Logo
শিরোনাম

কৃষ্ণগহ্বরের চিত্র এঁকে সেরা ১০ তরুণ বিজ্ঞানীর তালিকায় অনন্যা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ২৭৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

তনিমা তাসনিম অনন্যার জন্ম বাংলাদেশের নরসিংদী জেলায়। বাবার চাকরির সুবাদে তার শৈশব কেটেছে রাজধানী ঢাকায়।

রহস্যেঘেরা ব্লাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরের বেড়ে ওঠা এবং পরিবেশের ওপর এর প্রভাব নিয়ে পূর্ণাঙ্গ চিত্র এঁকে দেখালেন তিনি। আর তাতেই বাজিমাত! বিশ্বের সেরা ১০ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন তনিমা তাসনীম অনন্যা। ২৯ বছর বয়সী অনন্যা এখন সম্ভাবনামনায় জ্যোতির্পদার্থবিদ।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক সায়েন্স নিউজ অনন্যার এ সাফল্যের খবর প্রকাশ করেছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এসএন টেন: সায়েন্টিস্ট টু ওয়াচ এর তালিকার শুরুতেই অনন্যাকে স্থান দিয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক জনপ্রিয় গণমাধ্যমটি। যেখানে অনন্যার কাজকে অসাধারণ গবেষণা বলে উল্লেখ করা হয়।

চলতি বছর এ তালিকায় স্থান পাওয়া প্রত্যেকেই ৪০ বা এর চেয়েও কম বয়সী। তারা প্রত্যেকেই নোবেল বিজীয়দের দ্বারা মনোনীত হয়েছেন।

সায়েন্স নিউজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি অনন্যা সবচেয়ে ভারি কৃষ্ণগহ্বর আঁকতে সক্ষম হয়েছেন। সচিত্র গবেষণায় তিনি দেখিয়েছেন, মহাবিশ্বে কোথায় কীভাবে কৃষ্ণগহ্বর বেড়ে উঠছে এবং কীভাবে তারা পরিবেশকে প্রভাবিত করছে। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে এটি সম্পন্ন করেছেন।

অনন্যা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকে আগ্রহের কারণে মহাকাশবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে বাংলাদেশে এ বিষয়ে তেমন পড়াশোনার সুযোগ না থাকায় তিনি বিদেশে যেতে আগ্রহের কথা পরিবারকে জানান। প্রথমে কোনোভাবেই বিদেশে পড়তে যেতে দিতে রাজি ছিল না তার পরিবার। তবে অনন্যার আগ্রহের কাছে হার মেনেছে তার বাবা-মা।

২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার ব্রায়ান মাওর কলেজ থেকে স্নাতক করেন অনন্যা। পরে তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পিএইচডি করেন। তনিমা বর্তমানে ডার্টমাউথ কলেজের একটি পোস্টডক্টোরালের গবেষণা সহযোগী।


আরও খবর