Logo
শিরোনাম

খাদ্য-সারে বাড়তি ৯০০ কোটি ডলার ব্যয়ের বোঝা ৪৮ দেশের

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক খাদ্য ও সার সরবরাহে বড় বিপর্যয় ডেকে এনেছে। এর ফলে খাদ্য নিরাপত্তায় যে চরম সংকট দেখা দিয়েছে, তা অন্তত ২০০৭-২০০৮-এর বৈশ্বিক আর্থিক মন্দার পর আর দেখা যায়নি। এতে ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে বলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সতর্ক করেছে। আর বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) হিসাবে, বিশ্বজুড়ে ৮২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত পেট নিয়েই ঘুমাতে যায়।

রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে খাদ্য ও সারের দাম হঠাৎ করে লাফ দিয়ে বেড়েছে। এতে চরম খাদ্যসংকটে পড়েছে ৪৮টি দেশ, যার মধ্যে বাংলাদেশও আছে। আইএমএফের নতুন এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এসব দেশকে চলতি বছর ও আগামী বছর মিলে মোট ৯০০ কোটি ডলারের বাড়তি আমদানি ব্যয় মেটাতে হবে। আর সেটা করতে গিয়ে মহামারির আঘাত ও বাড়তি জ্বালানি ব্যয় বহনের পর এমনিতে লেনদেনে ভারসাম্যের সংকটে পড়া নাজুক ও সংঘাতপূর্ণ অনেক দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ক্ষয় হবে। খাদ্যের দাম কোথাও কোথাও চূড়ায় উঠে সম্প্রতি কিছুটা কমেছে। তার পরও অনেক জায়গায় খাদ্য ও জ্বালানির উচ্চমূল্য জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে সংকট তৈরি করেছে। এমন পরিস্থিতি স্বভাবতই দারিদ্র্য বাড়াবে, প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করবে।

ট্র্যাকিং দ্য গ্লোবাল ফুড ক্রাইসিস শিরোনামে আইএমএফের গবেষণাপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, খাদ্যসংকটে ভুগতে থাকা এই ৪৮ দেশের মধ্যে অনেকগুলো দেশের মাথাপিছু আয় খুবই কম এবং দারিদ্র্য ব্যাপক; আর অনেকগুলো দেশে সংঘাতময় ও ভঙ্গুর। এমন পরিস্থিতি যেকোনো দেশের জনগোষ্ঠীর ওপর উচ্চ খাদ্যমূল্যের প্রভাবকে বহুগুণে বাড়াতে পারে। সেটা মোকাবিলা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। জাতিসংঘের হিসাবে, বাংলাদেশ খাদ্যসংকটে পতিত দেশ। লেনদেনের ভারসাম্যে খাদ্য ও সারের মূল্যবৃদ্ধির যে প্রভাব পড়বে, তা চলতি বছর জিডিপির শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ হবে। খাদ্যের সংকট সবর্ত্রই অনুভূত হচ্ছে। চরম ভোগান্তিতে থাকা এই ৪৮ দেশ মূলত ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে আমদানির ওপর চরম নির্ভরশীল, যেগুলোর বেশির ভাগ নিম্ন আয়ের দেশ। এর অর্ধেক দেশ মারাত্মক অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা, দুর্বল প্রতিষ্ঠান ও ভঙ্গুর পরিস্থিতির কারণে বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে শুধু এ বছর সবচেয়ে সংকটাপন্ন দেশগুলোর দরিদ্রতম মানুষদের টিকে থাকতে সহায়তার জন্য ৭০০ কোটি ডলার পর্যন্ত অর্থ দরকার হতে পারে বলে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছেন। ডব্লিউএফপিসহ অন্যান্য সংগঠনের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা শিগগির বাড়ানোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর দরিদ্র মানুষদের সহায়তায় লক্ষ্যাভিমুখী আর্থিক পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছে আইএমএফ। তবে সবার আগে উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানায় মনোযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

খাদ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য সংরক্ষণমূলক পদক্ষেপ গমের দর ৯ শতাংশ বৃদ্ধিতে দায়ী বলে বিশ্বব্যাংকের গবেষণার তথ্য তুলে ধরে এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছেন। শস্য উৎপাদন ও বিতরণব্যবস্থার উন্নয়ন চলমান খাদ্যসংকট মোকাবিলায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি খরাসহ অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় সক্ষম কৃষি, পানি ব্যবস্থাপনা ও শস্যবিমা চালুর ওপর জোর দিয়েছে সংস্থাটি। এসব নীতিগত সুপারিশের পাশাপাশি খাদ্যসংকট মোকাবিলায় দুর্বল দেশেগুলোর জন্য এক বছর বাজেট সহায়তা হিসেবে ফুড শক উইনডো নামে নতুন তহবিল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর আওতায় ইউক্রেনকে বাড়তি সহায়তা ‍হিসেবে ১৩০ কোটি ডলার পর্যন্ত সহায়তা দেওয়া হতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: ইউক্রেন

আরও খবর

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর