Logo
শিরোনাম

কোন দেশে ‘ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ সবচেয়ে বেশি?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৭০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান বা ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বিশেষ ধরনের (বন, পাহাড়, হ্রদ, মরুভূমি, স্মৃতিস্তম্ভ, দালান, প্রাসাদ বা শহর) একটি স্থান। যা ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় লিপিবদ্ধ হয়েছে। ইউনেস্কোর একটি প্রকল্প আছে, যার নাম আন্তর্জাতিক বিশ্ব ঐতিহ্য প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় ২১টি রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি তালিকা প্রণয়নের কাজ করেন।

এই প্রকল্পের কাজ হলো বিশ্বের নানা স্থানে ছড়িয়ে থাকা অনন্যসাধারণ সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক গুরুত্ববিশিষ্ট স্থানসমূহ চিহ্নিত করা। একই সঙ্গে তা একটি বৈশ্বিক তালিকায় নাম লিপিবদ্ধ করা। তালিকাভুক্ত স্থানসমূহকে পরবর্তী সময়ে শ্রেণীভুক্ত করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই কমবেশি আছে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। তবে কোন কোন দেশে সর্বাধিক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান আছে, তা অনেকেরই অজানা। ইতালি ও চীনে বিশ্বের সর্বাধিক ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট আছে বলে জানা যায়। তবে আরও অনেক দেশ আছে যেখানে গেলে আপনি বিশ্বের সর্বাধিক ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো ঘুরে আসতে পারবেন। জেনে নিন কোন দেশে কতটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট আছে-

ইতালি: বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় ইতালির অবস্থান শীর্ষে। ইউনেস্কো কমিটি দ্বারা নতুন সাইটগুলোর সর্বশেষ বার্ষিক ঘোষণার পর জানা যায়, এই দেশে মোট ৫৮টি বিশ্ব ঐতিহ্যের অবস্থান আছে। কিছু নতুন সংযোজন হলো বোলোগ্নার পোর্টিকো, পাডুয়ার ১৪ শতকের ফ্রেস্কো চক্রসহ আরও অনেক কিছু। ইতালির জনপ্রিয় কয়েকটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মধ্যে আছে- হিসটোরিক সেন্টার অব ফ্লোরেন্স, ভেনিস ও লাগুন, পিয়াজা ডেল ডুওমো, সান গিমিঙ্গানো, সিয়েনা, ফেরারা, ক্যাসেল ডেল মন্টে, রাভেনা, পিয়েনজা ইত্যাদি।

চীন: চীনে ৫৬টি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট আছে। বিশ্বের সর্বাধিক ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চীন। যদিও চীনের গ্রেট ওয়াল তার আইকনিক ল্যান্ডমার্কের পাশাপাশি সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন সাইট। এছাড়া সামার প্যালেস, ফরবিডেন সিটি, ওয়েস্টার্ন কিং টম্বস, টেম্পল অব হেভেন, মিং টম্বস, এমন কিছু স্পট যা দেখলে নয়ন জুড়িয়ে যাবে সবার। এছাড়া ফুজিয়ান টুলুও বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্যতম। যেখানে ৪৬টি বহুতল ভবন আছে। যা সৌন্দর্য সত্যিই অবাক করে পর্যটকদের।

জার্মানি: জার্মানিতে আছে মোট ৫১টি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। যার মধ্যে আছে- আচেন ক্যাথেড্রাল, বার্লিন মডার্নিজম হাউজিং এস্টেট, বাউহাউস, কোলন ক্যাথেড্রাল ও ক্লাসিক্যাল ওয়েমার। ওয়াডেন সাগরও একটি ইউনেস্কো সুরক্ষিত স্থান, যা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাটির ফ্ল্যাট ও আন্তঃজলোয়ার বালির ব্যবস্থাসম্পন্ন। জার্মানিতে গেলে অবশ্যই এসব স্থান পরিদর্শন করতে ভুলবেন না।

স্পেন: স্পেনে মোট ৪৯টি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান আছে। তবে কিছু সাইট আছে যা পর্যটকদের বেশি আকর্ষণ করে যেমন- আলতামিরা গুহা, আলহাম্বরা, টেইড ন্যাশনাল পার্ক, টলেডোর ঐতিহাসিক কেন্দ্রসহ ক্যামিনো ডি সান্তিয়াগো অন্যতম।

ফ্রান্স: সর্বাধিক ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় ৫ম স্থানে আছে ফ্রান্স। এদেশে আছে মোট ৪১টি ঐতিহ্যবাহী সাইট। যার মধ্যে ৪টি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন, একটি মিশ্র সম্পত্তি ও ৩৯টি সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। ফ্রান্সে গেলে আপনি সেখানকার বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় সাইট যেমন- পোর্তো উপসাগর, মন্ট সেন্ট মিশেল, রোমান থিয়েটার ও নিউ ক্যালেডোনিয়ার লেগুন্সে ঢুঁ মারতে ভুলবেন না।

ভারত: ২০২২ সালের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ভারতে আছে ৪০টির মতো বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী সাইট। যার মধ্যে ৩২টি সাংস্কৃতিক, ৭টি প্রাকৃতিক ও একটি মিশ্র ধরনের। ভারতে গেলে ঘুরে আসতে ভুলবেন না- কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান, মানস বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান, পশ্চিমঘাট, নন্দা দেবী জাতীয় উদ্যানসহ ফুলের উপত্যকার মতো প্রাকৃতিক সব স্থানে।

মেক্সিকো: সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহমণ্ডিত মেক্সিকোতে আছে ৩৫টি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মেক্সিকোর ৯টি ঐতিহ্য ও উদযাপনও মেক্সিকোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অধীনে বিবেচনা করা হয়।

যুক্তরাজ্য: যুক্তরাজ্যে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের সংখ্যা মোট ৩৩টি। ইউকে ইউনেস্কো সাইটগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে বিভক্ত স্থান। কিছু কিছু ইউনেস্কো সাইটগুলোতে পৌঁছানো অনেকটাই কঠিন।


আরও খবর

অরণ্যযাপনের আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন

বৃহস্পতিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর