Logo
শিরোনাম

খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ১৪২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

এর আগে বিকাল সোয়া ৪টায় গুলশানের বাসা থেকে বেরিয়ে হাসপাতালে যান তিনি। হাসপাতালে দুই ঘণ্টায় তার বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে এ্ভারকেয়ার হাসপা্তালে ম্যাডাম গিয়েছিলেন। যেসব পরীক্ষা করা দরকার, সেগুলো করা হয়েছে। ওই পরীক্ষার রিপোর্ট কালকে নাগাদ পাওয়া যেতে পারে। তারপর চিকিৎসকরা বসে পরবর্তী বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন।

বর্তমানে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনি আগের মতোই আছেন। শারীরিক অবস্থা পূর্বের ন্যায় আছে। অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয় নাই।

এর আগে, গত বছর ২৮ আগস্ট তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কয়েকদিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হয়। ৩১ আগস্ট তিনি বাসায় ফেরেন।

১০ জুন গভীর রাতে বুকে ব্যথা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। পরে দ্রুত এনজিওগ্রাম করে তার হার্টে একটি রিং বসানো হয়। হার্টের দুইটা ব্লক এখনো রয়ে গেছে।

খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভার সিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় রয়েছে উনার।

দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে। খালেদা জিয়া নিজেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এরপর কয়েক দফা তাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এর মধ্যে ২০২১ সালে একবার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান চিকিৎসকরা।


আরও খবর



মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত রামাস্বামী

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিবেক রামাস্বামীর বয়স ৩৭ বছর। থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। পেশা প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা, অধিকারকর্মী, বিনিয়োগকারী। ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় এসেছেন তিনি। রিপাবলিকান দল থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে চান ভারতীয়-আমেরিকান বিবেক।

 মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের প্রাইম টাইম শোতে অংশ নিয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থীতার লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দেন বিবেক। গতকাল মঙ্গলবার এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়। প্রেসিডেন্ট হয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হারানো মর্যাদা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি চীনের ওপর অত্যধিক নির্ভরতা কমাতে চান।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে প্রার্থীতার লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দিয়েছেন আরেক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিক্কি হ্যালি। তিনি দক্ষিণ ক্যারোলাইনার দুবারের গর্ভনর এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে জাতিসংঘে মার্কিন দূত ছিলেন।

বিবেক অভিবাসী পরিবারের সন্তান। বিবেকের মা-বাবা ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন। ওহাইও অঙ্গরাজ্যে একটি ইলেকট্রিক প্ল্যান্টে কাজ করতেন তাঁরা।

২০১৪ সালে বিবেক রয়ভ্যান্ট সায়েন্সেস নামের একটি প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করে এই প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। গত বছর স্ট্রাইভ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন বিবেক।

ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিবেক বলেন, আমরা সবাই আমেরিকাকে শীর্ষে দেখতে চাই। এ জন্য সবার আগে আমাদের আমেরিকা কী, তা বুঝতে হবে। এটাই আমার মূল লক্ষ্য। মেধাতন্ত্র থেকে বাক্‌স্বাধীনতার পথে, অভিজাততন্ত্র থেকে স্ব-শাসনের পথে যাত্রায় জাতিকে নেতৃত্ব দিতে চাই আমি।

চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তারকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি মনে করেন বিবেক। তাঁর মতে, এটাই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ। তাই ক্ষমতায় গেলে পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নে চীনের প্রভাব থেকে দেশকে মুক্ত করার পদক্ষেপকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিবেক।

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লড়তে চান। তবে ইতিমধ্যেই ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন নিক্কি হ্যালি ও বিবেক রামাস্বামী। এ ছাড়া রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে ফ্লোরিডার গর্ভনর রন ডিস্যান্টিস, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, সাইথ ক্যারোলাইনার সিনেটর টিম স্কটের নামও শোনা যাচ্ছে।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




৭ মার্চ নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

১০ দফা দাবিতে আগামী মঙ্গলবার ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি। ওইদিন দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, সমাবেশে মাইক ব্যবহারের অনুমতি ও নিরাপত্তা এবং সার্বিক সহযোগিতা চেয়ে আজ শনিবার পুলিশ কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছে দলটি।

এদিকে আজ সারাদেশের মহানগরের অন্তর্গত থানায় থানায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে এই পদযাত্রা হয়।


আরও খবর



আদানির সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে সেটা দেশ বিরোধী: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | ১৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আদানির সঙ্গে যে চুক্তি করা হয়েছে সেটা দেশবিরোধী, জনগণবিরোধী, অবিলম্বে এই চুক্তি বাতিল করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২এ একটি হোটেলে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। মহা বিপর্যয়ে বিদ্যুৎ খাত : গভীর খাদে অর্থনীতি শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনাটির আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব)।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা ঠিক করে নিয়েছে বিদ্যুৎখাত থেকে সবচেয়ে বেশি চুরি করবে। তারা যা করে সেটা পরিকল্পিতভাবেই করে। তারা ক্ষমতায় এসে বলতে শুরু করল বিদ্যুৎখাতে বিএনপি সরকার কিছুই করেনি। শুধু খাম্বা তৈরি করেছে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বলে জায়েজ করল তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট জায়েজ করার জন্য তারা এসব প্রপাগাণ্ডা শুরু করল।

আদানির সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে পুরো বিষয়টি তারা (সরকার) গোপন রেখেছে জানিয়ে ফখরুল বলেন, লুট আর লুট, এখানে আর কিছু নেই। এটাকে (লুট) ঠেকানোর জন্য, বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য আজকে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সমস্ত রাজনৈতিক দলকে এগিয়ে আসতে হবে। সিভিল সোসাইটিকে এগিয়ে আসতে হবে, ব্যক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়া আমাদের বাঁচার কোনো পথ নেই।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকৌশলী হাসিন আহমেদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রকৌশলী কে.এম আসাদুজ্জামান চুন্নু। গোল টেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু।

এছাড়া বক্তব্য দেন, বিএনপির সহস্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার, সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, বাংলাদেশ পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব ও ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।


আরও খবর



সরকার বুঝে গেছে, তাদের সময় ফুরিয়ে আসছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ২৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সরকার বুঝে গেছে, তাদের সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। তাই নানা নাটক ঘটিয়ে জনগণের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার কূটকৌশল চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষের ভোট ও মত প্রকাশের অধিকার হরণকারী ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী নিশিরাতের ভোটের সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই, নেই জানমালের নিরাপত্তা। যেখানেই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে সেখানেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিচ্ছে সরকার। সাধারণ মানুষের ওপরও গুলি চালাতে কুণ্ঠাবোধ করছে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, পঞ্চগড়ে বিনা উস্কানিতে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। সেখানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে ফায়দা লুটে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও নিরীহ মানুষের ওপর পুলিশ যেভাবে গুলি চালিয়েছে তা সরকারের নিষ্ঠুরতার আরেকটি বহিঃপ্রকাশ। পুলিশের নির্বিচার গুলি ও হামলায় শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। একদিকে গুম-খুন-লুটপাট ও নিপীড়ণ চলছে, অন্যদিকে চলছে গোয়েবলসীয় কায়দায় অকথ্য মিথ্যাচার।

তিনি বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকারের লোকজন উন্মাদ হয়ে গেছে। অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মহান স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া এবং দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন ও চলমান গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার আন্দোলনের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমানকে নিয়ে যেসব মিথ্যাচার চালাচ্ছেন তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত। ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধানের মুখে এসব কথাই শোভা পায়। মন্ত্রীত্ব বাঁচাতে সরকারের মন্ত্রীরাও মিথ্যাচারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তাদের রুচিহীন এমন বক্তব্য জনগণ কোনোভাবেই বিশ্বাসতো করেই না, বরং তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে।

তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও মানুষের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনে সাধারণ মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখে অবৈধ সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। সরকার বুঝে গেছে-তাদের সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। তাই নানা নাটক ঘটিয়ে জনগণের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার কূটকৌশল চালাচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতাত্তোর আওয়ামী সরকার হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়ে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে দেশে-বিদেশে ফায়দা লুটেছিল। এই ভোটারবিহীন সরকারও একই কায়দায় ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করে নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার নানা ধরনের অপকৌশল চালাচ্ছে। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসিত মিথ্যাচার, পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার, নিপীড়ণ, নেত্রকোণায় সাবেক এমপির বাড়িতে পুলিশি হামলা, সাবেক এমপি হারুন অর রশীদ ও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে নিয়ে অশ্রাব্য মিথ্যাচারের ঘটনা সবই একই সূত্রে গাঁথা।

বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে পঞ্চগড়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ একের পর এক বিভেদ সৃষ্টি করে পুলিশি হামলা-মামলা-গ্রেপ্তার এবং জিয়া পরিবার ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।


আরও খবর



বন্ধ হয়ে গেলো মাহিন্দ্রা বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৫৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দীর্ঘদিন আয়-রোজগার না থাকায় শেষ পর্যন্ত বন্ধই হয়ে গেলো ভারতীয় অটো জায়ান্ট মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার (এমঅ্যান্ডএম) বাংলাদেশি ইউনিট। গত মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) থেকে মাহিন্দ্রা বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের (এমবিপিএল) সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই এবং সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

খবরে বলা হয়েছে, মাহিন্দ্রা বাংলাদেশ গত ১৪ মার্চ অংশীদারদের সঙ্গে শেষবারের মতো সাধারণ সভা আহ্বান করেছিল। সভায় স্বেচ্ছায় ও চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। এর ভিত্তিতে মার্চের ১৪ তারিখ থেকেই মাহিন্দ্রা বাংলাদেশের অস্তিত্ব কার্যকরভাবে বিলীন হয়ে গেছে।

বিবৃতি জানানো হয়েছে, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ থেকে মাহিন্দ্রা বাংলাদেশের আয় পুরোপুরি শূন্য ছিল। উল্লেখিত তারিখে এমবিপিএলের নেট আর্থিক মূল্য ছিল ৩ কোটি ১৮ লাখ রুপি (৪ কোটি ৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা প্রায়), যা মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার সর্বমোট মূল্যের মাত্র ০.০১ শতাংশ।

এমবিপিএলের অংশীদাররা ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এক সভায় ইউনিটটি বন্ধ করা এবং বন্ধের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছিলেন। এরপর থেকে মাহিন্দ্রার বাংলাদেশ ইউনিট আর কোনো ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করেনি।

ভারতীয় গাড়িনির্মাতা মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা ২০১৯ সালে তার বাংলাদেশ ইউনিট চালু করেছিল। এর লক্ষ্য ছিল সবধরনের যাত্রী, পরিবহন ও ইউটিলিটি যানবাহন বিতরণ, গবেষণা ও উন্নয়নসহ নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা।

মাহিন্দ্রা বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করছে মাহিন্দ্রা। ব্যবহারকারী ও অংশীদার মিলিয়ে এ দেশে ৫০ হাজার মানুষ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জড়িত। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক গাড়ি ও ট্র্যাক্টর সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে মাহিন্দ্রা। গাড়ি-ট্র্যাক্টরের পাশাপাশি বাংলাদেশে জেনারেটর, নির্মাণ সরঞ্জাম, কৃষি-ব্যবসা, তথ্য-প্রযুক্তি এবং সোলার প্যানেলেরও ব্যবসা করে প্রতিষ্ঠানটির।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩