কাতার বিশ্বকাপের
আর খুব বেশিদিন বাকি নেই। সময়ের হিসাবে আর বাকি মাত্র সাত মাসের মতো। তবে বিশ্বকাপের
আগে ফুটবলপ্রেমিদের জন্য অপেক্ষা করছে বেশ কিছু রোমাঞ্চকর সূচি। তাতে সবশেষ যোগ হলো
আসছে জুনে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের লড়াই। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১১ জুন অস্ট্রেলিয়ার
মাঠ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হবেন লিওনেল মেসি ও নেইমাররা।
মেসির আর্জেন্টিনা
অবশ্য এর আগেও অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেট তীর্থে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিল। ২০১৭ সালে
সাবেক কোচ হোর্হে সাম্পাওলি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ম্যাচ ছিল সেটি। গ্যাব্রিয়েল মের্কাদোর
একমাত্র গোলে সেই ম্যাচে ব্রাজিলকে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে খেলতে পারেননি
নেইমার। তবে সব ঠিকঠাক থাকলে নেইমার এবার এমসিজিতে মুখোমুখি হবেন মেসির।
গেল বছর ব্রাজিলের
মাটিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে দুই দল মুখোমুখি হলেও স্বাস্থ্য প্রশাসনের বাগড়ায়
ম্যাচটায় পাঁচ মিনিটের বেশি খেলতে পারেনি দল দুটো। সেই বাতিল হওয়া ম্যাচটাই মেলবোর্নের
মাঠে খেলা হবে আবার, জানাচ্ছে আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম। যদিও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের
বৈতরণী পেরিয়ে গেছে দুই দলই। কনমেবল অঞ্চলের প্রথম ও দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপ নিশ্চিত
করে ফেলেছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা।
ক্রিকেটের মাঠ
হলেও এমসিজিতে অন্য খেলা নিয়মিতই হয়ে থাকে। ১৮৫৩ সালে নির্মিত এই স্টেডিয়ামে ক্রিকেট
মৌসুম শেষে হয় অন্য খেলা। যে কারণে অলিম্পিক, কমনওয়েলথ গেমসের খেলা আয়োজন করেছে এই
মাঠ। এমনকি অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবল, রাগবি ইউনিয়ন, রাগবি লিগের খেলা হয় এখানে। একটা
সময় তো টেনিস আর সাইক্লিংয়ের আয়োজনও হয়েছে এখানে।
এই মাঠে ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচ তো খেলেছেই, আর্জেন্টিনা এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও খেলেছিল এমসিজিতে। ২০০৭ সালে সকারুদের বিপক্ষে আর্জেন্টিনাকে জিততে সহায়তা করেছিলেন মেসি, তার ফ্রি কিক থেকেই মার্তিন দেমিচেলিস করেছিলেন একমাত্র গোলটা। আসছে জুনে ব্রাজিলের বিপক্ষে তাই একগাদা সুখস্মৃতি নিয়েই মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা।