খুলনায় জ্বালানী
সরবরাহ বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছেন ট্যাংক লরি শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকাল
৮টা থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা। ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন সম্পাদক আল
আমিনের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এ কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা।
এর ফলে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা
তিনটি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখেছেন তারা। তারা বিক্ষোভ সমাবেশ, সড়ক
অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে খুলনা ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ১৫ জেলায়
তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
ট্যাংক লরি শ্রমিকরা
জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মহানগরীর কাশিপুর বাংলার মোড়ে ৭/৮ জন সন্ত্রাসী হামলা
চালিয়ে আল আমিনকে গুরুতর জখম করে। তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়। তার শারিরীক অবস্থা গুরুতর।
এদিকে হামলার
ঘটনায় শ্রমিক নেতা আল আমিনের ভাই বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
খুলনা বিভাগীয়
ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মোকসেদ আলী বলেন, সকাল থেকে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা
ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির
আওতায় না আনা হওয়া পর্ঢ়ন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মসূচি চলবে। শ্রমিকরা ইউনিয়ন
অফিসের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করছে।
তিনি আরও বলেন,
সোমবার দুপুরে কাশিপুর বাংলার মোড়ে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আল আমিনকে গুরুতর জখম
করে। তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে
শ্রমিকরা যে যেখানে ছিল সেখানে গাড়ি রেখে প্রতিবাদ শুরু করেন। নগরীর নতুন রাস্তা মোড়ে
দুপুর ১টা থেকে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। প্রশাসনের আশ্বাসে বিকাল ৪টায় সড়ক অবরোধ তুলে
নেওয়া হয়। আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ সকাল থেকে কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
খালিশপুর থানা
পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, আল আমিনের উপর হামলার ঘটনায়
ভাই জাহাঙ্গীর বাদি হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা
দায়ের করেছেন। হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।