Logo
শিরোনাম

খেলবেন আমাদের সাথে, কবে খেলবেন বলেন : শামীম ওসমান

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনাই আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন জানিয়ে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের টার্গেট সরকার ফেলে দেওয়া নয়, তাদের টার্গেট শেখ হাসিনাকে ফেলে দেওয়া। ওরা শ্লোগান দেয় বাংলার মাটিতে, ৭৫এর হাতিয়ার গর্জে উঠে আরেক বার। কারণ শেখ হাসিনা এদেশের আগামী প্রজন্মের সম্পদ, আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত। তাই ফখরুল সাহেবরা লন্ডনের নির্দেশে মরণ খেলায় নেমেছেন। আপনারা খেলবেন আমাদের সাথে। কবে খেলবেন বলেন। আমরাও খেলতে চাই।

শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেল ৪টায় নারায়ণগঞ্জের ২নং রেলগেট এলাকায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে একজন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আপনারা খেলবেন ধ্বংসের পক্ষে, আমরা খেলবো ধ্বংসের বিপক্ষে। আপনারা খেলবেন সাম্প্রদায়িকতার ক্ষেত্রে, আমরা খেলবো অসাম্প্রদায়িকতার ক্ষেত্রে।

স্বাধীনতা বিরাধী, জঙ্গীবাদ ও দেশ ধ্বংসের প্রতিবাদে আয়োজিত জেগেছে নারায়ণগঞ্জ, জাগবে বাংলাদেশ শিরোনামে আয়োজিত ঐ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন শীল। এর আগে দুপুর ২টা থেকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ শহর, বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে যোগ দেন। প্রায় দেড় লক্ষাধিক নেতাকর্মীর সমাগমে পুরো জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

সমাবেশে শামীম ওসমান বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, লন্ডন থেকে নির্দেশ আসছে আর সেই নির্দেশে আপনারা বাংলাদেশে বসে লাফাচ্ছেন। লাফানোর আগে চিন্তা করেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়েছেন। লন্ডন থেকে যিনি হুকুম দিচ্ছেন ছেলে হয়ে তো আসলেন না বাংলাদেশে। বুকে কলজে নাই নাকি সাহস নাই। আপনি লন্ডনে আরামে থাকেন নিজের ছেলের বউ তো বড় নামকরা ডাক্তার। শাশুড়ি তো মায়ের মতই। তিনিও তো আসতে পারতেন, আসলেন না। তাদের একজন মেয়েও আছে। দাদীকে দেখতে তো একবারও আসলেন না। যারা তার কথায় নাচছেন তারা কি ভেবেছেন যারা মায়ের জন্য আসে না আপনি বিপদে পড়লে সে কি আপনার জন্য আসবে? শামীম ওসমান বলেন, আমাদের রাজনীতি করার কথা ছিল না বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আর ১৫ বছর পেলে বাংলাদেশ জাপানের মত উন্নত দেশ থাকতো। আপনারা আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ করেন এটা বলব না। আমি বলব শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের স্বপ্ন না। শেখ হাসিনা আগামী দিনের সুন্দর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। গত ১৬ আগস্ট জাতির জনকের কন্যা বলেছেন চতুর্দিক থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আরেকটি পঁচাত্তরের একুশে আগস্টের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা হচ্ছে। জাতির পিতার কন্যাকে বলতে চাই হতে পারেন আপনি নীলকন্ঠী। চেষ্টা করেছি আপনার মত হওয়ার। খোকন সাহাকে নাকি ন্যাংটো করে ঘোরাবে। বলেন, তার আগে চিন্তা করবেন। রাজনীতিতে এই ভাষা চলে না। আপনারা ভাবছেন আপনারা এ ভাষায় কথা বললে আমরা আপনাদের আঘাত করব। আমরা তা করব না। আমাদের ভুল থাকলে ভুল ধরিয়ে দেন। আপনারা তা করছেন না।

শামীম ওসমান এসময় রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান দেশে আসলেন। ২২টি সংগঠন গেল, গিয়ে বলল র‌্যাব এটা করেছে সেনাবাহিনী এটা করেছে। এটা কেন বলতে ভুলে গেলেন আমাদের দেশে ১৫ লক্ষ রোহিঙ্গা এসে বসে আছে। এ পুলিশ রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব। এই র‌্যাবের ভূমিকা আপনারা অস্বীকার করতে চান? রোহিঙ্গা ইস্যুতো সবচেয়ে বড় বিষয়। বার্মায় গিয়ে কেন বলেন না রোহিঙ্গা ফেরত নাও নয়ত স্যাংশন দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আমি জানি জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। প্রথমে রোহিঙ্গা সমস্যা এলো। তারপর এলো কোভিড। অনেক আতেল সুশীলরা বলেছিলেন টিকা পাবেনা, ১০ লাখ মানুষ মরবে। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাই টিকা পেয়েছে। সাউথইস্ট এশিয়ার মধ্যে প্রথম ও সারা বিশ্বে পঞ্চম হলেন শেখ হাসিনা। এরপর হলো বন্যা। মানুষের কষ্ট হচ্ছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে। যেখানে যুক্তরাজ্যের জিডিপি ৩০০ বছরের ইতিহাসে কমে গেছে, সেখানে আমরা আল্লাহর রহমতে এখনও ভালো আছি।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে জেলা বিএনপির সেক্রেটারি মামুন মাহমুদকে ঢাকায় কস্তুরি হোটেলের সামনে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। স্থানীয় জনতা তাকে পাকড়াও করে পুলিশে দিয়েছেন। সেই ছেলেটা একজন পেইড কিলার। সে বলেছে আমার এলাকারই একজন এক্স এমপির ছেলে তাকে টাকা দিয়েছিল। ধরা পড়ে গেছে নয়ত এটা নিয়ে আবারও ত্বকী হত্যার মত নাটক সাজাবে। ইতোমধ্যে টিভিতে প্রতিবেদনে অনেক কিছু প্রকাশিত হয়েছে। অনেক কিছুই বের হয়ে এসেছে।

শামীম ওসমান আরো বলেন, যারা অশুভ খেলা খেলার চেষ্টা করছেন। নারায়ণগঞ্জের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাটি শেখা হাসিনার ঘাটি ছিল এবং থাকবে। আওয়ামী লীগে সব ভাল মানুষ না খারাপ লোকও আছে। কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জের একটি মসজিদের বুজুর্গ ইমামকে আওয়ামী লীগের পদবী ব্যবহার করে কটূক্তি করেছে। আমাকে ইমামরা প্রশ্ন করেছেন কেন। আমি আপনাদের সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি ক্ষমা করে দিবেন। অনেকেই ক্ষমা চাইতে শেখেনি।

সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওয়াজেদ আলী খোকন, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম,আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল প্রমুখ।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর