করোনাকালে আর্থিক
সঙ্কটে থাকা অভিভাবকদের সন্তানদের টিউশন ফি মওকুফ বা হ্রাস করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
আর টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোনো ফি নেওয়া হলে, তা সমন্বয়নেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার
(১৭ জানুয়ারি) দেশের সব বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মাদরাসাগুলোকে এ নির্দেশনা
দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
প্রধানদের কাছে পাঠানো সেই চিঠিতে বলা হয়, করোনার বৈশ্বিক মহামারির কারণে গত ১৮ মার্চ
থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো
উদ্ভুত এ পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অব্যাহত
রাখার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
চিঠিতে বলা হয়,
কোভিড-১৯ এর প্রভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ও প্রতিষ্ঠানের
রক্ষণাবেক্ষণ খাতে আবশ্যিকভাবে অর্থ ব্যয় করতে হয়। তবে অভিভাবকদের আর্থিক সংকটের কথা
বিবেচনা করে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
(এমপিও/নন-এমপিও) এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বেসরকারি মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
(এমপিও/নন-এমপিও) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শুধু টিউশন ফি আদায় করবে। টিউশন ফি ছাড়া অন্য
কোনো ফি আদায় করা যাবে না। টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোনো ফি আদায় করা হলে তা পরবর্তীতে টিউশন
ফির সঙ্গে সমন্বয় করবে।
যদি কোনো অভিভাবক
চরম আর্থিক সঙ্কটে পতিত হন, তাহলে তার সন্তানের টিউশন ফি মওকুফ/হ্রাস করার বিষয়ে শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান বিশেষ বিবেচনায় নেবে।
চিঠিতে আরও বলা
হয়েছে, কোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন যেন কোনো কারণে ব্যহত না হয় সে বিসয়টি সম্পর্কে
সংশ্লিষ্ট সবাই যত্নশীল হতে হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পূর্বের ন্যায় টিউশন ফিসহ
অন্যান্য ফি আদায় করা যাবে।
গতকাল রোববার
(১৭ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল
ইসলাম খান জানান, কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরীক্ষার জন্য যৎসামান্য ফি নির্ধারণ
করে দেওয়া হয়েছে, যা বিগত বছরগুলোর নির্ধারিত ফি এর অর্ধেকেরও কম।
কোনো প্রতিষ্ঠান
এ নিয়মের বাইরে ফি আদায় করলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা দেওয়া হবে। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে
ফি এর বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে। এরআগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরও স্কুল-কলেজগুলোকে
টিউশন ফি মওকুফ/হ্রাসের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছিলো।