Logo
শিরোনাম

কে হচ্ছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি?

প্রকাশিত:রবিবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ৭১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন আজ রবিবার (১২ এপ্রিল)। এদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে নির্বাচন কর্মকর্তার (সিইসি) দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। এদিকে এটা স্পষ্ট যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যাকে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনীত করবে, তিনিই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হবেন। তবে দলটির মনোনীত প্রার্থী কে হচ্ছেন সেটা এখনও জানানো হয়নি। শেষ সময়ে দুই/তিনটি নামের বিষয়ে আলোচনা শোনা যাচ্ছে। রবিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় বিষয়টি খোলসা হতে পারে।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও ব্যক্তির পক্ষে কোনও ফরম সংগ্রহ করা হয়নি। অবশ্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন-১৯৯১ ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিধিমালা-১৯৯১ এর বিধান মতে ফরম সংগ্রহ করতে হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতার কথা বলা নেই। নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তারাও একই কথা জানান। তারা বলেন- আইন ও বিধিমালায় ফরম দাখিলের কথা বলা আছে। বলা আছে দাখিলের আনুষ্ঠানিকতার কথাও।

জানা গেছে, নির্বাচন বিধিমালায় মনোনয়ন ফরম (ফরম-ক) এর কথা উল্লেখ আছে। সেখানে ফরমের নমুনা দেওয়া রয়েছে। তবে, ওই ফরম ইসি থেকেই সংগ্রহ করতে হবে এমনটি বলা নেই। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফরমের কথা যেভাবে বলা আছে তাতে কেউ চাইলে ইসি থেকে ফরম সংগ্রহ করে তা জমা দিতে পারেন। আবার চাইলে নমুনার হুবহু ফরম নিজেরা তৈরি করে জমা দিতে পারে। তবে দাখিলের সময় তাতে প্রার্থীর পাশাপাশি প্রস্তাবক ও সমর্থক হিসেবে দুইজন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষর থাকতে হবে। একজন এমপিকে উপস্থিত থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, অন্যান্য নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময়ে ভোটার তালিকা/সিডি সংগ্রহ করার বিধান থাকায় অর্থের বিনিময় তা সংগ্রহ এবং মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় জামানত দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায় ব্যাংক ড্রাফট জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এ দুটির কোনোটিরই দরকার নেই। ফলে ফরম সংগ্রহের আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন পড়ে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনও দলের থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে এমন কোনও তথ্য তার কাছে নেই। তিনি ইসি সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট দফতরে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন কেউ ফরম নিতে আসেননি। তারা হয়তো রবিবার ফরম সংগ্রহ করে পূরণ করে জমা দিতে পারেন। বা অন্যভাবে সংগ্রহ করে জমা দিতে পারে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আগামীকাল কখন আসতে পারে এ বিষয়েও অবহিত নন এই কর্মকর্তা। তিনি জানান, সকাল ১০টা থেকে যেহেতু সময় শুরু হবে, ফলে তার পরে নিশ্চয় আসবে। সেক্ষত্রে হয়তো ১১টার দিকে আসতে পারে।

এদিকে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, রবিবার সকালে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনে মনোনয়নপত্র দাখিল সম্পর্কে বলা আছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য নির্ধারিত দিনে ও সময়ের মধ্যে কোনও সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন কোনও ব্যক্তিকে ওই পদের জন্য মনোনীত করে নির্বাচনি কর্তার কাছে একটি মনোনয়নপত্র দিতে পারবেন। যে মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক হিসাবে তার স্বাক্ষর থাকবে এবং সমর্থক হিসাবে অন্য একজন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষর থাকবে। সেইসঙ্গে যিনি রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনীত হতে যাচ্ছেন, তারও ওই মনোনয়নে সম্মতিসূচক স্বাক্ষরিত বিবৃতি থাকবে। তবে প্রস্তাবক বা সমর্থক হিসেবে কোনও সংসদ সদস্য একটির বেশি মনোনয়নপত্র সই করবেন না।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটার সংসদ সদস্যরা। চলতি সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা আছে। ফলে আওয়ামী লীগ যাকে প্রার্থী মনোনয়ন করবে তিনিই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হবেন এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। আগামী ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হবে। তিনি টানা দুই মেয়াদে এই পদে আছেন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুষায়ী আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট গ্রহণের নির্ধারিত তারিখ। তবে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনও দল কাউকে প্রার্থী করার সম্ভাবনা নেই। এর বাইরে অন্য কোনও প্রার্থীও এখন পর্যন্ত নেই। একক প্রার্থী হলে শেষ পর্যন্ত আর ভোটের প্রয়োজন হবে না। এক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি একক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। একাধিক প্রার্থী থাকলে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে ভোট গ্রহণ হবে।

১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনের পর পরোক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি শুরু হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত সাতটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টির ক্ষেত্রে একক প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। কেবল ১৯৯১ সালের ৮ অক্টোবর নির্বাচন নির্বাচনের প্রয়োজন পড়েছে। ওই সময় ক্ষমতাসীন বিএনপির মনোনিত প্রার্থী আব্দুর রহমান বিশ্বাসের বিপরীতে বিরোধী দল আওয়ামী লীগ সাবেক প্রধান বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী মনোনয়ন দেয়। ওই নির্বাচনে আব্দুর রহমান বিশ্বাস পান ১৭২ ভোট ও বদরুল হায়দার চৌধুরী পান ৯২ ভোট।

নিউজ ট্যাগ: রাষ্ট্রপতি

আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর