Logo
শিরোনাম

কীভাবে হয়েছিল প্রতিবাদ?

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৯২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সেদিনই ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ হলেও ঢাকায় প্রকাশ্য প্রতিবাদ হতে সময় লেগেছে প্রায় দুই মাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া, সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে ভীতি ছড়ানোর মধ্য দিয়ে হতবিহ্বল মানুষ নিজেদের করণীয় নির্ধারণ করে মাঠে নেমেছিল ২০ অক্টোবর।

তবে সে সময়েও একেবারেই যে প্রতিবাদ হয়নি বা মানুষ প্রতিবাদ করেনি বলা হচ্ছে, সেটা ঘাতকদের মিথ্যা প্রচারণা বলেন অনেক গবেষক। আবার অনেক বেশি প্রতিবাদ দেখা গেছে এমনও নয়। মুজিব হত্যার প্রতিবাদ জানাতে তখন সক্রিয় ছিলেন সে সময়ের ছাত্রনেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, নূর-উল-আলম লেনিন, কাজী আকরাম হোসেন, মাহবুব জামান, বাহলুল মজনুন চুন্নু, মৃণাল সরকার, রবিউল আলম মুক্তাদির, ইসমত কাদির গামা, খন্দকার শওকত হোসেন, মমতাজ হোসেন, কাজল ব্যানার্জি প্রমুখ।

প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে সিপিবির উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরের বছর ১৯৭৬ সালের ১৭ মার্চ ছাত্র ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কমিউনিস্ট পার্টি বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ একটি লিফলেট ছাপায়। পুরো সময়টা তারা নানা লিফলেট প্রকাশের মাধ্যমে অল্প অল্প করে সত্য প্রকাশ করতে থাকে।

সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজকদের একজন ছিলেন বর্তমানে অনলাইন পোর্টাল বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাজাহান সরদার। কখন জানলেন বঙ্গবন্ধু নেই প্রশ্নে তিনি বলেন, পরদিন ভোরে আমাদের নির্ধারিত দায়িত্ব পালনে বের হই। বঙ্গবন্ধু আসবেন ক্যাম্পাসে, কাজ ভাগাভাগি করা আছে। আমি হলের বাইরে চায়ের দোকানে গিয়ে নিজ কানে শুনতে পাইবঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবর। সে কী ভয়াবহ পরিস্থিতি। পুলিশ সদর দফতরের পাশে ছিল রেল কলোনি। সেখানে গিয়ে থাকি সেদিন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা যায়, এটা কারোর কাছে বিশ্বাসযোগ্য ছিল না। কিন্তু সবাই হতবিহ্বল হয়ে পড়ে।

অজয় দাশগুপ্ত মনে করেন, ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড ও বঙ্গবন্ধুর অনুসারী হাজারো রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের পর প্রতিবাদ সহজ ছিল না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর যারা রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিলেন, তারাই প্রতিবাদ সংঘটিত হতে দেননি। জাতীয় ছাত্রলীগের ব্যানারে ১৯৭৫ সালের অক্টোবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের হলে এতে হামলা চালিয়েছিল ওই অপশক্তিই।

অজয় দাসগুপ্ত বলেন, ২০ অক্টোবর থেকে অল্প অল্প করে প্রতিবাদ সামনে আসতে শুরু করে। ৪ নভেম্বর সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাজার হাজার ছাত্র প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যায়৷ সেখানে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের জন্য গায়েবানা জানাজা পড়া হয়। করা হয় প্রতিবাদ সমাবেশ।

তিনি জানান, তারা মিছিল করে যাওয়ার সময় রাস্তায় সেনা সদস্য এবং ট্যাংকের টহল দেখতে পান। ফিরে আসার পথে জানতে পারেন, আগের দিন, অর্থাৎ ৩ নভেম্বর রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতরে ৪ জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়েছে।

এই খবরে বিক্ষোভ ও শোকে ফেটে পড়েন ছাত্ররা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে মধুর ক্যান্টিনে আবারও সমাবেশ করেন তারা। বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে ৫ নভেম্বর ঢাকায় আধাবেলা হরতালের ডাক দেওয়া হয়।

৫ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল শেষে ছাত্ররা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে গিয়ে গায়েবানা জানাজা পড়েন। পরের দিনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ হয়। কিন্তু ৭ নভেম্বর সামরিক অভ্যুত্থান এবং সেনাশাসন চলে আসায় মুজিব হত্যার প্রতিবাদের প্রথম পর্যায়ের সেখানেই সমাপ্তি ঘটে।

প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল কীভাবে তার একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় নূহ-উল-আলম লেনিন ও অজয় দাশগুপ্তের 'বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড :প্রতিবাদের প্রথম বছর' গ্রন্থ থেকে। দুজনেই সে সময়ে জাতীয় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তারা ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী-সমর্থকদের সংগঠিত করেছেন, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছেন তার দালিলিক প্রমাণ মেলে।

নূহ উল আলম লেনিন বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর আচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে আসার কথা। তার আগের রাতে আমরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাজগোজের কাজে ব্যস্ত। শেখ কামাল অনেক রাত পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে ছিলেন। পরের দিন আমরা যখন বঙ্গবন্ধুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত তখন ভোরে রেডিওতে মেজর ডালিমের সেই স্পর্ধিত কণ্ঠ শুনি। আমাদের সবার মনে তখন এক প্রশ্ন- কী করা যায়? সেদিন বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। আমরা ছাত্ররা অপেক্ষা করেছিলাম। অনেকে আমাদের ধৈর্য ধরতে বলেন। পরে প্রায় দুই মাস পরে আমরা সংগঠিত হয়ে প্রতিবাদে শামিল হই।

৪ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবনের বটতলা থেকে শোক মিছিল বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর সড়কের বাসভবনে যায়। তখন খন্দকার মোশতাক আহমদ ও জিয়াউর রহমান ঘোষণা করেছিলেন, রাজপথে শেখ মুজিবের হত্যার নিন্দা করে মিছিল বের হলে পাখির মতো গুলি চালিয়ে হত্যা করা হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর