাভাবিক রাখতে আগামী বছর থেকে দেশীয় সরবরাহ সম্প্রসারণের দিকে মনোযোগ দেবে যুক্তরাজ্য সরকার। মূলত, ২০২২ সালে যুক্তরাজ্য সরকার শক্তি-নিরাপত্তাবিষয়ক কৌশল প্রকাশ করেছিল, তা পরবর্তী তিন দশকের জন্য নতুন জ্বালানি অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা তুলে ধরে। এসব পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২৩ সালে। ২০২৪ সালে মধ্যে যুক্তরাজ্য নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র চালু করবে। তবে দেশটিতে ক্রমবর্ধমান সুদের হার এ ধরনের প্রকল্পগুলোকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলবে। সামরসেটে নির্মিত হিঙ্কলে পয়েন্ট সি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের নির্মাণকাজে এরই মধ্যে অর্ধেকের বেশি মূলধন খরচ করা হয়েছে। আগামী বছর এ ব্যয় আরও বাড়বে।

এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য সমুদ্র তীরবর্তী টারবাইন ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটি বায়ুশক্তির ক্ষমতা চারগুণ বাড়িয়ে এ খাত থেকে ৫০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টা করবে, যা গৃহস্থালি ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত‍।

দ্য ইকোনমিস্টের তথ্য অনুযায়ী, টারবাইন থেকে বিদ্যুৎ ‍উৎপাদনের পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ব্রিটিশ জ্বালানি কোম্পানিগুলো নিলামের আহ্বান জানাবে। ওইসব নিলাম থেকে কোম্পানিগুলো সরকারকে নতুন টারবাইন স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সর্বোত্তম মূল্য উপস্থাপন করবে। তাছাড়া যুক্তরাজ্য সরকার সম্প্রতি যেসব সৌরবিদ্যুৎ সংক্রান্ত চুক্তি করেছে, সেগুলোর মধ্য থেকে খুব অল্প কয়েকটির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে ২০২৩ সাল থেকে নিয়মিত দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্য যে শুধু নবায়নযোগ্য শক্তি সংগ্রহ ও সরবরাহ নিয়ে ব্যাপক কাজ শুরু করবে তা নয়। এর পাশাপাশি বছরজুড়ে নতুন তেল-গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধ্যান ও সেখান থেকে খনিজ সম্পদ উত্তোলনের জন্য অবকাঠামো নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখবে দেশটি। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য সরকার স্কটিশ উপকূলে জ্যাকডো খনি থেকে গ্যাস উত্তোলনের জন্য অবকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করেছে। ২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে জ্যাকডোর প্রাথমিক কূপগুলোর খননকাজ শুরু হবে।

অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের যে অঞ্চল থেকে গ্যাস উত্তোলন সবচেয়ে কঠিন, সেটি হলো দেশটির পূর্ব উপকূল। ২০১৭ সাল থেকে এ অঞ্চল থেকে গ্যাস উত্তোল বন্ধ করে দেয় সরকার। তবে ২০২৩ সাল থেকে নতুন করে সেখান থেকে গ্যাস সংগ্রহের কাজ শুরু করতে পারে দেশটি। এদিকে, যুক্তরাজ্য শুধু তেল-গ্যাসের নতুন খনি অনুসন্ধান ও সেগুলো থেকে খনিজ সম্পদ উত্তোলনে মনোযোগ দিয়েছে, তা নয়। এ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড থেকে যাতে যথাসম্ভব কম কার্বন নিসঃরণ হয়, সেদিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে দেশটি। জ্যাকডোর পৃষ্ঠপোষক সংস্থা শেল গ্যাস পোড়ানোর সময় উৎপন্ন কার্বন ডাই অক্সাইডকে আলাদাভাবে ধরে রাখার জন্য কাজ করছে। এ কৌশল হিসেবে তারা নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইডক সাগরের নীচে গোল্ডেনিয়ে নামক পরিত্যক্ত গ্যাসক্ষেত্রে প্রবেশ করানোর পরিকল্পনা করেছে।

দ্য ইকোনমিস্টের মতে, ২০২৩ সালেও যুক্তরাজ্যের রাজনীতি জ্বালানির দাম ও সরবরাহের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত থাকবে। বর্তমান ক্ষমতাসীন পার্টিকে কর্তৃত্ব ধরে রাখতে জ্বালানি উৎপাদনে অর্থায়ন অব্যাহত রাখতে হবে। কনজারভেটিভ পার্টির জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ, লেবার পার্টি এরই মধ্যে ক্ষমতায় গেলে জ্বালানিখাতে আরও বেশি অগ্রগতি অর্জনে তৎপর হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি, দলটি ফ্রান্সের মতো সরকারি জ্বালানি কোম্পানি তৈরির বিষয়েও চিন্তা করছে।

সবশেষে বলা যায়, সামনের কয়েক বছরেও যুক্তরাজ্যের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে বৈশ্বিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে, কম ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক উৎপাদন শক্তিসম্পন্ন জ্বালানি অবকাঠামো নির্মাণ নিয়ে আলোচনা ও তর্ক-বিতর্ক চলতে থাকবে।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর