
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্য
পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি)
সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ফিরোজায় ফেরেন তিনি।
এর আগে বিকাল সোয়া ৪টায় গুলশানের বাসা
থেকে বেরিয়ে হাসপাতালে যান তিনি। হাসপাতালে দুই ঘণ্টায় তার বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক
অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে
এ্ভারকেয়ার হাসপা্তালে ম্যাডাম গিয়েছিলেন। যেসব পরীক্ষা করা দরকার, সেগুলো করা হয়েছে।
ওই পরীক্ষার রিপোর্ট কালকে নাগাদ পাওয়া যেতে পারে। তারপর চিকিৎসকরা বসে পরবর্তী বিষয়ে
প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন।
বর্তমানে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা
কেমন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনি আগের মতোই আছেন। শারীরিক অবস্থা পূর্বের ন্যায় আছে।
অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয় নাই।
এর আগে, গত বছর ২৮ আগস্ট তাকে হাসপাতালে
নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কয়েকদিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হয়। ৩১ আগস্ট তিনি
বাসায় ফেরেন।
১০ জুন গভীর রাতে বুকে ব্যথা নিয়ে রাজধানীর
এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। পরে দ্রুত এনজিওগ্রাম করে তার হার্টে
একটি রিং বসানো হয়। হার্টের দুইটা ব্লক এখনো রয়ে গেছে।
খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভার সিরোসিস
ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের
সমস্যাসহ নানা জটিলতায় রয়েছে উনার।
দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি
কারাগারে যান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০
সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি
দেওয়া হয় তাকে। খালেদা জিয়া নিজেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এরপর কয়েক দফা তাকে হাসপাতালে
ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এর মধ্যে ২০২১ সালে একবার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি
হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং
লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান চিকিৎসকরা।