Logo
শিরোনাম

খাবারের দাম কমাতে পারে বর্জ্য থেকে পাওয়া ফসফরাস

প্রকাশিত:রবিবার ১২ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ক্রমাগত বাড়তে থাকা খাবারের দাম ও পানিপ্রবাহের পথে দূষণ কমানোর ক্ষেত্রে বর্জ্য বেশ ভালো ভূমিকা পালন করতে পারে। যদি পয়োনিষ্কাশন বা বর্জ্য থেকে ফসফরাস উৎপাদন বাড়ানো যায়, তাহলে সেটা এ বিপ্লব ঘটাতে পারে। কারণ ফসফরাস সারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সাধারণত সব গাছেই ফসফরাস পাওয়া যায়, আর তা যেকোনো গাছের বৃদ্ধির জন্য খুব দরকারি। কিন্তু সার হিসেবে ফসফরাস ব্যবহার করায় দূষণ বিস্তৃত হচ্ছে উন্নত দেশগুলোয়। কারণ এর বেশির ভাগ অংশ বর্জ্য হয়ে যায়। জমির জন্য সার একটি বড় উপাদান, কিন্তু অতিরিক্ত সার প্রাকৃতিক ভারসাম্য ব্যাহত করে। পানিদূষণের একটি মূল কারণ ফসফরাস। ফসফরাস নদী বা পুকুরে প্রবাহিত হলে সেখানে শৈবাল তৈরি হয়, যেগুলো মাছ ও গাছের ব্যাপক ক্ষতি করে।

মূলত সার উৎপাদনে যেসব ফসফরাস ব্যবহার করা হয় সেগুলো মাইনিং করে বানানো হয়। সারা বিশ্বের বর্জ্য থেকে এখন শুধু ১৫ শতাংশ ফসফরাস পুনরুদ্ধার করা যাচ্ছে। কিন্তু যে হারে সারের দাম বাড়ছে তাতে বলা যায়, এ পুনরুদ্ধারই আরো বেশি লাভজনক হয়ে উঠবে।

যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর ইকোলজি অ্যান্ড হাইড্রোলজির (ইউকেসিইএইচ) অধ্যাপক ব্রায়ান স্পিয়ার্স ফসফরাসের সংকট নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের খাদ্যনিরাপত্তা সংকটের একবারে কিনারে নিয়ে যেতে পারে ফসফরাসের ঘাটতি। এ সম্পদ আমাদের সীমিত। উন্নত দেশগুলোয় ফসফরাস বেশি পরিমাণে ব্যবহার হচ্ছে। অন্যদিকে উন্নয়নশীল দেশগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পাচ্ছে না। উপাদানটি দূষণের একটি বড় কারণও। এতে যেমন পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, একইভাবে ফসফরাস দূষণের কারণে সুপেয় পানি সরবরাহ হুমকিতে পড়ছে। ফসফরাস সরবরাহের দাম দ্রুত বাড়ছে। যদি সরকারগুলো কৃষি পদ্ধতিতে ফসফরাসের অপচয় ঠেকাতে এবং বর্জ্য ও অন্যান্য উৎস থেকে ফসফরাস পুনর্ব্যবহারে পদক্ষেপ না নেয় তাহলে খাদ্যনিরাপত্তা প্রবল ঝুঁকিতে পড়বে।

৪০ জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের লেখা ওই প্রতিবেদন তৈরিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউকেসিইএইচ ও দি ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গ। সেখানে বলা হয়েছে, ফসফরাস পুনরুদ্ধারের জন্য আরো অনেক কিছুই করা যেতে পারে। তাছাড়া সেগুলো কম ব্যয়বহুলও।

শুধু কিছু দেশ বিশেষ করে মরক্কো থেকে ফরফরাস পাথর পাওয়া যায়। ফসফরাস বাহক কিছু পাথরের দাম টনপ্রতি ২৪০ থেকে বেড়ে ৯০০ ডলারে পৌঁছেছে। বেশির ভাগ সারেই ফরফরাস, নাইট্রোজেন ও পটাশিয়ামের একটি মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া ইউক্রেন ও রাশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় সার সরবরাহকারী দেশ। ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে সার উৎপাদন বেশ ব্যাহত হয়েছে। সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তারা কোনো গাছ লাগাতে পারছেন না। কম ফলনের মুখোমুখি হচ্ছেন। সরবরাহ সংকটের কারণে গ্রাহকদেরও বাড়তি দামে খাবার কিনতে হচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পুনর্ব্যবহারের ফলে কৃষকরাও অর্থ বাঁচাতে পারবেন। আবার ফসফরাস অপচয় রোধ করে অনেক বেশি সার ব্যবহার করতে পারবেন। ফসফরাস অপচয় রোধের জন্য শুধু নির্দিষ্ট শস্যকে লক্ষ্য করতে হবে, একদম মাটির ভেতরে ফরফরাস প্রবাহিত করতে হবে আর যেন বৃষ্টির আগে আগে ফসফরাস দেয়া না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: ফসফরাস

আরও খবর

আঙ্গুল ফোটানো কি খারাপ?

শনিবার ০২ জুলাই 2০২2