কারাগারে বসেই
এলএলএম (মাস্টার্স) পরীক্ষা শেষ করলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শেষ পরীক্ষায় বসেন তিনি। মোট তিনটি পরীক্ষা কারাগারে
দিয়েছেন রিজভী। বৃহস্পতিবার তার মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৪ জানুয়ারি
পল্টন থানার মামলায় কারাবন্দি রুহুল কবির রিজভীকে পরীক্ষার অনুমতি দেন আদালত। ওই দিন
রিজভীর আইনজীবী কারাবিধি অনুসারে পরীক্ষার অনুমতির জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত
তা মঞ্জুর করেন।
রিজভীর পক্ষে
আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী
শেখ শাকিল আহম্মেদ রিপন। পরে রিজভীর আইনজীবীরা জানান, রিজভী নিজেও একজন আইনজীবী। তিনি
এলএলবি পাশ করে আইন পেশায় যুক্ত আছেন। অধিকতর শিক্ষার জন্য তিনি এলএলএম (মাস্টার্স)
করছেন।
জাসাসের কেন্দ্রীয়
নেতা সৈয়দ আশরাফুল মজিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক
রাজু আহমেদ জানান, রাজধানীর বেসরকারি প্রাইম ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলএম (মাস্টার্স)
করছেন বিএনপির অন্যতম শীর্ষ নেতা রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রাইম ইউনিভার্সিটির
দুজন শিক্ষক প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ নিয়ে কেরাণীগঞ্জের কারাগারে যান। পরে তারা রিজভীর লিখিত
ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করেন।
এদিকে রিজভীর
শরীর খুব একটা ভালো যাচ্ছে না বলে পরিবার জানিয়েছে। রিজভীর সহধর্মিণী আঞ্জুমান আরা
বানু জানান, এমনিতেই তার স্বামীর ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা রয়েছে। কারাগারে সেই সমস্যা আরো
বেড়েছে। এর মধ্যেও তাকে নিয়মিত আদালতে আনা নেওয়া করা হচ্ছে। ফলে শারীরিক জটিলতার আশঙ্কা
রয়েছে। এমতাবস্থায় তিনি অবিলম্বে রিজভীর উন্নত চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন।
গত ১০ ডিসেম্বর
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয়
কার্যালয়ের সামনে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ওই দিনই বিএনপির
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সাড়ে চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সেদিন রুহুল কবির
রিজভীকেও আটক করে কারাগারে নেওয়া হয়। সম্প্রতি তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো
হয়েছে। তিনি কারাগারে যাওয়ার আগে দলের বিভিন্ন বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতেন।
বিশেষ করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ও হামলা-মামলা নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন করতেন
রিজভী।