করোনা শনাক্তের সংখ্যা আজও হাজারের নিচে
রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮৯৭ জনের শরীরে করোনা ধড়া পড়েছে। শনাক্তের হার নেমেছে
৩ দশমিক ৬৫ শতাংশে।এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৭
জনে। এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে গত
২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৯
হাজার ৩৭ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো
করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আগের দিন (রোববার) ৯ জনের মৃত্যুর খবর
দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শনাক্ত হন ৮৬৪ জন, শনাক্তের হার ৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। তার
আগে (শনিবার) ৮ জনের মৃত্যু হয়; করোনা শনাক্ত হন ৭৫৯ জন, শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক
১৫ শতাংশ। শুক্রবার ১১ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা শনাক্ত হন ১৪০৬
জন, শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
রোববারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪
ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৯৭৬ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ১৪
হাজার ৬৬৫ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ৮৩৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষা
করা হয় ২৪ হাজার ৬০৫টি। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১ শতাংশ।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা
পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে
প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল
৬৪ জনের।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর
নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে
আসে।
২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর
প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের
মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করে।