ফরচুন বরিশালের ১৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই মুজিব
উর রহমানের ঘূর্ণিতে বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা টাইগার্স। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠলেও শেষ পর্যন্ত
জয় পাওয়া হলো না খুলনার। মুশফিকের দুর্দান্ত ইনিংসের পরেও ১৭ রানে বরিশালের কাছে হারল
খুলনা।
শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য ২১ রানের দরকার ছিল খুলনার। হাতে তখনও ৩ উইকেট
আর স্ট্রাইকে সেট ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। তবে ১৯তম ওভারে পেসার মেহেদি হাসান রানের
দুর্দান্ত বোলিংয়ে খেলা শেষ ওই ওভারেই। বল হাতে ওই ওভারে ফরহাদ রেজা, শরিফুল্লাহ এবং
মুশফিকুর রহিমকে তুলে নিয়ে খেলা শেষ করে দেন এই পেসার। আর এতেই দুর্দান্ত এক জয় পায়
ফরচুন বরিশাল।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে আন্দ্রে ফ্লেচার এবং
সৌম্য সরকারকে হারায় খুলনা। গতকাল ঢাকার বিপক্ষে শতক হাঁকানো ফ্লেচার ৩ বলে ৪ রান করে
ফেরার পরের বলেই এলবি ডাব্লিউ হয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে
কোনো রানই করতে পারেননি সৌম্য। তৃতীয় উইকেটে মাহেদি হাসান আর রণি তালুকদার কিছুটা সামাল
দেন বিপর্যয়। তবে দলীয় ৩৬ রানের মাথায় মাহেদি ২৩ বলে ১৭ রান করে সাকিবের শিকার হয়ে
ফেরেন। এরপর স্কোরবোর্ডে ৪ রান যোগ হতে ফেরেন রণি তালুকদার। আউট হওয়ার আগে তিনি ১৬
বলে ১৪ রান করেন।
৪০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা খুলনা তখনও জয়ের আশা দেখছিলেন। কেননা
উইকেটে তখনও ছিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখে
লড়াই চালিয়ে যান শেষ পর্যন্ত কিন্তু বাকিদের কেউই সঙ্গ দিতে পারেননি মুশফিককে। তাই
তো বিপর্যয়ের মুহূর্তেও ৩৬ বলে ৪০ রানের ইনিংসটি হয়ে যায় ব্যর্থ।
এর মধ্যে ইয়াসির আলী রাব্বি ২০ বলে ২৩ আর থিসারা পেরেরা ৯ বলে ১৯ রানের
ক্যামিও খেলেন। কিন্তু তারা দ্রুতই প্যাভিলিয়নে ফেরায় জয়ের বন্দরে নোঙর করা হয়নি খুলনার।
আর ১৯তম ওভারে এসে মুশফিক মেহেদি হাসান রানের বলে নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ তুলে
দিয়ে মুশফিক ফিরলে ১২৪ রানে থামে খুলনার ইনিংস। আর এতেই ১৭ রানের জয় পায় ফরচুন বরিশাল।
খুলনার হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন পেসার মেহেদি হাসান রানা। একাই নেন
চারটি উইকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন মুজুব এবং লিন্টট। আর একটি করে উইকেট পান সাকিব
ও শফিকুল।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে
১৪১ রান তোলে ফরচুন বরিশাল।