Logo
শিরোনাম

কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাকের জন্ম আজকের এই দিনে

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১৩০০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি, ঢালিউডের নায়করাজ রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালের এই দিনে (২৩ জানুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গের টালিগঞ্জে।

তিনি বেঁচে থাকলে শনিবার প্রথম প্রহরে ছুঁতেন ৭৯ বছর। তাকে ঘিরে হতো ঢালিউডজুড়ে নানা উৎসবের আয়োজন। একদিকে তার অনুপস্থিতি অন্যদিকে করোনাকাল, দুটো মিলিয়ে এবারের জন্মদিনে নায়করাজকে ঘিরে বিশেষ কোনও আয়োজন বা প্রকাশনার খবর পাওয়া যায়নি। বিশেষ আয়োজন সম্প্রচারের খবর মেলেনি টিভি চ্যানেলগুলো থেকেও।

এদিকে নায়করাজের কনিষ্ঠ পুত্র নায়ক সম্রাট বলেন, ‌উৎসব বা কোনও কেক কাটা হবে না। বাইরের কোনও আনুষ্ঠানিকতার খবরও আমাদের জানা নেই। আমরা পারিবারিকভাবে দোয়া ও সাদকার আয়োজন করেছি শনিবার। সত্যি বলতে, তাঁর অনুপস্থিতিতে আমাদের ভেতর থেকে আর কোনও আনন্দ আসে না। আমরা সারাক্ষণ উনাকে মিস করি। তাঁর জন্য প্রার্থনা করি। এই জন্মদিনেও আমরা পরিবারের সদস্যরা সেটা করার চেষ্টা করবো।

এই কিংবদন্তি অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক নায়করাজ নামে সুপরিচিত হলেও তার আসল নাম আব্দুর রাজ্জাক। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় সরস্বতী পূজা চলাকালীন মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন। সেই নাটকের জন্য গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাকে বেছে নেন নায়ক অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা বিদ্রোহী নামের ওই নাটকে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়করাজের অভিনয়ে সম্পৃক্ততা।

নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে যাত্রা করেন জহির রায়হানের বেহুলা ছবি দিয়ে। এতে তার বিপরীতে ছিলেন কোহিনূর আক্তার সুচন্দা। প্রযোজক হিসেবে নায়করাজের যাত্রা হয় রংবাজ ছবিটির মাধ্যমে। এটি পরিচালনা করেছিলেন জহিরুল হক। রাজ্জাকের বিপরীতে ছিলেন কবরী। ববিতার সঙ্গে জুটিবেঁধে নায়করাজ প্রথম নির্দেশনায় আসেন অনন্ত প্রেম চলচ্চিত্র দিয়ে। এই ছবিটি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে আছে। নায়ক হিসেবে এ অভিনেতার সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল শফিকুর রহমান পরিচালিত মালামতি। এতে তার বিপরীতে ছিলেন নূতন।

এক জীবনে নায়করাজ প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র।

১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সঙ্গেই ঢালিউড ও টলিউডে সেরা নায়ক হয়ে অভিনয় করেন রাজ্জাক। এর মধ্য দিয়েই তিনি অর্জন করেন নায়করাজ রাজ্জাক খেতাব। অর্জন করেন একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা। এছাড়াও রাজ্জাক জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছাদূত হিসেবেও কাজ করেছেন।

২০১৭ সালের ২১ আগস্ট দুনিয়ার রাজত্ব পেছনে ফেলে নায়করাজ চলে যান না ফেরার দেশে।

নিউজ ট্যাগ: নায়করাজ রাজ্জাক

আরও খবর