হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কিছু দুষ্কৃতকারী কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা টু কালামপুরগামী রোডে চন্দ্রার সিএনজিচালিত
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা হেফাজতের আমির ও ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি মাওলানা মো. এমদাদুল্লাহ ওরফে এমদাদুল হককে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার দুই ভাইকেও গ্রেফতার করা হয়। সোমবার জেলা পুলিশের এক প্রেস নোটের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
গ্রেফতার মুফতি মাওলানা মো. এমদাদুল্লাহ ওরফে এমদাদুল হকের দুভাই হলেন— মো. আশরাফুল ইসলাম (৪০) ও মোহাম্মদ আলী (৪৮)। মুফতি মাওলানা মো. এমদাদুল হক কালিয়াকৈরের চন্দ্রা দারুম-উলুম মাহমুদনগর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও কালিয়াকৈর ওলামা পরিষদের সভাপতি তার ভাই মো. আশরাফুল ইসলাম চন্দ্রা দারুম-উলুম মাহমুদনগর মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক।
গাজীপুর জেলা পুলিশের (কালিয়াকৈর-শ্রীপুর জোনের) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কিছু দুষ্কৃতকারী কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা টু কালামপুরগামী রোডে চন্দ্রার সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডে একত্রিত হয়ে ধংসাত্মক কার্যক্রম চালাতে পারে। এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে গাজীপুর জেলা পুলিশের একটি দল কালিয়াকৈর থানাধীন কালামপুরে উপস্থিত হলে ৩৫-৪০ জন দুষ্কৃতকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে অতর্কিতভাবে কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে।
এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন এবং আত্মরক্ষার্থে পুলিশ কয়েক রাউন্ড শটগানের গুলি করে। আহত পুলিশ সদস্যদের কালিয়াকৈর উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে অন্যরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় এসআই মোর্শেদ আলী মোল্লা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানা মামলা রজু করেন।