Logo
শিরোনাম

কি হতে পারে কেজিএফ চ্যাপ্টার থ্রি-র গল্প?

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ২৩৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সিনেমাপ্রেমীদের কাছে কেজিএফ এক আবেগের নাম। গোটা বিশ্বজুড়ে মানুষের মধ্যে হাইপ তৈরি করেছে এই সিনেমার দুই সিরিজ। বলতে গেলে একদমই নতুন মুখ ইয়াসকে নিয়ে পরিচালক প্রশান্ত নীল যখন এই সিনেমা বানাচ্ছিলেন তখনও কী তিনি ভেবেছিলেন কোটি কোটি মানুষের কাছে এই সিনেমা এতটা সাড়া ফেলবে!

প্যান ইন্ডিয়ার দর্শক পাগলের মত মাতামাতি করবে রকি ভাইকে নিয়ে। প্রথম থেকেই পরিচালক ঠিক করেছিলেন দুটি ভাগে তিনি গল্প বলবেন। প্রথমভাগে বিপুল সাড়া পাওয়ার পর দ্বিতীয় ভাগেও সমানভাবে এই সিনেমা দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করেছে। তবে কেজিএফ চ্যাপ্টার টু দেখার পর থেকেই মানুষের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কেজিএফ চ্যাপ্টার থ্রি নিয়ে। কী হতে পারে তৃতীয় ভাগের গল্প? দ্বিতীয় ভাগের শেষে আমরা দেখেছি গভীর সমুদ্রে তলিয়ে গেছে রকি ভাইয়ের নিথর দেহ।

কিন্তু সত্যিই কি মারা গেছে রকি ভাই?এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে বলে রাখা ভালো, রকি পড়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যুর কোন ছাপ পরিচালক দেখায়নি। ফলে খুব সম্ভবত সে হয়তো বেচেঁ থাকতে পারে। প্রথম ভাগে আমরা দেখেছি খুব ছোটবেলায় নিউমোনিয়া থেকে ফিরে এসেছিল রকি ভাই। ফলে এক্ষেত্রে পরিচালক সেই বিষয়টির পুনরাবৃত্তি করতে পারেন। এক্ষেত্রে যদি রকি সত্যিই মারা যায়, তাহলে কেজিএফ চ্যাপ্টার থ্রি এর গল্প এগোতে পারে ফ্ল্যাশব্যাকে। অর্থাৎ কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান এবং কেজিএফ চ্যাপ্টার টু এর মধ্যবর্তী সময়কালে বিদেশে রকি যে ব্যবসা করেছে সেই কার্যক্রম নিয়ে তৈরি হতে পারে কেজিএফ চ্যাপ্টার থ্রি। যদিও এর সম্ভাবনা খুবই কম, বরং রকির বেঁচে থাকার সম্ভাবনাই বেশি। এর পেছনে অবশ্য কতগুলো কারণ রয়েছে।

প্রথমত, যদি রকির মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে ভারতীয় দর্শকদের মধ্যে কেজিএফ চ্যাপ্টার থ্রি সেভাবে সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, ভারতের বেশির ভাগ দর্শক মৃত হিরোর অতীত দেখতে হলমুখী হবে তা আশা করা যায়না এবং এই বিষয়টি নির্মাতারাও ভালোভাবে জানেন ফলে, ব্যবসার খাতিরে রকিকে ফিরিয়ে

দ্বিতীয়ত, এর আগে নেটফ্লিক্সের 'এক্সট্রাকশন' সিনেমায় এই একই রকম শেষ দেখা গিয়েছিল যেখানে একটি ব্রিজ থেকে ক্রিস হেমসওয়ার্থ পানিতে পড়ে যায়। তবে সেই ছবির দ্বিতীয় ভাগ আসতে চলেছে যেখানে দেখা যাবে ক্রিস বেঁচে গেছেন। এই একই বিষয়টির পুনরাবৃত্তি পরিচালক প্রশান্ত নীলও ভাবতে পারেন।

তৃতীয়ত, গোটা কেজিএফ এর দুটি পার্ট জুড়ে রকিকে পরিচালক যেভাবে তৈরি করেছে, তার কাছে কোন কিছুই অসম্ভব নয় এবং সে ভীষন চালাক ও বেপরোয়া। ফলে সকলকে চিঠি লিখে জানিয়ে মরে যাওয়ার ছেলে সে মোটেই নয়, ফলে কোনভাবেই এই যুক্তি খাটেনা যে দ্বিতীয় ভাগের শেষে রকির মৃত্যু হয়েছে। বরং এমন হতে পারে গোটাটাই তার প্ল্যানের অংশ। সমুদ্রে সে নিজের সমস্ত সোনা লুকিয়ে সেভ প্যাসেজ দিয়ে অন্য কোথাও পালিয়েছে কারণ সে জানত কুড়ি হাজার ফুট নিচে জলের অত গভীরে আন্তর্জাতিক সীমানায় তাকে কেউ খুঁজতে যেতে পারবেনা। চতুর্থত, সেভ প্যাসেজের কথা বলতে গেলে জিমি কার্টারের কথা বলতেই হবে। সিনেমায় যে সময়কাল কে ধরা হয়েছে বাস্তবে সেই সময় আমেরিকার ৩৯ তম প্রেসিডেন্টের নাম ছিল জিমি কার্টার। ফলে পরিচালক এই বিষয়টিকে কোনোভাবে লিংক করে রকিকে বাঁচিয়ে তুলতে পারেন। কেজিএফ চ্যাপ্টার থ্রি তে আমরা দেখতে পারি আমেরিকা কোনভাবে রকিকে সাহায্য করেছে ভারতের হাত থেকে বাঁচাতে। পঞ্চমত, কেজিএফ চ্যাপ্টার থ্রি তে ইনায়াত খলিল বড় ভূমিকা নিতে পারে। আমরা কেজিএফ চ্যাপ্টার টু তে জেনেছি রকি তার সমস্ত সোনা নিয়ে ইনায়াত খলিলের কাছে গেছিল কোন বড় প্ল্যান করতে। এই প্ল্যান রমিকা সেনের হাত থেকে নিরাপদে প্রস্থান কি না তা কে জানে?

পরিচালক অনেক ছোট ছোট ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন কেজিএফ চ্যাপ্টার টু জুড়ে যার থেকে খুব সহজেই কেজিএফ চ্যাপ্টার থ্রি তে রকি বেঁচে ফিরতে পারে। এগুলো তো ছিল শুধুই অনুমান। হয়তো পরিচালক প্রশান্ত নীলের ভাবনা আরও ভিন্ন কিছু যা আমাদের কল্পনাতীত। এক আর দুই সিরিজের গল্পে যে চমক পরিচালক দেখিয়েছেন, তৃতীয় সিরিজে হয়তো এর চেয়ে বড় ধামাকা আসতে চলেছে। আপাতত এখন শুধুই অপেক্ষা কেজিএফ চ্যাপটার থ্রি এর ট্রেলার।


আরও খবর