বিয়েতে ‘কন্যাদান’ কি অপরিহার্য? বিয়ের সামগ্রীর এক বিজ্ঞাপনে
সম্প্রতি এই প্রশ্ন তুলেছেন আলিয়া ভাট। বিজ্ঞাপনে তাঁকে বলতে দেখা গেল, কন্যাদান নয়,
এই রীতির নাম হওয়া উচিত কন্যামান। অর্থাৎ কন্যাকে দান না করে তাঁকে মান দেওয়া উচিত।
সবাই বলে কন্যা হলো অন্যের ধন। কিন্তু কন্যা কোনো বস্তু নন, কারোর ধন নন যে তাঁকে দান
করা হবে। এ সংলাপের জেরে রক্ষণশীলদের তোপের মুখে পড়েছেন এই বলিউড তারকা। এসব নেট নাগরিকের
দাবি, কন্যাদান অস্বীকার করা মানে প্রচলিত রীতিনীতির বিরোধিতা করা।
অনলাইনে এই বিজ্ঞাপন প্রচারের পর থেকে আলিয়ার সংলাপ ও বিজ্ঞাপনদাতাদের
নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। তাদের বিরুদ্ধে বিয়ের জিনিস বিক্রি করতে গিয়ে ভারতীয় বিয়ের
রীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আলিয়াকে নিয়ে তৈরি হয়েছে মিম। এক নেট নাগরিক টুইটারে লিখেছেন, আলিয়া
সম্ভবত তাঁর বাবার কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন, যিনি নারীর ক্ষমতায়নের রক্ষক। এক মন্তব্যকারী
লিখেছেন, কোনো স্পর্শকাতর বিষয়ে কথা বলার আগে তারকাদের ভাবা উচিত।
বিষয়টি নিয়ে টুইটারে ইতিবাচক মন্তব্যও করেছেন অনেকে। নারীবাদের জাগরণকে
স্বাগত জানিয়ে অনেকে লিখেছেন, ‘এটি একটি আধুনিক ধারণা। একে স্বাগত
জানাই। আলিয়া যা বলেছেন, প্রতিটি মেয়েই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে এ কথাগুলোই ভাবেন।’ আরেকজন লিখেছেন, ভবিষ্যতের বিয়েতে কন্যাদানের
বদলে রীতি হোক কন্যামান।
সর্বশেষ আলিয়া ভাট কাজ করেছেন সঞ্জয় লীলা বানসালির গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি
ছবির। এ ছবির নায়িকা হিসেবে ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন। এ ছবিতে আলিয়ার সঙ্গে কাজ করে
বানসালি সন্তুষ্ট। আর আলিয়াও তাঁর সঙ্গে কাজ করে লোভে পড়ে গেছেন।
বানসালির সঙ্গে আরও কাজ করতে চান। বিশেষ করে বানসালির আগামী সিরিজ ‘হীরামন্ডি’তে কাজ করার তাঁর খুব ইচ্ছা। জানা গেছে,
‘হীরামন্ডি’ সিরিজে ছোট একটা চরিত্রে তাঁকে সুযোগ
দেওয়ার জন্য বানসালিকে অনুরোধ করেছেন আলিয়া।
বছরে পাঁচ-ছয়টি সিনেমা করেন অক্ষয় কুমার। তাই ছবির শুটিংয়ে অধিকাংশ সময়
ব্যস্ত থাকেন এই বলিউড তারকা। একটু অবসর পেলেই সপরিবার বেরিয়ে পড়েন। তাঁর পছন্দের জায়গা
হলো কেপটাউন।
মা শ্রীদেবীর হাত ধরেই তাঁর অভিনয়ে জগতে আসা। সৌন্দর্যের ক্ষেত্রেও মায়ের
পথেই হেঁটেছেন এই তারকাকন্যা। বয়স ধরে রাখার জন্য বেশ কয়েকবার প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন
শ্রীদেবী।