হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায়
কাঁপছে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের মানুষ। গত কয়েকদিনের কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে
পড়েছে জনজীবন। শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে
১৩টি নদ-নদী তীরবর্তী ৬৮টি চরের প্রায় ১ লাখ মানুষসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা।
জানা গেছে, এই শীতে শিশু,
বয়স্ক ও এজমা রোগীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। পাশাপাশি গবাদিপশুও শীতে কষ্ট পাচ্ছে। সড়কে গাড়িগুলো
হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। তিস্তা-পাড়ের বেশির ভাগ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত
নিবারণের চেষ্টা করছে।
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা
ভাদাই ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের গোলাম মিয়া জানান, গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো
তিস্তার চর এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। এখন পরিবারগুলো শীতে কাঁপছে। তাদের জন্য শীতবস্ত্র
খুবই প্রয়োজন।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশ রোগীরা শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।