Logo
শিরোনাম

খুলনায় অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১৮৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

খুলনায় ভোজ্যতেলের পর এবার বাজারে মাছ-মাংস ও সবজির দামও চড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। ৪০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না সবজি। চাল-আটা, ময়দাসহ অন্য নিত্যপণ্যের দামও আকাশ ছোঁয়া। সংসারের খরচ চালাতে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে বলে জানান খুলনার খেটে খাওয়া মানুষ। এলাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দামই ৪০ টাকা কেজির বেশি। মাংস ও মাছের দাম আগে থেকেই চড়া ছিল। ব্রয়লার মুরগির দাম আবারও বেড়েছে।

এছাড়া বাজার ভেদে টমেটো ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিংগা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, পটল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিদরে। কচুর মুখি ৬০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, ধুন্দল ৩০ থেকে ৪০ টাকা একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঝিঙা। মিষ্টি কুমড়া কেজি প্রতি ৩০ টাকা, কলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ১০০-১৬০ টাকা। লেবুর দাম কিছুটা কম। হালি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকায়। দাম বেড়ে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। উচ্ছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে। ১০০ টাকা কোথাও কোথাও তার থেকেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস। কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা কেজি দরে। পাইকারি বাজারের অজুহাত দেখিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা খুচরা ব্যাবসায়ীদের। আটা ময়দার দামও অনিয়ন্ত্রিত। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আটার দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। প্যাকেটজাত আটা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩৪-৩৬ টাকা দরে।

তবে অপরিবর্তিত আছে লেয়ার ও কক মুরগির দাম। কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি করে। আর লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা দরে। বাজার ভেদে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। কাতল ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৪০ থেকে ৩০০ টাকা, শিং মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আকারভেদে চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে হাজার টাকায় ও পাবদা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে। ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে হাজার টাকা কেজি দরে। ৮০০ থেকে ১০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১ হাজার ২০০ টাকা। এক কেজি আকারের ইলিশ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়।

নগরীর বড়বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. হাফিজুল ইসলাম জানান, আমরা মোকাম থেকে পাইকারি যে দামে কিনি তার সঙ্গে খরচ যোগ করে পাইকারি বিক্রি করছি। আমরাই মাল কিনতে গেলে পাগল হয়ে যাই।

খুলনা বড় বাজার সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শ্যামল হালদার জানান, ঢাকা এবং চট্টগ্রামের বাজারে দাম বাড়লে খুলনার বাজারেও দাম বাড়ে। বাজারের অবস্থা কাল কী হয় বলা যাচ্ছে না। বাজারে অন্যান্য পণ্যের দামও স্থিতিশীল নেই বলে জানান খুলনা নাগরিক আন্দোলনের মহাসচিব এসএম দেলোয়ার হোসেন। খুলনার বাজারে মনিটরিং ব্যবস্থা একেবারেই নাজুক। মাঝে মধ্যে যা দেখা যায়, তাও নামমাত্র। কাঁচা বাজারসহ চিনি, তেল, আটা এবং চালের বাজার অস্থির। খোঁড়া অজুহাতে সবকিছুর দাম বাড়ছে। এখনই এর লাগাম টেনে ধরতে হবে। আশা করছি, প্রশাসন বিষয়টি আমলে নিয়ে খুলনার মানুষকে রেহাই দেবে। খুলনায় এখন কার্যকরী বাজার মনিটরিং এখন সময়ের দাবি।

নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজার সবজি ব্যবসায়ী মো. মমিনুল শেখ বলেন, প্রতি বছরই এমন সময় সবজির দাম একটু বেশি থাকে। তবে এ বছরের অবস্থা ভিন্ন। এবছর সব ধরনের মালের দাম বেশি। খুলনার একটি মাত্র পাইকারি কাঁচা বাজার। সেখান থেকে দর কষাকষি করে মাল কিনতে পারছি না। তারা যে দাম চায়, সেই দামেই আমাদের কিনতে হয়।

নিউজ ট্যাগ: খুলনা

আরও খবর

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর