Logo
শিরোনাম

করোনা পরিস্থিতিতে শুটিংয়ের নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১৩৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় এক সপ্তাহ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ অবস্থায় নাটকের শুটিং করার জন্য নির্দেশনা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। নির্দেশনা মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণের জন্য আন্তঃসংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।

এফটিপিও চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ, টেলিপ্যাব সভাপতি ইরেশ যাকের, ডিরেক্টরস গিল্ড সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু, অভিনয়শিল্পী সংঘ সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের সভাপতি মাসুম রেজার স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে-

নাটক রচনা:

ক। জনসমাগম হয় এমন স্থানে শুটিং করা যাবে না।

খ। একটি দৃশ্যে দুই থেকে তিনজন অভিনয়শিল্পী ছাড়া বেশিসংখ্যক শিল্পীর সমাগম ঘটানো যাবে না।

গ। এমন ভাবে চরিত্রের বিস্তার করতে হবে যাতে অন্তত তিন ফুট দূরুত্ব বজায় রেখে অভিনীত চরিত্রগুলো মাস্টার শটে অংশ নিতে পারে।

ঘ। ঘনিষ্ঠ দৃশ্য কোনোভাবেই গল্পে রাখা যাবে না।

ঙ। পাণ্ডুলিপিহীন কোনো নাটক নির্মাণ করা যাবে না।

চ। নির্ধারিত পাণ্ডুলিপি সংশ্লিষ্ট প্রযোজক/পরিচালক দেখে নেবেন যাতে একটি দৃশ্যে ২/৩ জন শিল্পীর বেশি উপস্থিতি না থাকে।

কলাকুশলী নির্বাচন:

ক। শিল্পীদের কাস্টিং করার পূর্বে তার স্বাস্থ্য অবস্থার খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হবেন যে তিনি অন্তত ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। তিনি সর্দিজ্বর বা অন্যান্য করোনা উপসর্গের মধ্যে পড়ে সেগুলো থেকে মুক্ত।

খ। নেপথ্য কুশলী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অপরিচিত/নতুন কোনো কর্মীকে তার স্বাস্থ্যগত অবস্থা না জেনে নেওয়া যাবে না।

গ। নিয়মিতভাবে কাজ করেন এমন সকল কর্মীর বিগত অসুখ সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া। প্রয়োজনে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করে কাজে নেওয়া যেতে পারে।

ঘ। সম্ভব হলে শুটিং শুরুর ১৪ দিন পূর্বে নেপথ্য কর্মীদের হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে নির্ধারিত বিরতিসহ এক টানা শুটিং করা যেতে পারে।

ঙ। ষাটোর্ধ্ব শিল্পী, কলা-কুশলীদের অংশগ্রহণ করালে তাদের বিষয়ে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

চ। শিশু/কিশোর শিল্পীদের আপাতত কোনো নাটকে অংশগ্রহণ না করানোই উচিত।

শুটিং শুরুর আগে করণীয়:

ক। সকল শিল্পী, কলাকুশলীর নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, শরীরের তাপমাত্রা রেজিস্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করতে হবে। শুটিং ইউনিট মুভ করার আগে মাইক্রোবাস জীবাণুনাশক দ্বারা স্প্রে করতে হবে।

খ। ডিজিটাল থার্মোমিটার দিয়ে একজন দক্ষ টেকনিশিয়ানের তত্ত্বাবধানে ইউনিটের কলাকুশলীর প্রত্যেককে পরীক্ষা করে গাড়িতে তুলতে হবে। সেক্ষেত্রে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে গাড়িতে বসতে হবে।

গ। শুটিং ফ্লোরে প্রবেশের সময় যাদের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করা হয়নি তাদেরকে ফ্লোরে প্রবেশ দ্বারে একজন টেকনিশিয়ানের তত্ত্বাবধানে তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করিয়ে হাত ধুয়ে ভেতরে প্রবেশ করাতে হবে।

ঘ। শুটিং ফ্লোরে প্রবেশ দ্বারে অবশ্যই ব্লিচিং পাউডারে ভেজা পাপোস রাখতে হবে। প্রবেশ দ্বারে সম্ভব হলে ৭০ ভাগ অ্যালকোহল মিশ্রিত পানি দিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে।

ঙ। শুটিং ফ্লোরের প্রতিটি রুম আগে থেকেই অ্যালকোহন মিশ্রিত স্প্রে দিয়ে জীবাণুনাশ করতে হবে।

চ। মেকআপ রুমসহ সকল ওয়াশরুম যথাযথভাবে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। বিশেষ করে ওয়াশরুম প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর স্প্রে করতে হবে।

ছ। খাবার দেওয়ার সময় প্রডাকশন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অবশ্যই ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে সার্ভ করবেন। যিনি খাবার পরিবেশন করেন এবং সরবরাহের কাজে জড়িত থাকবেন তাকে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। হ্যান্ডগ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। মুখে মাস্ক সার্বক্ষণিকভাবে পরিধান করতে হবে।

জ। ইউনিটের প্রত্যেককে মাস্ক পরতে হবে। একই মাস্ক প্রতিদিন পরা যাবে না। যদি সেই মাস্ক ধৌত করার অপশন থাকে তাহলে ধুয়ে পরতে পারবেন। অন্যথায় ওয়ানটাইম মাস্ক প্রতিদিন ব্যবহার করে নির্ধারিত ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হবে।

ঝ। শুটিংয়ে ব্যবহৃত চাদর, জানালার পর্দা প্রতিদিন ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। সোফা বা অন্যান্য আসবাব স্পিরিট দিয়ে মুছে নিতে হবে। পাপসগুলো পরিষ্কার করে নিতে হবে।

চিত্রগ্রহণের পূর্বে করণীয়:

ক। প্রধান চরিত্রের অভিনয়শিল্পীরা (সম্ভব হলে) মেকআপ বাসা থেকে নিজ দায়িত্বে নিয়ে আসবেন। সঙ্গে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন। খুব প্রয়োজন না হলে সহকারী সঙ্গে না রাখাই শ্রেয়। সহযোগী শিল্পীদের মেকআপ ইউনিট থেকে সাবধানতা মেনে দেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রডাকশন থেকে প্রদান করতে হবে।

খ। করোনাকালীন সময়ে খাবার নিজ দায়িত্বে করাই শ্রেয়। সে জন্য (সম্ভব হলে বা প্রয়োজন মনে করলে) প্রত্যেক শিল্পী তাদের খাবার এবং ক্রোকারিজ সামগ্রী সঙ্গে বহন করবেন। ইউনিটের অন্যান্যদের জন্য প্রযোজক সুষম খাবারের ব্যবস্থা করবেন। ওয়ানটাইম ক্রোকারিজ সামগ্রী ব্যবহার করাই ভালো।

গ। রূপসজ্জা শিল্পী অবশ্যই কাজ শুরুর পূর্বে পোশাক পরিবর্তন করবেন এবং মাস্ক, ফেস শিল্ড ব্যবহার করবেন।

শুটিং স্থানে করণীয়:

ক। নির্ধারিত শুটিং জোনে কেবল মাত্র ২/৩ জন শিল্পী থাকবেন। একজন ক্যামেরাম্যান, একজন পরিচালক, একজন লাইটম্যান একটি দৃশ্যে উপস্থিত থাকবেন। পরের দৃশ্যে আবার ক্রু পরিবর্তন করে কাজ করতে হবে। নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নিয়ে দৃশ্যধারণের কাজ করবেন।

খ। প্রত্যেকটা দৃশ্য শেষে পোশাক পরিবর্তন করার প্রয়োজন হলে সঙ্গে সঙ্গে হাত ধুতে হবে। হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে।

গ। কর্মক্ষেত্রে কেউ হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে তাকে সরাসরি ডাক্তারের কাছে নিতে হবে।

শুটিং শেষে করণীয়:

ক। সকলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আছেন কিনা, স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়েছে কিনা প্রযোজকের পক্ষে একজন উপযুক্ত ব্যক্তি অবলোকন করে নিশ্চিত করবেন।

খ। ইউনিটের সবাইকে গাড়ি দিয়ে গন্তব্যে নামিয়ে দিতে হবে। পরদিন যথাযথ নিয়ম মেনে আবার কাজে যোগ দিতে হবে।

গ। সরকারের বেধে দেওয়া সময়সীমার সঙ্গে সমন্বয় করে শুটিং করতে হবে। আন্তঃসংগঠনের সিদ্ধান্ত শুটিংয়ের সময়কাল সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

ঘ। পরিচালক ও ভিডিও সম্পাদক স্বাস্থ্যবিধির সব নির্দেশনা মেনে সম্পাদনার কাজ সমন্বয় করে তা সম্পন্ন করবেন।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর