Logo
শিরোনাম

কোরবানিকে পুঁজি করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১১০০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পর্যাপ্ত উৎপাদন ও নিয়মিত সরবরাহের পরও বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। আসন্ন ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে পেঁয়াজের চাহিদা বাড়বে। এই সুযোগে দাম আরও কিছুটা বাড়তে পারে। বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, অতিবৃষ্টি, বন্যা এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবার বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। আমদানিকারকদের কাছে আইপি না থাকায় তারা পেঁয়াজ আমদানি করতে পারছে না বিধায় ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি আপাতত বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি না হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। এই সুযোগটি নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ঈদুল ফিতরের পর থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। এখন দেশি পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়তে শুরু করছে। ঈদুল আযহার আগে দাম আরও বাড়তে পারে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দিনাজপুরের হিলি বন্দরের খুচরা বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। গত দুদিন আগে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রয় হয়েছে ৩০ টাকা কেজি দরে। এখন সেই পেঁয়াজ বিক্রয় হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।

জানতে চাইলে পেঁয়াজ আমদানিকারক ও শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মাজেদ জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। গত দুদিনের ব্যবধানে পাইকারিতে কেজি প্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দুইদিন আগে মানভেদে পেঁয়াজ বিক্রি করেছিলাম ৩০-৩৫ টাকা, সেটি এখন ৪০-৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে।

 কাওরানবাজারের ব্যবসায়ী এখলাস উদ্দিন জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়লে খুচরা বাজারে দাম বাড়বে এটি খুবই স্বাভাবিক। তবে এই সময়ে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার সুযোগ নাই। কারণ দেশে এবার পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। দেশে পেঁয়াজের বাজারে প্রভাব বিস্তার করে ভারতীয় পেঁয়াজ। কোনওভাবে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি এক ঘণ্টা বন্ধ থাকলেই স্থলবন্দরে এর প্রভাব পড়ে। আর সেটি এসে পড়ে দেশের প্রতিটি বাজারে। চাহিদা ব্যাপক কিন্তু সরবরাহ নাইএমন অজুহাত দিয়ে সুযোগটি নেয় পাইকারি ব্যবসায়ীরা। দাম বাড়িয়ে দেয়। ফলে তার প্রভাব এসে পড়ে খুচরা বাজারে। এবারও তেমন হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। 

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ জানিয়েছেন, ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। নতুন করে আইপি ইস্যু করছে না কর্তৃপক্ষ। তাই এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ঈদুল ফিতরের পর পরই ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। এখন দেশি পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ কিছুটা কমেছে। ফলে দাম বাড়তে শুরু করছে। ঈদুল আযহার আগে দাম আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দাম কমে আসবে। হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার জন্য সব সময় প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তারা। তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার কৃষকের স্বার্থেই এই মুহূর্তে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখার পক্ষে। কৃষকের লাভের কথা চিন্তা করে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে কৃষকের পরিবর্তে এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে লাভবান হচ্ছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখার সুফল পাচ্ছেন না কৃষকরা। দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের সরবরাহ থাকার পরও কোনও কারণ ছাড়াই পাইকারি ব্যবসায়ীরা কেজিতে ১০ টাকা বাড়ি দিয়েছে। এতে কৃষকরা কোনও ভাবেই লাভবান হচ্ছেন না। বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিৎ। সরকারকে এখনই  বাজার নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে হবে। তা না হলে সামনে ব্যবসায়ীরা আরও সুযোগ নিতে পারে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী হেমায়েত আলী বলেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেক বেড়েছে। বর্তমানে খুচরা বিক্রি করছি ৫০ টাকা কেজি দরে। দুদিন আগেও যা বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে।

উল্লেখ্য, দেশে বছরে পেয়াজের চাহিদা ২৫ লাখ মেট্রিক টন। প্রতিবছর শুধু রমজান মাসেই চাহিদা থাকে ৪ থকে ৫ লাখ মেট্রিক টন। স্থানীয়ভাবে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৫ লাখ মেট্রিক টন। উৎপাদিত পেঁয়াজের ১৭ থেকে ২৫ শতাংশ পচে যায়। যা স্বাভাবিক। ভারত থেকে প্রতিবছর ৬ থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।


আরও খবর

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর