খুলনার সোনাডাঙ্গা বিহারী কলোনী এলাকার আলোচিত শিশু ধর্ষণ মামলায় ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া এই মামলার অপর চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমনন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আ. ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল (পিপি) ফরিদ আহমেদ।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মোরশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস (পলাতক), শেখ শাহাদাত হোসেন (পলাতক), মো. রাব্বি হাসান পরশ, মো. মাহামুদ হাসান আকাশ, কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম (পলাতক) ও মো. মিম হোসেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ঘটনার দুইদিন আগে আসামি মোরশেদুল ইসলাম শান্তর সঙ্গে ধর্ষণের শিকার শিশুর পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৯ সালের ২৯ জুন বিকেলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিশুটিকে ডেকে নেয় শান্ত। নগরীর সাহেবের কবর খানায় দুজনের দেখা হয়। সেখান থেকে শিশুটিকে নেওয়া হয় মামলার অপর আসামি নুরুন্নবীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন বিহারী কলোনীর ভাড়া বাড়িতে। পরে শিশুটিকে সেখানে ধর্ষণ করে শান্ত। আর এ দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করেন অন্যরা। পরে ধারণকৃত ওই ভিডিওটি দেখিয়ে অন্য আসামিরাও পালাক্রমে শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণ শেষে আসামিরা শিশুটিকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সন্ধ্যার দিকে ছেড়ে দেয়। পরে ঘটনাটি ভিকটিম তার বড় বোনকে জানায়। শিশুটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরেরদিন বড় বোন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় ৯ আসামির নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর ১০ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আজ মঙ্গলবার সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত রায় প্রদান করেন।