Logo
শিরোনাম

কাতার বিশ্বকাপের খাবারদাবার

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সৌদি আরব-আর্জেন্টিনা এবং জাপান-জার্মানি দ্বৈরথে মরুর বুকে উঠেছে ঝড়। হিসাবনিকাশ বদলে গেছে খানিক। আর আমাদের দেশের ফুটবল সমর্থকদের শীতের আমেজ গেছে পালিয়ে! চায়ের কাপ হাতে বিস্তর বিতর্ক হলো অফসাইড নিয়ে। এই শেষ নভেম্বরের মধ্য রাতে হাইভোল্টেজ খেলা দেখতে গিয়ে আমাদেরও খুব কম মুড়ি-চানাচুর কিংবা নাগেটস-নুডলস উড়ে যাচ্ছে না! টেলিভিশনের সামনে বসে উত্তেজনায় আমাদেরই যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে যাঁরা মাঠে ফুটবল নৈপুণ্যের ভেলকি দেখিয়ে চলেছেন, সেই মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেদের কী অবস্থা, সেটা সহজে অনুমান করা যায়। সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে জাতীয় দল কাতারে ল্যান্ড করেছে ৪ হাজার পাউন্ড মাংস নিয়ে! দেশ দুটির ফুটবল সংস্থা খেলোয়াড়দের বাড়ির স্বাদে খাইয়ে-দাইয়ে ভালো খেলতে অনুপ্রাণিত করতে চেয়েছে বলে দেশ থেকেই বয়ে এনেছে মাংস।

এদিকে লাখ লাখ ফুটবল সমর্থক সৌদি আরবের চেইন রেস্তোরাঁ আলবাইকের চিকেন উইংস এবং আমেরিকান ম্যাকডোনাল্ডের বার্গার খেয়ে ফ্যান জোনগুলো মাতিয়ে রেখেছেন। স্থানীয় রেস্তোরাঁগুলোতে উপচে পড়ছে মানুষ কাতারের স্থানীয় খাবার খেতে। তাই মাজবুস, মাদরাউবা, উম্মে আলী, লুকাইমাত, কুনাফা, শর্মা কিংবা করক চা বা কাহওয়া কফির মতো স্থানীয় জনপ্রিয় খাবারগুলোরও এখন রমরমা অবস্থা। কিছুটা কম দামে এগুলো খেতে পারছেন কাতারের বিদেশি অতিথিরা। ফলে রেস্তোরাঁগুলোর রান্নাঘরে চাপ বেড়েছে বিস্তর! 

যাঁরা বালুকাময় মরুভূমিতে রাতে তাঁবুতে থাকার রোমাঞ্চ উপভোগ করছেন, তাঁরা পাচ্ছেন প্যাকেজ খাবার। সাধারণভাবে সেসব প্যাকেজে থাকছে তাজা ও শুকনো ফল, বার্গার কিংবা হটডগ, ডোনাট, কফির স্যাশে, পানির বোতল ও জুস। কোনো কোনো প্যাকেজে স্থানীয় খাবারের সঙ্গে থাকছে গ্রিক সালাদ। কাতারে যাওয়া দর্শকদের অনেকেই, বিশেষ করে এশিয়ান দেশগুলোর দর্শকেরা চেখেদেখছেন স্থানীয় খাবারগুলো। কাতারের খাবারের সঙ্গে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খাবারের রন্ধনপ্রণালি ও স্বাদে মিল আছে বলেই এশিয়ানরা এদিকে খানিক এগিয়ে আছে। কিন্তু এ বিশ্বকাপে বিতর্ক চলছিল একেবারে শুরু থেকে। আর সেটা খেলা নিয়ে নয়। ছিল পানীয় নিয়ে। কাতার বিশ্বকাপে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় পাওয়া যাবে কি না, সে বিতর্ক ছিল বিশ্বকাপ আসরের একেবারে শুরু থেকে। তারপর বহু জল ঘোলা করে একটা সমাধানে পৌঁছেছে আয়োজক দেশ কাতার এবং ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফা। পানীয় নিয়ে বিতর্কের অবসান হলেও নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে খাবারের মান ও দাম নিয়ে!

এককথায়, কাতার বিশ্বকাপ এখন ফুটবল উন্মাদনার পাশাপাশি খাবার নিয়েও এক দারুণ উন্মাদনাময় সময় কাটাচ্ছে। এই উন্মাদনায় মেসি, নেইমার কিংবা রোনালদো কী খাচ্ছেন?

মেসি: এ তথ্য এখন সবাই জানে যে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিও মেসির বয়স ৩৫ বছর। এ বয়সে সব মানুষকেই খাবারদাবারের বিষয়ে কিছুটা সচেতন হতে হয়। আর মেসির মতো একজন পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়কে তো অনেক কিছুই মেনে চলতে হয় ক্যারিয়ারের জন্য। ফলে তাঁকে এখন খাবারদাবার নিয়ে যথেষ্ট সচেতন হতে হয়েছে। একসময় চিনি আর চর্বিযুক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারে অভ্যস্ত লিও মেসি এখন উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারে অভ্যস্ত হয়েছেন। তবে আগের খাবার যে একেবারে ছেড়ে দিয়েছেন, তাও নয়। পরিমিত করেছেন। জানা যায়, এখন মেসির ডায়েটে এক দিকে থাকে প্রক্রিয়াজাত খাবার আর অন্যদিকে থাকে ফল, প্রোটিন ও শিম-জাতীয় খাবার। এসব খাবার থেকে শক্তি নিয়েই তিনি মাতিয়ে চলেছেন ফুটবল বিশ্ব।

নেইমার: নেইমার দা সিলভা সান্তাস জুনিয়র, যাঁকে আমরা সংক্ষেপে নেইমার নামেই জানি। পাঁচ ফুট নয় ইঞ্চি উচ্চতার এ ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচ দিন জিম করে কাটান। এ ছাড়া খেলার দিনগুলোতে আলাদা শারীরিক পরিশ্রম তো আছেই। নেইমার যেসব খাবার খান না তার তালিকা বেশ বড়। তাতে আছে সব ধরনের লাল মাংস, প্রক্রিয়াজাত খাবার, দুধ দিয়ে বানানো যেকোনো খাবার, সব ধরনের জাঙ্ক ফুড, ভাজা খাবার, রাসায়নিক উপকরণে তৈরি খাবার এবং কৃত্রিম ভাবে বিভিন্ন উপকরণ সংযোজন করা খাবার। তাহলে তিনি কী খান? এ তালিকাও নেহাত ছোট নয়। এতে আছে ডিম, টার্কি, এভোকাডো, অ্যাসপারাগাস, মিষ্টি আলু, সবজি, মুরগির মাংস, মাছ, ভাত, বিভিন্ন ধরনের বীজ, বাদা, বাদামের মাখন, প্রোটিন শেক ও পানি। তিনি দিনে দুই বার প্রোটিন শেক খেয়ে থাকেন। 

রোনালদো: সিআর সেভেন হিসেব পরিচিত তিনি। ফিট থাকতে কঠোর জীবনযাপন করেন রোনালদো। কিছুদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে কোমল পানীয়র বোতল নিজের সামনে থেকে সরিয়ে রাখার জন্য আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। রোনালদো একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমি প্রচুর পরিমাণে হোলগ্রেইন কার্ব, ফলমূল এবং শাকসবজিসহ উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খাই এবং চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলি। রোনালদোর ব্যক্তিগত ডায়েটিসিয়ান জানিয়েছেন, তিনি প্রতিদিন তিন থেকে চার ঘণ্টা পরপর  ছয় বার খাবার খান। বহুবার বহু জায়গায় রোনালদোর সন্তানেরা জানিয়েছেন, রোনালদো আইসক্রিম, মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং জাঙ্ক ফুড খাওয়া পছন্দ করেন না। তিনি সোর্ড ফিশ, টুনা এবং মুরগির মাংসের খাবার পছন্দ করেন। এ ছাড়া আছে গোটা শস্য, সবজি ও প্রচুর ফল। রোনালদোর খাদ্যতালিকায় আছে সি-উইড নামের একটি সামুদ্রিক খাবার। এ ছাড়া আছে পনির দেওয়া হ্যাম এবং কম চর্বিযুক্ত দই। 

নিউজ ট্যাগ: কাতার বিশ্বকাপ

আরও খবর

রাশিফল: কেমন থাকবে আপনার আর্থিক অবস্থা?

বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট ২০২৩

রাশিফল: দিনটি আজ কেমন যাবে!

মঙ্গলবার ১৫ আগস্ট ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর