Logo
শিরোনাম

‘করোনা কেলেঙ্কারিতে শিশু হাসপাতালের দুই কর্মকর্তা’

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মে ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১৭৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কোভিড-১৯-এর নমুনা পরীক্ষা কেলেঙ্কারির সঙ্গে শিশু হাসপাতালও জড়িয়ে পড়েছে। তাদের নাম ভাঙিয়ে স্বাস্থ্যসেবা খাতের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অন্য জায়গা থেকে নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত শিশু হাসপাতালের দুই কর্মকর্তা। তাদের সহায়তায় পরিচালকের অনুমতি ছাড়াই গত বছরের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে এ কার্যক্রম।

বেসরকারি এ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতিটি নমুনা পরীক্ষার জন্য রোগীদের কাছ থেকে নিয়েছে ৫ হাজার টাকা। তারা এগুলো পরীক্ষার জন্য শিশু হাসপাতালের নামে ( রেফারেন্সসহ ) পাঠাত চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনে। সেখানে প্রতিটি নমুনার জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা পরিশোধ করে। শিশু হাসপাতালের দুজন কর্মী এ কাজের জন্য টাকা লেনদেনসহ নমুনা সংগ্রহ সংক্রান্ত সরঞ্জাম সরবরাহ করে, যাদের এ সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। শিশু হাসপাতাল গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এ ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ জানুয়ারি বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে শিশুহাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কমিটি ইতোমধ্যেই তাদের প্রতিবেদন পেশ করেছে। এর আগে তদন্ত কমিটি ১ জানুয়ারি থেকে অভিযুক্ত ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেওয়া শুরু করে। সবার বক্তব্য বিশ্লেষণ করে হাসপাতালের দুজন কর্মচারীকে দায়ী বলে মনে করে কমিটি। যার মধ্যে একজন হাসপাতালের এপিডেমিওলজিস্ট কিংকর ঘোষ এবং অপরজন জুনিয়র অফিসার অ্যাডমিন মো. আতিকুল ইসলাম। কমিটি মনে করে, এ দুজনের জন্য হাসপাতালের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। যার দায় তারা এড়াতে পারেন না। এর আগে জেকেজি, রিজেন্টসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান কোভিড-১৯ পরীক্ষার নামে অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল্লা যুগান্তরকে বলেন, তদন্তের কাজ এখনো পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। সব কাজ সম্পন্ন হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের আইন অনুযায়ী উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি।

সামগ্রিক বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন ইতোমধ্যে গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন এবং আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য চূড়ান্ত যাচাইয়ের জন্য হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও সরকারের যুগ্ম সচিব উম্মে সালমা তানজিয়ার কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি সবকিছু যাচাই-বাছাই করে মতামত দেবেন। সেই মতামতের ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তদন্ত কমিটির রিপোর্টে যা আছে : পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি প্রথমেই তাদের সামনে হাজির করেন হাসপাতালের জুনিয়র অফিসার অ্যাডমিন মো. আতিকুল ইসলামকে। কমিটিকে বলেন, তিনি পদ্মা জেনারেল হাসপাতালেও খণ্ডকালীন কাজ করেন। শিশু হাসপাতালের পাশাপাশি সেখানে তিনি কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের কিছু কোভিড-১৯ পরীক্ষা শিশু হাসপাতালের নামে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনে করা হতো। এসব পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ, পরিবহণ এবং ডেলিভারিসংক্রান্ত কাজের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত নন। তবে হাসপাতালের এপিডেমিওলজিস্ট কিংকর ঘোষ এ বিষয়ে জাড়িত থাকতে পারেন। পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের টাকা লেনদেনের রসিদে টাকা গ্রহণকারী হিসাবে তার নাম ও স্বাক্ষর থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তদন্ত কমিটিকে জানান, তার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। তবে তার প্রতিস্বাক্ষর নিয়ে তদন্ত কমিটি ওই রসিদের সঙ্গে হুবহু মিল পায়। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে জানতে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সুজন বাবু, নারায়ণ চন্দ্র বর্মণ ও কংকন রায়ের বক্তব্য নেয়। তারা জানান, হাসপাতালে এপিডেমিউলজিস্ট কিংকর ঘোষের নির্দেশে তারা অন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগে নমুনা সংগ্রহ করতেন। কমিটিকে তারা জানান, কিংকর প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫টি টিউব নমুনা সংগ্রহের জন্য সরবরাহ করতেন। তবে দু-একটি টিউব নিজের কাছে রেখে দিতেন।

এসব বিষয়ে তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হয়ে বক্তব্য দেন কিংকর। তিনি বলেন, হাসপাতালের পরিচালকের মৌখিক নির্দেশে তিনি ২০২০ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে শিশু হাসপাতালের রোগী, অভিভাবক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কোভিড-১৯-এর পরীক্ষার ব্যবস্থা করতেন। হাসপাতালের বাইরের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার ক্ষেত্রেও পরিচালককে জানাতেন। পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের বিষয়ে তিনি বলেন, একজন সংসদ সদস্যের নির্দেশে তিনি এই কাজ সমন্বয় করতেন। প্রতিদিন দু-একটি নমুনা সংগ্রহের টিউব তিনি নিজের কাছে রাখতেন কিনা জানতে চাইলে কমিটিকে বলেন, এটা কোনো বিষয় নয়- এমন টিউব তার কাছে অনেক আছে। অন্যান্য হাসপাতালের নমুনা নিজ নিজ হাসপাতাল থেকে রেফার্ড হয়ে এলেও পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের নমুনা শিশু হাসপাতালের নামে কেন রেফার্ড করা হতো জানতে চাইলে তিনি কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে জানতে সাবেক উপ-পরিচালক ডা. এজেডএম মশিউল আযমের বক্তব্য নেয়। কারণ ২৩ মে, শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক সার্কুলারে জানায়, শুধু ভর্তি রোগী এবং ফিভার ক্লিনিকের রোগী ছাড়া অন্য রোগীদের নমুনা নিতে হলে উপ-পরিচালকের অনুমতি নিতে হয়। তবে এ উপপরিচালক জানান, হাসপাতালের বাইরের নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে তার কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। কোভিড-১৯ পরীক্ষার কোনো দায়িত্ব তিনি কিংকর ঘোষকে দেননি। এমনকি পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল বা অন্য কোনো হাসপাতালের পরীক্ষা শিশু হাসপাতালের নামে রেফার্ড হওয়ার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

একই বিষয়ে তদন্ত কমিটি বর্তমান উপ-পরিচালক ডা. প্রবীর কুমার সরকারের বক্তব্য নেন। তিনি জানান, এসব বিষয়ে তার কাছ থেকে কখনোই কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। এমনকি হাসপাতালের বাইরের কোনো নমুনা সংগ্রহ বা পরীক্ষার বিষয়েও তিনি কিছুই জানেন না।

এসব বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালকের বক্তব্য নেয় তদন্ত কমিটি। পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ তদন্ত কমিটিকে জানান, শিশু হাসপাতালের ভর্তি রোগী, ফিভার ক্লিনিক ও সেখানে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নমুনা সংগ্রহ এবং আরটিপিসিআর পরীক্ষা সমন্বয়ের জন্য উপ-পরিচালক, আবাসিক চিকিৎসক ও এপিডেমিওলজিস্টকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া বাইরের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করাতে হলে উপ-পরিচালকের অনুমতি নিতে হবে। কিংকর ঘোষকে কোভিডকালীন শুধু সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বাস্থ্যসামগ্রী বিতরণ ও সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া অ্যাডমিনের জুনিয়র অফিসার মো. আতিকুল ইসলামকে এ সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার বিষয়ে তিনি কোনো নির্দেশ-আদেশ দেননি। তার কাছ থেকে কোনো অনুমতিও নেওয়া হয়নি।

তদন্ত কমিটি চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনে পরিচালক অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহার বক্তব্য নেয়। তিনি কমিটিকে বলেন, একজন সংসদ সদস্য পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের দু-একটি পরীক্ষা করে দিতে অনুরোধ করলে তিনি সম্মতি দেন। তবে এ বিষয়ে কিংকর ঘোষকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এমনকি পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের নমুনা শিশু হাসপাতালের নামে রেফার্ড হওয়ার বিষয়েও তিনি অবহিত নন বলে জানান।


নিউজ ট্যাগ: শিশু হাসপাতাল

আরও খবর

রাজধানীর ৯০ ভাগ হিজড়াই নকল

শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর