Logo
শিরোনাম

কী হবে দেশের ১৪ লাখ ওয়াই-ফাই রাউটারের

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশে বর্তমানে প্রায় ২০ লাখের বেশি সচল ওয়াই-ফাই রাউটার রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ আইপিভি-৬ (ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন-সিক্স) সমর্থন করে। অবশিষ্ট ৭০ শতাংশ তথা ১৪ লাখের বেশি সমর্থন করে না। প্রশ্ন হলো, আইপিভি-৬ চালু হলে এই বিশাল সংখ্যক রাউটারের কী হবে?

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি রাউটারের লাইফ সাইকেল (জীবন চক্র) তিন থেকে সাড়ে তিন বছর। ফলে দেশের সব রাউটার আইপিভি-৬ সমর্থিত হতে এই সময় প্রয়োজন হবে। তার আগে এটা করতে হলে বিশাল সংখ্যক রাউটার বাদ দিতে হবে।

প্রযুক্তি পণ্যের বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে এলসি খোলার ওপর কড়াকড়ি আরোপ থাকা, ডলারের সংকট, প্রযুক্তি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া ইত্যাদির কারণে রাউটারের আমদানি নেই বললেই চলে। ফলে আগামী তিন থেকে সাড়ে তিন বছরে এই সমস্যার সমাধান হবে না বলে তারা মনে করছেন। এসব কারণে দেশে আইপিভি-৬ পুরোপুরি বাস্তবায়নে আরও চার বছর লেগে যেতে পারে।

জানা গেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ইন্টারেনেট ব্যবহারকারীর (১২ কোটির বেশি) মধ্যে সংখ্যার মাত্র ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ আইপিভি-৬ ব্যবহারকারী। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত এপনিকের (এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার) ৪৯তম সম্মেলনে বাংলাদেশ ঘোষণা দেয়, বাংলাদেশে আইপিভি-৬ বাস্তবায়নের হার শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। দুই বছর শেষে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

এপনিকের (এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার) নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পলিসি চেয়ার সুমন আহমেদ সাবির বলেন, আইপিভি-৬ বাস্তবায়ন (ব্যবহার) হলে ইন্টারনেট ব্যবহারের কোয়ালিটি অব সার্ভিস ভালো হবে। আইএসপিগুলোর খরচ কম, যার প্রভার গ্রাহকের ওপরও পড়বে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপরাধীকে শনাক্তকরণ সহজ হবে। এই খাতের চ্যালেঞ্জ হলো ডিভাইস (ওয়াইফাই রাউটার)। ডিভাইস ডেপ্লয় করে আইপিভি-৬ বাস্তবায়নের দ্রুত ৫০ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব। আইএসপিগুলো চাইলেই এটা পারে। তিনি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের রাউটার কেনার আগে তা আইপিভি-৬ সাপোর্ট করে কি না, তা দেখে নেওয়ার আহ্বান জানান।

জানা যায়, দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইপিভি-৬ ব্যবহারের হার খুবই কম। আইএসপিগুলো এত দিন এই বিষয়ে উদাসীন থাকলেও সম্প্রতি তারা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়ে এই হার বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে এই ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে দেশের মোবাইলফোন অপারেটরগুলো। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের চেয়ে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইপিভি-৬ ব্যবহারের হার বেশি। এর ব্যবহারে মোবাইল অপারেটরগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে গ্রামীণফোন। এরপর রয়েছে বাংলালিংক। রবির অবস্থান আরও পরে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মোবাইল অপারেটররা বেশ জোরেশোরে এই ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে। অথচ আইএসপিগুলোর এই সুযোগ সবচেয়ে বেশি। এপনিকের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ২০২০ সালের পর থেকে আইপিভি-৬-এর ব্যবহার বাড়তে শুরু করে। ২০২২ সালে এসে আইপিভি-৬-এর ব্যবহার সর্বোচ্চ পর্যায়ে (৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ) পৌঁছায়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যা ৭৮ দশমিক ১৭ শতাংশ, নেপাল ৩৪ দশমিক ৯১, ভুটান ১৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ৪৯ দশমিক ০৭ শতাংশ, মিয়ানমার ৫৭ দশমিক ৯২ শতাংশ। এমনকি পাকিস্তানেও এই হার ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। গত অক্টোবর মাসে দেশে আইপিভি-৬ বাস্তবায়নের হার ছিল ২ দশমিক ২৩ শতাংশ।

খাত-সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, হঠাৎ করেই ব্যবহারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধির হার সন্তোষজনক। এই হারে ব্যবহার বাড়তে থাকলে চলতি বছর শেষে এই হার একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে।

দেশে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, আমরা এ বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত ৭০ শতাংশের বেশি রাউটার আইপিভি-৬ সাপোর্ট করে না। চাইলেই এগুলো একবারে বদলে ফেলা যাবে না। সময় লাগবে। আমরা সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছি। বিটিআরসিকে (টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা) আমরা অনুরোধ করেছি, দেশে এ সময় আইপিভি-৬ সাপোর্ট করে না, এমন রাউটার আমদানির অনুমতি না দিতে। কোনও রাউটার দেশে এলে আমাদের কাছে পাঠানো হয়। আমরা দেখে বিটিআরসিকে সেগুলো পাঠাই। অনেক ধরনের সমস্যা কাটিয়ে আমরাও শুরু করেছি। আগামী এক বছরের মধ্যে এই হার অনেক বাড়বে।

প্রসঙ্গত, আইপিভি-৬ হলো ইন্টারনেট প্রটোকলের সর্বশেষ সংস্করণ। বর্তমানে বাংলাদেশে আইপিভি-৪ ব্যবহার হচ্ছে। আইপিভি-৬-এর ব্যবহারের হার মাত্র ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আইপিভি-৪ হলো ৩২ বিটের প্রথম প্রজন্মের ইন্টারনেট প্রটোকল, যার মাধ্যমে ৪৩০ কোটি অ্যাড্রেস ব্যবহার করা সম্ভব। কিন্তু এই অপ্রতুল ৩২ বিট দিয়ে বিশাল আইপি অ্যাড্রেসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। এ কারণেই নতুন ধরনের একটি নেটওয়ার্ক লেয়ারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আইপিভি-৬ হলো ১২৮ বিটের অ্যাড্রেস লেয়ার প্রটোকল, যা ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি নেটওয়ার্ক ডিভাইসকে স্বতন্ত্র পরিচয় দেয়।

নিউজ ট্যাগ: ওয়াই-ফাই রাউটার

আরও খবর

কমেছে রোলেক্স ও প্যাটেক ফিলিপ ঘড়ির দাম

বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর